Hard Candy:
হয়তো শুধুমাত্র সংলাপনির্ভর ছবি বেশিরভাগেরই পছন্দ নয় বলেই এ ছবিটার রেটিং কম। সেই সাথে এই ছবিতে চরিত্র সংখ্যাও অবিশ্বাস্যরকম কম। মাত্র দুটি চরিত্রের সংলাপই এ ছবিটির মূল কাহিনী বলা চলে। ছবিতে এক পারভার্ট ফটোগ্রাফার একজন কিশোরীকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে নিজের বিকৃতকাম চরিতার্থ করবার জন্য। কিন্তু অল্প সময়ের মাঝেই সে বুঝতে পারে যে তার ফাঁদে মেয়েটি পড়েনি, বরঞ্চ উল্টোটাই হচ্ছে।
Good Morning Vietnam:
রবিন উইলিয়ামস যাদের প্রিয় অভিনেতা তাদেঁর কখনোই মুভিটা মিস করা উচিত নয়। ছবিটির কাহিনী এমন কিছু আহামরি নয়, অন্যান্য চরিত্রগুলোও গেৌণ। কেবল মুগ্ধ হয়ে রবিন উইলিয়ামসের অভিনয় দেখেছি আর সংলাপ শুনেছি। এ ছবির মূল চরিত্র ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় সেখানে আমেরিকার সেনাবাহিনীর চালু করা রেডিও স্টেশনের একজন রেডিও জকি। সে তার মন্ত্রমুগ্ধকর কথাবার্তা আর অসামান্য হিউমার সেন্সের কারণে দ্রুত সাধারণ সৈনিকদের মাঝে কিভাবে জনপ্রিয় এবং অফিসারদের কাছে অজনপ্রিয় হয়ে উঠে তার কাহিনী।
Any Given Sunday:
হলিউডের স্পোর্টস মুভিগুলোর খুব বড় ফ্যান আমি নই, কারণ সব ছবিরই একই ফর্মুলা। এ মুভিটা দেখা শুরু করেছিলাম কেবল আমার অতি প্রিয় অভিনেতা আল পাচিনো আছেন বলে। এবং আমার আশা মিছে হয় নি। পুরোটা সময় জুড়েই পাচিনো মুগ্ধ করে রেখেছিলেন এবং বাড়তি বোনাস ছিল জেমি ফক্সের অভিনয়। এক বিখ্যাত রাগবি টিমের পড়তি অবস্থায় টিমের চ্যাম্পিওন কোচের সম্মান বজিয়ে রাখার লড়াই আর টিমের এক নতুন উঠতি তারকার হঠাৎ পাওয়া খ্যাতি নিয়ে টানাপোড়েনই ছবির মূল কাহিনী। দুজন প্রিয় তারকার অনবদ্য অভিনয় আর ছবির কাহিনীর গতি যারা রাগবি বোঝেন না তাদেরও আটকে রাখতে বাধ্য।
Baran:
আমার দেখা তৃতীয় মাজিদ মাজিদি ছবি এবং চিলড্রেন অফ হেভেন আর কালার অফ প্যারাডাইজের সাথে এক কাতারে দাঁড়ানোর দাবিদার। এক কিশোরের অব্্যক্ত প্রেমের অপূর্ব আখ্যান হল বারান। বরাবরের মতোই মাজিদ মাজিদির স্টাইল এবঙ কিছু সিম্বলিক শট আমার মনে গেঁথে গেছে। মুভির কাহিনী বলে মজা নষ্ট করলাম না। আর বারান দেখার জন্য সাজেষ্ট করায় হামা ভাইকে অসংখ্য ধইন্যাপাতা।
The Painted Veil:
পেইন্টেড ভেইল ছবিটা আমার মতে এডওয়ার্ড নর্টনের সেরা কাজগুলোর একটি। এবং এটা আমি ফাইট ক্লাব আর অ্যামেরিকান হিস্টরি এক্স মাথায় রেখেই বলছি। সম্পর্কের টানাপোড়েনের ছবি পেইন্টেড ভেইল। একজন মৃদুভাষী অন্তর্মুখী ইংরেজ ডাক্তারের অতৃপ্ত স্ত্রী যখন অন্য পুরুষের মাঝে ভালোবাসা খেঁাজার চেষ্টা করে তখন রাগে ক্ষোভে প্রতিশোধ নেবার জন্য ডাক্তার স্ত্রীকে নিয়ে যাত্রা করে চীনের দুর্গম অঞ্চলে কলেরা নিয়ে গবেষণা করবার জন্য। গবেষণার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ অভিমানী ডাক্তার আর তার স্ত্রীর শীতল সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পায় সেখানে।
I Am Sam:
এক মানসিক প্রতিবন্ধী পিতার সন্তানের অধিকার দখলের লড়াইয়ের ছবি আই অ্যাম স্যাম। মাতৃহীন একমাত্র কন্যাকে ভালোবেসে বড় করবার দায়িত্ব নেয় স্যাম, যার মানসিক বয়স সাত বছরের এক বাচ্চার থেকে বেশি নয়। কিন্তু কিছু হাস্যকর সামাজিক আইনের কারণে তার সাথে তার কন্যাকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় আদালত। এই ছবিতে শন পেনের অভিনয় সকলেরই হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যাবে। আর ছবির বিশেষ কিছু কিছু মুহূর্তগুলোও অনেকদিন মনে রাখার মতো। বিশেষ করে ডাকোটা ফ্যানিং যখন বই পড়ার সময় বলে যে সে কখনো তার বাবার থেকে বেশি বুদ্ধিমান হতে চায় না। শন পেনের অস্কার নমিনেশন পাওয়া এই ছবিটা সাজেস্ট করবার জন্যও হামা ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা।