পরিস্থিতি কোন সূত্রেই সন্তোষজনক নয়, বরঞ্চ ভয় পাচ্ছি কোথায় যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছি ? গৃহযুব্ধ সি এন এন , বিবিসি তে দেখছি, কিন্তু শুরুটা এখনকার মত কিনা জানি না। তবে এটা বুঝি এক পক্ষ গৃহযুব্ধ এর দিকে এগোলে অন্যপক্ষ অনিচ্ছাতেই জড়িয় পড়ে, কারন কেউ কাউকে কোন বৃহত্তর স্বার্থেই ছাড় দিতে চায় না। আজকে এই মুহুর্তে দেশের পরিস্থিতি আমাকে কোন ভাল কোন কিছুর নিশানা দেখাতে পারছে না।
এই পরিস্থিতির একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল গত ৪ ফেব্রুয়ারি। জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন ঐ দিন মতিঝিলে দলের এক সমাবেশে বলেন, “একটা রায়-ই শেষ নয়। রায়ের পর বহু প্রতিক্রিয়া আছে। বিষয়টি হালকাভাবে দেখলে চলবে না। দেশকে গৃহযুদ্ধের থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
তখন সরকার বিচার বন্ধ করে দিলে বোধহয় আজকে দেশের 'সাধারন মানুষ' শান্তিতে থাকত। সাধারন মানুষের কাছে জানতে চাই আজকের এই অবস্থার দায় কার? সাংবিধানিকভাবে সরকার অবশ্যই দায়ী। এরপর দায় কার ? যারা আইনের বিচার কে মেনে না নেয়ার প্রত্যয়ে সর্বস্তরে রাষ্ট্র কে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে, আর সেই সুযোগে রাষ্ট্রবিরোধীদের কাঁধে চেপে যারা ভোটের হিসাব কষছে , 'সাধারন মানুষ' কি সরকারের সাথে সাথে তাদেরকে সমুচিত জবাব দেবে না?
আবার ও বলছি যে কাজ সম্পূর্ন করতে পারি নাই ৪২ বছর আগে তাই আগে শেষ করতে হবে। কোন কু-পরিকল্পনাই যেন ঐ মিশন থেকে সরিয়ে আনতে না পারে। বেজমেন্ট না করে এক তলার ছাদ ঢালাই হয় না। জনগনের সেবা বাদ দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে প্রশিক্ষিত আমাদের রাজনৈতিক দল গুলো নানা মুলা, গাজর ... আমাদের সামনে তুলে ধরবে, তাতে 'সাধারন মানুষ' এর জীবন বিপন্ন হলেও ওনাদের কিছু আসে যায় না।
অতএব 'সাধারন মানুষ' মাথা ঠান্ডা, হিসাব কড়া, যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কোন মজা নাই।
পুন্শ্চঃ আগামী কাল ৭ মার্চ উপলক্ষে হরতাল সফল করুন, হরতাল কে হরতাল বলুন।