টেকনাফের বাবুল মিয়া একজন কৃষকঃ
হাসিনা-খালেদার উপর খুবই অসন্তুষ্ট । সেও চায় দেশে তৃতীয় শক্তি আসুক। তয় তাদের এলাকার আওয়ামীলীগ-বিএনপির যারা নেতা , তাদের দু'জনকেই সে চিনে। ভিতরে ভিতরে যাই হোক , বাইরে তারা দুজনেই ভালো লোক। মুরুব্বী দেখলে সালাম দেয়। হাত মিলায়, কোলাকুলি করে।
তেতুলিয়ার রমিজ মিয়া একজন চা বিক্রেতাঃ
হাসিনা-খালেদার উপর খুবই অসন্তুষ্ট । সেও চায় দেশে তৃতীয় শক্তি আসুক। তয় তাদের এলাকার আওয়ামীলীগ-বিএনপির যারা নেতা , তাদের দু'জনকেই সে চিনে। ভিতরে ভিতরে যাই হোক , বাইরে তারা দুজনেই ভালো লোক। মুরুব্বী দেখলে সালাম দেয়। হাত মিলায়, কোলাকুলি করে।
ঢাকার বাসিন্দা মামুন মিয়া একজন চাকুরীজীবিঃ
সেও চায় রাজনীতিতে ভারসাম্যের জন্য হলেও , বাংলাদেশে তৃতীয় শক্তির উত্থান হোক । তবে, বাংলাদেশে ' তৃতীয় শক্তির উত্থান হোক ' এর তৃতীয় শ্রেণীর নেতারা, যারা পত্রিকায়, টিভি-টকশোতে, আর ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে , মাঝে মাঝে রাস্তায় সর্বোচ্চ দশ থেকে বিশজন আর বিশাল ব্যানার আর ইয়া বড় চোঙ্গাওয়ালা মাইক লাগায়ে , দেশ উদ্ধার করে ফেলবে বলে " আমরাই দেশের তৃতীয় শক্তি, আমরাই দেশের তৃতীয় শক্তি " বলে শব্দদুষণ করে।
তার কাছে, এই সকল চিঙ্কু বাম-ধাম-জামাত-সুশীল-কুশীল-কুটিলদেরকে, অনেক'টা টয়লেট টিস্যু পেপারের মত মনে হয় , বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রয়োজনীয় মনে হয় । মাঝে মাঝে তারা প্রেসক্লাবের সামনে গোল হয়ে রোল পাকায়ে তাদের উপস্থিত জানান দেয়... আর, আওয়ামীলীগ-বিএনপি এদের ইউজ করে।
আর টেকনাফের বাবুল মিয়া, তেতুলিয়ার রমিজ মিয়া ?
দুঃখজনক হলেও সত্যি, তারা এই সব টয়লেট টিস্যু ইউজ করে না। করবে কি ভাবে ? কোনদিন চোখেই দেখে নাই....