বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর হাত ধরে এদেশ অনেক আগেই দেশি বিদেশি কোম্পানির অবাধ লুণ্ঠনের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে; কিন্তু সাম্প্রতিক কালে যেসব তথ্যচিত্র পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এই লুণ্ঠন এখন হরিলুটে রূপ নিয়েছে। শেয়ার বাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন, ডেস্টিনি, বিসমিল্লাহ্ গ্রুপ এর কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠন, হল মার্ক কেলেঙ্কারিতে জালিয়াতি করে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাঙ্কের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট – এসব দেশীয় লুণ্ঠনের কথা সবাই জানে। কিন্তু বিদেশী কোম্পানি শেভ্রনের ৩ কোটি ডলার কর ফাঁকি, রবির ৭৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকির পর এবার ভারতীয় কোম্পানিকে সরাসরি কর মওকুফ করে দিচ্ছে সরকার । রামপালে সুন্দরবন বিধ্বংসী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রির মুনাফার ওপর ভারতীয় কোম্পানি ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনকে (এনটিপিসি) ১০ বছরের করমুক্তি সুবিধা দিয়ে আগামী মাসে চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। এতে বাংলাদেশ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে । দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতীয় কোম্পানির এ অযৌক্তিক দাবির কাছে মাথানত করে শুধু ভারতীয় কোম্পানিকেই লাভবান করা হলো না, কার্যত দেশে কর্মরত অন্য বিদেশী কোম্পানিকেও এ অযৌক্তিক দাবি আদায়ে উৎসাহিত করা হলো। এভাবে কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কর মওকুফ করে দেয়ার গণবিরোধী চুক্তি করার অধিকার কে দিয়েছে সরকারকে?
প্রস্তাবিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এমনিতেই সুন্দরবন বিধ্বংসী
রামপালে প্রস্তাবিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এমনিতেই সুন্দরবন বিধ্বংসী- শব্দ দূষণ, তাপ দূষণ, বায়ু দূষণ, বর্জ্য দূষণসহ সর্বপ্রকার দূষণে সুন্দরবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।“রামপাল কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ শুরু থেকেই হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা ধবংস করে কৃষি জমির উপর এই বিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্পের বিরোধী করে আসছে। তারা সংবাদ সন্মেলন করে বলেছেন : ” প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিশাল এলাকার মধ্যে বসতবাড়ি, ধানী জমি, মৎস খামার, চিংড়ি চাষ প্রকল্প, সবজি ক্ষেত, গরু-মহিষ উৎপাদন খামার, দুগ্ধ খামার, মসজিদ মাদ্রাসা মক্তব কবরস্থান ও অন্যান্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার মাছ, ধান, গরু-মহিষের মাংস এই এলাকা থেকেই উৎপাদন করা হয়। কৃষি জমি অধিগ্রহনের এই উদ্যোগের সাথে সাথে আমাদের রুটি-রুজির সংস্থান আর বাপ-দাদার ভিটে-মাটি সবই যেতে বসেছে। ... বিদ্যূৎ কেন্দ্র স্থাপিত হলে হয়তো কিছু লোকের কর্মসংস্থান হবে কিন্তু জমি অধিগ্রহণের ফলে কৃষি জমি ও কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ কর্মহীন আর উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করা আদৌ সম্ভব নয়। ক্ষতিপূরণ হিসেবে হয়তো কিছু টাকা মিলবে কিন্তু তা দিয়ে নতুন করে কৃষি জমি কেনাও দূরহ। এ অনিশ্চয়তা থেকে আমরা কৃষি জমি রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছি।” [সূত্র- ১]
৮৫% মালিকানাই থাকবে এনটিপিসি’র
যৌথ প্রকল্প বলে ঊল্লেখ করা হলেও মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করেই সিংহভাগ মালিকানা থাকবে ভারতীয় কোম্পানির । এনটিপিসি ও পিডিবির যৌথভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ তিন হাজার ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয় করবে পিডিবি ও ভারতীয় কোম্পানি অর্থাৎ প্রত্যেকে ১৫% করে বিনিয়োগ করবে। বাকি ৭০ শতাংশ বা ৯ হাজার ২৪০ কোটি টাকা অর্থায়ন হবে ঋণের মাধ্যমে যা এনটিপিসি বিভিন্ন ব্যাংক ও দাতা সংস্থার কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।কাজেই দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৮৫% মালিকানাই থাকবে এনটিপিসি’র। বাস্তবে এটি মূলত ভারতীয় মালিকানা ও ব্যাবস্থাপনায় একটি ভারতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রই হবে, যে বিদূৎ কেন্দ্র থেকে সরকার বেসরকারি বিদ্যূৎ কেন্দ্র বা আইপিপি’র কাছ থেকে যেমন চড়া দামে বিদ্যুৎ কেনে সেভাবে কিনবে।
চড়া দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে ভারতীয় কোম্পানি থেকে
উৎপাদিত বিদ্যুতের বিক্রয় মূল্য কত হবে তাও নির্ধারণ করা হয়নি এই চুক্তিতে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এনটিপিসি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাথে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের যৌথ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হওয়ার আগে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পিডিবি কী দামে বিদ্যুৎ কিনবে, জ্বালানি হিসেবে কয়লার মূল্য কত হবে এসব বিষয় চূড়ান্ত করার কথা ছিল। পিডিবি ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসিকে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রাক সমীক্ষা করতে দায়িত্ব দিয়েছিল। ভারতের এনটিপিসি প্রাক সমীক্ষা শেষে পিডিবির কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ১৪ টাকা দাবি করেছিল। এনটিপিসি আবার প্রাক সমীক্ষা করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য আট টাকা ৫৫ পয়সা করার কথা বলে। পরে এ বিষয়ে এক মত না হওয়ায় এখন মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হওয়ার পর মোট ব্যয় ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি ইউনিট জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। “কিন্তু পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে এমনকি বেসরকারি খাতের প্রস্তাবিত মূল্যের চেয়েও বেশি মুল্যে এই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে বাংলাদেশকে। অথচ গত ২০ ডিসেম্বর ওরিয়ন গ্রুপের সাথে পিডিবির চুক্তির সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে কয়লাভত্তিকি কন্দ্রেগুলোর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ৫২২ মেগাওয়াটের কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা এবং খুলনার লবণচোরায় এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র তিন টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি”। [সূত্র ঃ১] যেখানে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পিডিবি প্রতি ইউনিট ৪ টাকা দরে কিনবে সেখানে ভারতীয় কোম্পানি থেকে তা চড়া দামে ( প্রাক সমীক্ষা অনুসারে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা; এই দাম উৎপাদনকালে বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে আরও বাড়তে পারে)কিনতে হবে এবং এই অন্যায্য উচ্চ দামে ২৫ বছর যাবত বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে বাংলাদেশ কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হবে আর পরিপূর্ণভাবে বিশাল অঙ্কের মুনাফা লুটে নিবে ভারতীয় কোম্পানি!
তেল খরচ নিয়ে এনটিপিসির অন্যায্য দাবি
আবার আন্তর্জাতিক বিধান অনুযায়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এক লিটার তেল প্রয়োজন হলেও এনটিপিসি কিন্তু প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য দুই লিটার তেল দাবি করছে। এনটিপিসির এই অন্যায্য দাবি মেনে নিলে বাংলাদেশের বিপুল অর্থ লোকসান গুনতে হবে।
কোম্পানিকে ১০ বছরের কররেয়াত সুবিধা দিয়ে দিচ্ছে সরকার ঃ ভয়াবহ ভারতীয় লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত হবে
কাঁচামাল আমাদের, জমি/ভূমি আমাদের, দ্বিগুণ পরিমাণ তেল আমরা সাপ্লাই দিব, আমাদেরই কৃষিজমি-বসত ভিটা-জল-জঙ্গল-জীবন ও অর্থনীতি ধবংস করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে- তারপরও মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করে আর দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে (এই ঋণ আমাদেরই পরিশোধ করতে হবে) অন্যায়ভাবে ৮৫% মালিকানা তুলে দেয়া হবে এনটিপিসির হাতে আর সেই এনটিপিসি নিজের ইচ্ছামত চড়া দামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের কাছেই বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুটবে। এই সব কিছুই ভয়াবহ ভারতীয় লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দিবে যে লুণ্ঠন ঔপনিবেষিক আমলের অবাধ লুণ্ঠনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। খোদ ভারতের মাটিতে বিনিয়োগ করেও এতো মুনাফা লুটতে পারবে না কোন ভারতীয় কোম্পানি। কিন্তু ভারতীয় লুণ্ঠন আর আধিপত্যবাদের কাছে নিজেকে সঁপে দেয়ার এটাই শেষ পদক্ষেপ না, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে পরিমাণ মুনাফা করবে ভারতীয় কোম্পানি তার পুরোটাই যেন ভারতে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য কোম্পানিকে ১০ বছরের কররেয়াত সুবিধা দিয়ে দিচ্ছে বর্তমান সরকার। এই ধরনের অন্যায্য, অসম, অবৈধ চুক্তি [যা সম্পূর্ণভাবেই বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী] বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। নতজানু হওয়ারও একটা সীমা আছে, আধিপত্যবাদী শক্তির সেবাদাসত্ব করারও একটা সীমা আছে , বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সেই সীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশের জনগণের সর্বপ্রকার স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যেভাবে ভারতীয় স্বার্থ দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান মেনে নিয়ে যেভাবে ভারতীয় লুণ্ঠনকে প্রশস্ত করার পথ তৈরি করে দিচ্ছেন তাতে এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেল এরা মুখে যতোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলুক না কেন, এরা যতই স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি বলে নিজেদের জাহির করুক না কেন, মূলত এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সচেতন হন্তারক। যে চেতনা ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির অধীনস্ততা মেনে নেয়, যে চেতনা দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং রাষ্ট্রনীতিতে সাম্রাজ্যবাদী এবং আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী ভারতের নয়া-উপনিবেশবাদী শোষণ-নিপীড়নকে স্বাগত জানায়, যে চেতনা ভারতীয় পুঁজির করপোরেট আগ্রাসন এবং অবাধ লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়িয়ে উল্টো তার এজেন্সির দায়িত্ব পালন করে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
নিষ্ক্রিয় বিরোধী দল ঃ প্রতিবাদহীনতায় তরান্বিত হচ্ছে ভারতীয় লুণ্ঠন
এই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ভারতীয় কোম্পানির সাথে যে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তির আয়োজন পাকাপোক্ত করা হচ্ছে তার প্রতিবাদে বিরোধী দল বিএনপি-জামাত জোটকেও আমরা উচ্চকণ্ঠ হতে দেখিনা, এতোগুলা হরতাল দেয়া হল কোথাও এই সুন্দরবন বিধ্বংসী চুক্তির ইস্যু অন্তর্ভুক্ত করা হল না! দলের স্বার্থে আর নেতাদের জন্য হরতাল দিতে পারেন, কিন্তু গনমানুষের স্বার্থে হরতাল দিতে পারেন না কেন? গণতান্ত্রিক কাঠামোতে বিরোধী দলের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী যে কোন কার্যকলাপের কার্যকর প্রতিবাদ জানানো। এই দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অবহেলা করে বিরোধী দল বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় লুণ্ঠনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির অধীনস্ততা মেনে নিয়ে আর যাই হোক গণমানুষের রাজনীতি হবে না!
আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধী নই কিন্তু বিদ্যুৎ সংকটের অযুহাতে জল-জমি-জঙ্গল-জীবন ও অর্থনীতি ধবংসকারী কোন প্রকল্প মেনে নিতে রাজী নই। আমরা মনে করি, কৃষিজমি, সুন্দরবনের মতো সংরক্ষিত বনভূমি কিংবা জীবন-অর্থনীতি ধবংস না করেও বড়-ছোট-মাঝারি নানান আকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব যদি মুনাফার আগে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়------------------- প্রকৌশলী এবং আন্দোলন কর্মী কল্লোল মোস্তফা।
আমাদের দাবিঃ
১। অবিলম্বে সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাতিল করতে হবে এবং অন্য কোন নিরাপদ জায়গায় তা প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
২। যে কোন কোম্পানিকে মুনাফার উপর কর মওকুফের মত জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিষিদ্ধ করতে হবে। ভারতের কোম্পানির সাথে চুক্তির বিভিন্ন শর্ত এবং প্রস্তাবনায় সম্পূর্ণ ভাবে বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতীয় লুণ্ঠনকে তরান্বিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহবান জানাই।
বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক ছাত্র-শিক্ষক-জনতাকে এই ভারতীয় আধিপত্তবাদ আর লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।
সূত্র
১। Click This Link