সুইডেনের দুটি নামী ক্লাব টিমের মধ্যে খেলা চলছিল। অনেক দর্শক নিয়ে জমেওছিল বেশ। হঠাত্ খেলার ছন্দপতন ঘটে এক খেলোয়াড়কে লালকার্ড দেখানো নিয়ে।
কাউকে ফাউল ট্যাকল করেননি, মারপিটে জড়াননি, রেফারি কিংবা প্লেয়ারকে গালাগালিও করেননি, সব মিলিয়ে ফেয়ার ফুটবল খেলেও লাল কার্ড! স্বদেশি খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানাতে এসেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ‘নাকে হাত’! কারণ দুর্গন্ধ, কাছাকাছি থাক সব প্লেয়ারই নাক চাপা দিতে শুরু করেন, রেফারিও পতাকা নামিয়ে নাক ঢাকেন।
সুইডেনের ক্লাব টিম জারনা এসকে’র লালকার্ড খাওয়া লেফ্ট ব্যাক খেলোয়ার অ্যাডাম লিনডিন জুঙ্কভিস্টের কীর্তিতে এতসব! মাঠেই ‘বিকট আওয়াজে’ এমন বায়ু ছেড়েছেন যে কিছুক্ষণ খেলাই আটকে থাকে।
গতকাল বুধবার (২২ জুন) নজিরবিহীন এ ঘটনাটি ঘটে।
অবশ্য জুঙ্কভিস্ট রেফারিকে বলেন, ‘আমার পেট খারাপ। তাই বেরিয়ে গেছে। চাপতে পারিনি।’ রেফারি তার জবাবে জানান, এটা খেলোয়াড়সুলভ আচরণ নয়। ইচ্ছাকৃত কাজ। অতএব তোমার খেলা যাবে না। এখনই বেরিয়ে যেতে হবে মাঠ ছেড়ে।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ জুঙ্কভিস্টের কথায়, ‘এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমি কি রেফারিকে জিজ্ঞাসা করতাম, আমার বায়ু পেয়েছে, আমাকে একটু ব্রেক দেন? না, আমি তা পারতাম না। বরং আমার মনে হয়, আমার ওই গ্যাস হাতে নিয়ে রেফারির মুখে ছুড়ে দেয়া উচিত ছিল। তবে আমি তা করিনি।'
আত্মপক্ষ সমর্থনে জুঙ্কভিস্টের আরও বক্তব্য, 'আমি রেফারির কাছ থেকে বেশ খানিকটা দূরত্বেই ছিলাম। আমি বুঝতে পারছি, আওয়াজটা খুব খুব জোরে হয়েছে। আমি ৮ বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলছি। তবে এরকম অদ্ভূত রেফারি দেখিনি।’
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১১