মুসলমানদের মানবতা থাকতে নেই!! কথাটা বাস্তব মনে হয় ফিলিস্তিনিদের দিকে তাকালে। ইতিমধ্যে অনেকেই জেনেছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি বড় অংশে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামাদাল্লাহর দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচুক- ইসরায়েল তা চায় না এবং আমাদের পানির উপর তারা এইভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে; অথচ অবৈধ ইসরায়েলি বসতিতে পানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন রয়েছে। পানির জন্য ফিলিস্তিনিদের প্রচুর টাকা-পয়সা খরচ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহর ও নগরে পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান মেকোরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা বেশ কিছু এলাকায় পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ফলে রমজান মাসে হাজারো ফিলিস্তিনিকে বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম সঙ্কটে পড়তে হয়েছে।
ফিলিস্তিনি হাইড্রোলজি গ্রুপ নামে একটি এনজিওর একজন কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেছেন, কোনো কোনো এলাকায় গত ৪০ দিনে কোনো পানি পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, যেকোন পরিস্থিতিতে যে কারো জন্য দিনে অন্তত সাড়ে ৭ লিটার পানি প্রয়োজন হয়। কিন্তু ফিলিস্তিনের মতো এলাকা যেখানে তাপমাত্র ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায় সেখানে এই চাহিদা আরো বেশি।
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের চেয়ে ইসরায়েলিরা পাঁচ গুন বেশি পানি পেয়ে থাকেন। ফিলিস্তিনিরা এ অঞ্চলে যেখানে দৈনিক ৬০ লিটার পানি পেয়ে থাকেন, ইসরায়েলিরা সেখানে পান ৩৫০ লিটার।
কেন এই বৈষম্য? রিফুজি ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে এক্ষেত্রে জুতাসংঘ চুপ কেন? ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভুমিতে বাস করে ও কেন পানির জন্য হাহাকার করছে? আর উড়ে এসে জুড়ে বসা জারজ ইয়াহুদীদের কেন এত জামাই আদরে পোষা হচ্ছে? জবাব দে জুতাসংঘ!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬