১.
ম্যাগনেটিক ট্রেনের গতিতে বয়ে চলা জীবনে হয়তো প্রতিদিন আমার স্বপ্নগুলোর পরিচর্যা করতে পারিনি। একটু একটু করে প্রতিদিন ই বুনে গিয়েছি। একটু অবসর পেলেই, সেটায় রঙ দিতাম, ছবি আঁকতাম। আমার যত্নের ফসল আমি পেতাম। হঠাৎ হঠাৎ একদিন দেখতাম আমার পরিশ্রমের সমন্বিত রূপ। আমার ভালো লাগতো। আমার স্বজাতি আমাকে উৎসাহ দিতো। আমি জানতাম বেঁচে আছি কেনো। আমি কোথায় যেতে চাই। কোথায় নিয়ে দাঁড় করাতে চাই, আমার জাতিকে। ... হঠাৎ করেই তাকে সামনে দেখলাম। যেভাবে কোনোদিন ই দেখতে চাইনি। তিন সেকেন্ডও সময় পেয়েছি কিনা জানি না। কারো মুখ ভেষে ওঠেনি তখন আমার মনে। মরতে যাচ্ছি কিনা সেটা বুঝতেই দুই সেকেন্ড লেগেছে। পৃথিবী ছাড়ার আগে আমার জীবদ্দশার সবচে ভংয়কর, অমানষিক, আর মন থেকে কখনো মেনে না নেয়া - তিন সেকন্ড।
............ ট্রাকটা আমাকে মানুষ থেকে মাংসপিন্ড বানিয়ে ফেলার আগে, বাঁচার আকুতি একশগুণ বেড়ে গিয়েছিলো।
২.
ভাই, আমার জীবনের মূল্য কি?
- হাসালেন ভাই, ২০১১ তে বসে আপনি উনবিংশ শতাব্দীর তিব্বতি লামাদের মতো ফিলসফিক্যাল কোয়েশ্চেন করছেন।
জীবনের কোনো মূল্য নাই, মরণের মূল্য আছে। তা, আপনি কোন প্রফেশনে আছেন? আপনি কি নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির কেউ, বাপ মায়ের কি নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা? আপনি নিজে কি করেন? স্টুডেন্ট? নাকি মোটামুটি স্বচ্ছল থেকে উচ্চবিত্ত ঘরের কেউ? মোটামুটি ভি.আই.পি. গোছের কারো সাথে কি আপনার সম্পর্ক আছে?
- নারে ভাই , আমি মোটামুটি মধ্যবিত্ত । এই ধরেন লোয়ার মিডল ক্লাস থেকে মিডল ক্লাসের মাঝামাঝি ফেলতে পারেন। পড়াশুনা করতেছি।
- তাইলে তো আপনি মরা হাতি ?
- মানে ভাই বুঝলাম না? আমি মরা হাতি মানে কি ?
- ভাই হাতি মরলেই লাখ টাকা।আপনের মৃত্যুর মূল্য এক লাখ টাকা । আপনে স্টুডেন্ট না ? ভালো একখান বুদ্ধি দেই। র্যাব এড়িয়ে চলেন। ওরা যদি ভুল করেও আপনারে একটা গরম সীসার ছোঁয়া লাগায়, আপনিই কিন্তু সন্ত্রাসী হবেন। যেই সেই সন্ত্রাসী না, হোমড়া চোমড়া কিসিমের সন্ত্রাসী। দেশের মানুষ তো পরের কথা, আপনের বাপ মাও আপনার পক্ষে মুখ খুলতে পারবে না। গ্যারান্টি দিলাম।
- ভাই , এইসব কি বলেন ?
-আরে ভাই, শোনো, বস । তুমি করেই বলি। এখন যদি তুমি নর্মালি মরো, তোমার এক পয়সা বেইল নাই। মীরসরাইয়ের মতো সড়ক দূর্ঘটনায় মরলে, তোমার কবর হওয়ার দুই তিন পর, প্রধানমন্ত্রীরা আরো মন্ত্রীসহ তোমার পরিবার কে দেখতে যাবে, হাতে একলাখ টাকার চেক ধরিয়ে দেবে। তোমার মাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে একটা কমন পোজ দেবে। পরদিন তোমার মার কান্নায় বিকৃত মুখ টা পেপারের প্রথম পেইজে আসবে। স্বজন হারানোর বেদনা, তুমি কি তাদের চেয়ে বেশি বোঝো ?? বিরোধী দল বলবে ঐটা সরকারের দোষ। এমন জালিম সরকারের আমলে তোমার মতো তরুণরা মরবেই।তরুণী হলে তো সুইসাইডের রাস্তা খোলাই রেখেছে সমাজ। কেউ বলে দেবে না, তুমি নিজের তাগিদেই মরবে। আর যদি চোর ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে মারে, তাহলে তো কথাই নেই। পাজর গুড়ো করবে, কলার বোন ভাঙবে, নাক মুখ ফেটে রক্ত ঝরবে লাঠির আঘাতে । মরার প্রক্রিয়া শুরু হবার পর থেকে একদম মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি মূহুর্তে তোমার মৃত্যুকে উপভোগ্য করে তোলা হবে। তারপর ইন্টারনেটে ইউটিউব ঘেটে কেউ যদি "তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে মানবাধিকার লংঘন এবং অপরাধপ্রবণতা"-র উপর অ্যাসাইনমেন্ট করতে চায়, তোমাকে পিটিয়ে মারার দৃশ্যটা প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে... তোমার বন্ধুরা আর কি করতে পারবে? কয়েকটা মানব বন্ধন, বড়জোর কয়েকটা বাস ভাংচুর। হয়তো তোমার নামের সাথে একটা ট্যাগ ঝুলবে , মেধাবী স্টুডেন্ট। পরিবার তো কিছু করতেই পারবেনা। জানের ভয় কার না আছে?
আরো ব্যপার আছে। রুই কাতলা, ভি.আইপি. অথবা মোটামুটি দেশপ্রেমিক গোছের কেউ যদি হও, তার তরিকা ভিন্ন। এভাবে মরলে, তোমাকে মরণোত্তর জাতীয় পদক দেয়া হবে। কয়েকদিন তোমাকে নিয়ে ভীষণ মাতামাতি হবে। সরকার-বিরোধীদল গায়ে পরে উদ্বিগ্নতা দেখাবে। টিভিতে পেপারে মাতামাতি হবে। কিছু সংগঠন তোমার ঘাড়ে চড়ে নাম কামিয়ে নেবে। রাতারাতি লাইম লাইটে চলে আসবে। সবাই তোমার শোকে (!!) মূহ্যমান।
জীবিত থাকতে তোমাকে যদি কেউ না চিনে থাকে, মরার পর বুঝবে, তুমি কত বড় প্রতিভা।
....... কেমন যেনো ঝিমুনি লাগছে আমার, আতংকিত হবার প্রবণতা আটলান্টিস সভ্যতার মতো হারিয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা করছি। যে কোনোদিন চলে যাবো। অনেক উপরে।..... প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে অনেকদিন পর একটি মৃত্যুর খবর আসবে। রাস্ট্রদ্রোহিতার দায়ে যুবকের মৃত্যু।
৩.
জাতীয় শোকদিবসে ডেটিং করার মজাই আলাদা। আর শোকদিবস বলে কি আমার জন্মদিন পালন হবে ন? শোকদিবস বলে কি আমি চাদাবাজিও করতে পারবো না? এ কেমন বিচার রাস্ট্রের?
.... লেজ সোজা করার সকল বৈঠক বাতিল, কুকুরটাই বাঁকা হয়ে গিয়েছে।
৪.
আজ হয়তো তাদের কবর হবে । আজ অনেক মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে আসবে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। প্রথম পাতা থেকে সরে যাবে হেডলাইনগুলো।
......... কাল সবাই ভুলে যাবে ।
................আজকাল পেপার, ব্লগ , ফেসবুক বা টিভিতে কোনো কিছু না দেখলে আমাদের আর কিছু মনে থাকে না।
৫.
আমার আগেও অনেক কে বলেছিলে, আমার পরেও অনেক কে বলবে। ভালোবাসা কি এতো ঠুনকো একটা ব্যপার যে .. সেটা শুধু একজনের জন্যই বরাদ্দ হবে? ভালোবাসা অনেক বড় একটা বিষয়। বহুমনে মিলিয়ে যাবে। ভালোবাসা যাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভাতের মতো। কাক এসে ঠুকড়ে ঠুকড়ে খাবে।
........... যাদের মন নেই, তাদের মানষিক আঘাত দেয়া সম্ভব না।
৬.
অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা নামে । ঘরে ফিরে বউটার টুকটুকে নয়তো হাড়িমুখ দেখবো। ছেলেটা আর মেয়েটা বাবা বাবা বলে বুকে ঝাপিয়ে পড়বে। মনটা ভরে যায় আমার । অফিসে কাজের ফাঁকে আজকাল কি যেনো হয় আমার। "আপনার একান্ত বিশ্বস্ত আর বাধ্যগত" কর্পোরেট জগতটাতে হাঁপিয়ে উঠছি দিন দিন। আচ্ছা পাশের টেবিলের কলিগটা তো ভারি সুন্দরী। কিমবা ঐ যে বসের সেক্রেটারি। বেশ তো লাগে তাকে। আমার ক্লান্তি মিলিয়ে যাচ্ছে । ওদের দিকে তাকিয়ে আমার ক্লান্তি হারিয়ে যাচ্ছে। কফির অফার টা করেই ফেলি একদিন। আচ্ছা বউটাকে আজকাল পুরাতন পুরাতন লাগে ক্যানো ?
.. কিছু না পেলে আমি গোলাম। সব পেলে একছত্র অধিপতি। নতুন কাউকে খুঁজতে ভাল্লাগে। ভাবতে ভাল্লাগে নতুন কাউকে। হাজারহোক আমি পুরুষ।
৭.
তোমাকে ভাল্লাগছে না এই সহজ কথাটা অনেকদিন ধরেই বোঝাচ্ছি। আকারে ইংগিতে। তুমি চলে গেলে আমি বেঁচে যাই। তোমার চেয়ে সেই ছেলেটার পার্সোনালিটি অনেক বেশি। অনেক অনেক বেশি ভালোবাসতে পারবে আমাকে। ও আমাকে অনেক ভালো বোঝে তোমার চেয়ে। এতোদিন বুঝিনি আমি কি চাই। এখন বুঝেছি আমি তাকেই চাই। ভেবো না। আমি তার সাথে ভালোই থাকবো । (মনে মনে এটা জানি, তুমি আমাকে ভালোবাসো। ঘৃণা করতে পারবে, কিন্তু কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তোমার দূর্বলতাই আমার অস্ত্র) তুমি যে একটা গাধাশ্রেষ্ঠ এটা কি বোঝো? তুমি বুঝলেই কি না বুঝলেই কি।
- মেয়েরা কি সব কথা মুখে বলে ?
৮.
একসারি করে ইটের দেয়াল কিছুদূর পর পর। দেয়ালগুলোর মাঝে ছোট্ট ছোট্ট উভমুখী খোলা জায়গা।বসার স্থান। বাগানবিলাস পেঁচিয়ে উঠছে। সকাল দুপুর সন্ধ্যা ভিড় লেগেই আছে। একটু সামনেই জলের আকড় । নারকেল গাছ, মেহগনি গাছের সারি। ভালো করে না তাকালে বোঝাই যায়না, গাছে লেপ্টে আছে দুটো মানবদেহ। অনেক স্বর্গ রচিত হয় সেখানে। ভেনাস,আফ্রোদিতি, জিউস, হারকিউলিস, অ্যাপোলোরা ভিড় করে প্রতিদিন। মনের আঁকুতি দৈহিক সম্মতিতে পূর্ণতা পায়। পাশেই শতায়ু অঙ্গন। কেউ হাঁটছে। একদল ছেলে ক্রিকেট খেলছে। মঙ্গল, বুধবারের দিকে গেলে দেখা যাবে, ইজেল, পেপার আর কাঁধে রং তুলির সিলিন্ডার আকৃতির কৌটো নিয়ে ভিড় জমিয়েছে চারুকলার ছাত্রা-ছাত্রীরা। মনের খেয়ালে ক্যানভাসে পেনসিল চালাচ্ছে। জ্যান্ত হয়ে উঠছে মূহুর্তগুলো। একটু এগিয়ে ডিঙি। প্লাস্টিক প্যাডাল বোট গুলো ভাড়া দেয়া হয়। সেতুর নিচে রচিত হয় সেতু। একটু হাসি , একটু অভিমান , এর নাম ই তো সম্মতি। রবীন্দ্র সরোবর, একটু এগিয়ে জাহাজবাড়ী। আশেপাশে লেকের পাশ থেকে নেমে গেছে কার্পেট ঘাস। নেমে গেছে দেবদূতেরা। মানবিক প্রেম, মানবিক কাম। রাতে লেকের পাশের ছোটো খুপড়ি গুলোতে বসে গানের আসর। কোথাও গাজার আসর । আসে পাশের রাস্তায় রেস হয় হঠাত হঠাত ।
- যদি কোনোদিন বেহেশতে যাই, ধানমন্ডি লেক কে অনেক মিস করবো। দুধ কিমবা মধুর নহর নয়, আমি ওখানে একটা ধানমন্ডি লেক চাইবো।
৯.
অবাস্তব কথা বলতেছিস । তোরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাচ্ছিস?? মৃত্যু আবার স্বাভাবিক হবে কীভাবে? এই সমাজে যে কোনো মৃত্যুই অস্বাভাবিক। কেউ চাপে মরে, কেউ অভাবে মরে, কেউ মুখ দেখাতে না পেরে মরে, কেউ শখ করে মরে। ফর্মালিনের সাথে ফাইট করে টিকে আছিস। এককেজি টমেটো কিনে রেখে দিলে চার পাঁচ দিনেও পচে না। শুধু হঠাৎ একসিডেন্ট টাই চোখে পরে ? প্রতিদিন একটা দুটা তিনটা করে ইনসিডেন্ট জমতে জমতে টোটালি একটা একসিডেন্ট ধেঁয়ে আসছে, সেটা সবার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। অকার্যকর, ওভারডোজ অ্যান্টিবায়োটিকস এর সাথে যুদ্ধ করছিস, ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ খাচ্ছিস রোগ সারাতে। সেটা কি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি দ্যায়? আগে জ্বর আসলে কিছু না করলেও তিন দিনেই ভালো হতো। এখন সাত দিনেও যায় না। প্রতিদিন আস্তে আস্তে রক্তে মিশে যাচ্ছে সীশা। যে হৃদয়টা ভালোবাসতে পারতো, সেটা কোনো একদিন অভিমান করে তার ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করে দেবে। লোহিত কণিকা হঠাৎ একদিন বলে দেবে, আর পারছি নারে। পারলাম না ব্লাড ক্যান্সার ঠেকাতে। অভিমান কিমবা শখের সিগারেট প্রতিদিন তোকে পোড়াচ্ছে। ফিল্টার পানির নামে কোথাকার পানি খাচ্ছিস ? অপরিশোধিত পাম ওয়েলের সাথে হালকা মবিল দিলে জিলাপি ভাজলে ওগুলো অনেক মুচমুচে হয়। টেক্সাটাইল মিলস এর ডাই কিমবা ট্যানারির পরিষ্কারক দামে কম। খাবার গুলোর রং আকর্ষণীয় করে দেয়। খেতে তো অসাধারণ লাগে। কড়াইতে তেল থাকে অনেক্ষণ। পুড়ে যাচ্ছিস প্রতিনিয়ত পোড়া তেলে। ময়লা চিনি ময়লা লবণ দেখলে খারাপ লাগে তোদের । ওগুলোর দাম কম, তারমানে জিনিস খারাপ তাই না? ঝকঝকে লাগে মুড়ি, চিনি, লবণ, চাল । যতবেশি ঝকঝকে ততবেশি পারঅক্সাইড, কিমবা ইউরিয়া মেশানো। দেখেও দেখিসনা তোরা। কার্বাইড দেয়া ফল খাচ্ছিস। অসাধারণ তার স্বাদ। সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ আর না খেয়ে মরে না। বেশি খেয়ে মরে।
- বল কতজনের সাথে তোরা যুদ্ধ ঘোষণা করবি?
- অ্যাতো চাহিদা ক্যান তোদের ? বেঁচে আছিস এটা একটা মিরাকল, মানতে কি খুব কষ্ট হয় ?
১০.
সন্ধ্যা হারিয়ে রাত নেমে গেছে, ঘরে ছুটে চলে যুবক
সবকিছু শেষ, অভিমানী বেশ, ছেড়ে যাওয়া ছিলো ধ্রুবক।
ফিরি একা ঘরে, চিলেকোঠা নড়ে, করিডোরে ওড়ে ধোঁয়া
রাত যায় কেটে, সিগারেট হাতে, ঘৃণা করি তোর ছোঁয়া।।
চিলেকোঠা মানে আমার জগত, চিলেকোঠা মানে কান্না।
চিলেকোঠা দিয়ে শিকারী চিল-ওড়ে, কত ঠোঁকড়াবি , আর না।
রাস্তাঘাটের গর্তের মতো, মন ভরে গেছে গর্তে
নরক দেখেছি, ভাদ্র মাসেতে, বিষাক্ত এই মর্ত্যে।
সময় গড়ায়, যুবক একদিন, মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে
সব ভুলে গিয়ে, জোড়া শালিক হয়, অপরাজিতা টা ফোটে।
মেনে নিয়ে চলা এই সময়টা, মানিয়ে চলার গল্প..
মেনে নিতে নিতে মনে মনে মরা, সম্পর্কটা স্বল্প।
..... কোনো একদিন দেখা হয়ে গেলে, প্রেম জাগে মনে অল্প।