শিরোনাম দেখে যদি কেউ অবাক হন তাহলে আমি বলব, 'আপনি পাটিগণিত বুঝেন না'। আসুন একটু হিসাব মিলাই।
বাংলাদেশে জিএমবি,হরকাতুল জিহাদ, আনসারুল্লাহ সহ যে কয়টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের হাতে নিহত লোকদের একটা তালিকা করুন। সর্বোচ্চ একশ থেকে দেড়শ হবে ( আমি একটু বাড়িয়েই বললাম)। আর এসব সংগঠন সাধারণত হত্যার সাথেই জড়িত। ডাকাতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি এ জাতীয় দেশকে ধ্বংসকারী কাজের সাথে কিন্তু তাদের কোন সম্পর্ক নাই। তবু ও তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশের স্বার্থে আমরা সবাই এদের নিষেদাজ্ঞা মেনে নিলাম।
এবার আসুন, স্বাধীনতার পর থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ও বিএনপির জংগীদের হাতে সর্বমোট কতজন মানুষ খুন হয়েছেন তার একটা হিসাব করি। যদি কম করে ও হিসাব করা হয় তাহলে বছরে গড়ে ৩০০ মানুষ করে খুন হলে ৪৬ বছরে খুন হয়েছেন ২০০ গুন ৪৬ = ৯২০০ জন। (এক্ষেত্রে আমি কমের সং্খ্যাই ধরলাম)।
এছাড়া ডাকাতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি সহ হাজারো আকাম-কুকামের মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে এসব জংগীরা।
যদি আপনাদের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে থাকে তাহলে বলুন, 'আওয়ামীলীগ ও বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা কি সময়ের দাবি নয়?'
আর যদি এসব দেখার পর ও রাতকানা সেজে কেউ এসকল জংগীদের পক্ষাবলম্বন করে বা তাদের আস্কারা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিতে চায় তাহলে আমি বলব, ভাই আপনি একজন দেশের শত্রু, নিকৃষ্ট শয়তান।
আর যদি বলেন, আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দেশের উন্নয়ন ও কম করেছে কি?
উত্তরে আমি বলব, ক্ষমতার এই দড়িটা যদি ঐসব জংগী সংগঠন বা অন্য কারো হাতে থাকত তাহলে ওরা দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেত।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২