প্রথমে একটা রম্য বানী শুনাই আপনাদের।
ফেসবুকে এক ভাই লিখেছেন, একদা কোন এক ভাবীকে জংগীরা হত্যা করেছিল।হত্যার অপরাধে নিরাপরাধ ২০ হাজার রোজাদারকে আটক করা হল। আর এখন কোন এক ভাবীর স্বামীকে জংগীরা হত্যা করল। তাহলে তো এখন জাতীর কপালে পুরাই বাঁশ।
আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে চট্টগ্রাম লালখান মাদ্রাসার কথা। গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরনের পর "গ্রেনেড নাটক" নিয়ে তখন দেশ কম গরম হয়নি। মুফতি ইজহার ও তার সুপুত্র মুফতি হারুন ইজহারকে সেই মামলায় আটক করা হয়।
দেশ-বিদেশের সুজন-কুজনরা তখন জংগীবাদের আস্তানা বলে ক্বাওমী মাদ্রাসার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়েন। চারদিক থেকে তখন শোর উঠে "জংগীবাদের ঘাটি ক্বাওমী মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হোক"।
আল্লাহর শোকর, দিনদিন আমাদের সামনে এই বিষয়টা পরিষ্কার হচ্ছে। কারা আসল জংগী, কারা এদেশকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে তাদের পরিচয় আজ জাতীর সামনে স্পষ্ট।
পিলখানা থেকে শুরু করে গুলশান, কোন ঘটনার সাথেই ক্বাওমী আলেমদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এরপর ও যদি মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার পক্ষে এত তোড়জোড় চালানো হয় তাহলে এসব ঘটনার হোতাদের প্রতিষ্ঠান কলেজ-ভার্সিটি বন্ধের ব্যাপারে কোন আওয়াজ উঠবে না কেন?
আর যদি বলেন, এই ছোট্ট অজুহাতে কলেজ-ভার্সিটি বন্ধের কথা বলাটা চরম বোকামি বৈ কিছুই নয় তাহলে আমি বলব মিথ্যা অজুহাতে মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধের শ্লোগান দেওয়াটা সবচেয়ে বড় বোকামি আর হিংস্রতার বহি:প্রকাশ নয় কি?
যারা এরকম কথা বলে তাদের আসল উদ্দেশ্য কি? তারা জাতিকে কোন পথে নিয়ে যেতে চায়?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯