somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররাজনীতি মুক্ত থাকুক

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির বয়স অনেক পুরোনো, যে কোনো সরকার চাইলেই সেটাকে নিষিদ্ধ করতে পারবে না, আর সেখানে ছাত্ররাজনীতির সুফলগুলা কি সেটা দেখতেই পাচ্ছি !
গত তিন দশকে ছাত্ররাজনীতির সুফলতা কি আসলে ?
ছাত্ররাজনীতি আসলে প্রয়োজন কেনো ?
ভবিষ্যতের নেতা হতে ? ট্রাম্প কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি ছিল ভাই ? মোদী ?..... আর থাকলো মেজর জিয়া ?
সে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ছিল ? খালেদা জিয়া কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা? তারেক রহমান ? বাকীসবার কথা আপাতত pause.
তার মানে It's not important to involve with student politics to be a leader. তাদের যদি নেতা হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাটফর্ম প্রয়োজন না হয়, তাহলে আপনার কেনো প্রয়োজন হচ্ছে ?
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এতো মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি হয় অথচ দেখেন তাদের উল্লেখযোগ্য একাডেমিক কোনো অর্জন নাই, বিশ্বের নামকরা ৫০০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরা নাই, হাজারের দিকে মাঝে মাঝে ঢুকি আবার বাইর হই, তো এইসব ধান্দাপানি বাদ দিয়া যেটা করতে বাপ মা পাঠাইসে, সেটা করাই উচিত নয় কি ?
বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর উদ্দেশ্যটাকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছি এই লাইনে যে, "বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু পড়াশোনার জন্যে?"
নাহ, শুধু পড়াশোনার জন্য না, ভার্সিটিতে থিসিস করেন, ক্লাবিং করেন, ডিবেট করেন, গবেষণা করেন, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীই হয়েছে এজন্যে ! শুধু ছাত্ররাজনীতিটা কইরেন না, তারপরেও এতো ইচ্ছা থাকলে পড়াশোনা শেষ করে লীগ/বিম্পি/শিবির/জামায়াতে... যোগ দিয়েন, অনেক সুযোগও পাবেন, কেও বাধা দিবে না।
আপনারা ২/৩ জন একটা পলিটিক্যাল মিট আপ করলেন সেটার জন্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রাখতে হলো, আজ ১০ জন আছেন, কাল ৫০ হবেন, পরশু ৫০০, তারপর বলবেন, এবার আমাদের ভেতরে ঢোকার পালা। তারপর আবরার হবে কোনো এক সাধারন শিক্ষার্থী যে কি না শুধুই একজন গবেষক হতে চেয়েছিলো...
যদি আপনার কথাকে সত্য ধরেও নিই, তবুও ২০ বছর পরে আপনাদের অনুজরাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও তান্ডব চালাবে, তখন আপনি আর সেটাকে ঠেকাতে পারবেন না, এই শুরুর দায় সেদিন নিবেন ? যদি সেইদিনের সেই দায় না নিতে পারেন, তাহলে ভাই প্লিজ, বাদ দেন । আপনি হয়তো রাজনীতির সুফল ভোগ করবেন কিন্তু আপনার রাজনীতির কারনে যে শিক্ষার্থীদের বৃহৎ একটা অংশ তাদের নিয়মিত কার্যক্রম করতে পারলো না, তাদের এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার আপনি কে ?
গাছের মাথায় উঠতে হলে কিন্তু আগে গোড়া ধরতে হয় ভাইয়া ! এটা বোঝেন তো? বেসরকারীগুলোতে প্রবেশ করে আপনারা গোড়া ধরার চেষ্টা করতেছেন কেবল! যখন মাথা ধরা শিখবেন তখন আর আপনার অনুজদেরকেও হেলমেট/হকিস্টিক বাহিনী হওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না, লিখে নেন।

আমরা কোনো আবরারদেরকে দেখতে চাই না, সাদ্দামদের তান্ডবলীলাও দেখেছি, সুতরাং এবার অন্তত বেসরকারিগুলোকে ক্ষমা করেন ! তবুও একান্তই যদি আপনার/আপনাদের রাজনীতিটা মেইন উদ্দেশ্য হয় তাহলে কোনো একটা ন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন, আরো ব্যাপক আকারে নিজেরে নেতা প্রমান করতে পারবেন, তাও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলাকে ক্ষমা করেন !

স্বৈরাচার তাড়ানোর সময়ে সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একত্রিত হয়েছিলো কোনো প্লাটফর্ম ছাড়াই, তারা সফলও হয়েছে, স্বৈরাচার তাড়ানোর পরে তারা আবার টেবিলে ফিরেও গেছে, ভ্যাট আন্দোলন করেছি, সফল হয়েছি, টেবিলে ফিরেও এসেছি, সড়ক আন্দোলন করেছি, সফল হয়েছি, আবার টেবিলে ফিরে এসেছি, কোনো লীগ/দল/শিবিরের প্লাটফর্ম বেছে নিতে হয় নি, যদি আবারো প্রয়োজন হয়, আমাদের অনুজরা আবারো রাস্তায় নামবে অন্য কোনো স্বৈরাচার তাড়াতে কিংবা জনতার অধিকার আদায়ে । দেশের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই তারা আবারো একত্রিত হবে কিন্তু কোনোভাবেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে ছাত্ররাজনীতির ট্যাগ লাগতে দেওয়া যাবে না, না মানে একদম না । একদম মোটাদাগে "না"।

আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা এইসবের প্রতি কঠোর হন, ওরা ছাত্ররাজনীতির যতই সুযুক্তি দেখাক, ওটা শুধু খাতায় লেখা রচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, বাস্তবতা আমরা স্বাধীনতার পর থেকেই দেখছি, থিওরির চেয়ে বাস্তবতার ভ্যালু অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ ! যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যটা ধরে রাখতে চান তাহলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, আগাছা ছোট থাকতেই ছাটতে হয় । ছারপোকা খুব বেশি দরকার হয় না, পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত করার জন্য এরকম ২/৪ টা ছারপোকাই যথেষ্ট ! এদেরকে যত শুরুতে বিনষ্ট করা যাবে ততই মঙ্গল !




সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৬
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন: প্রতারকদের ভীড়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সহায়তা কার্যক্রম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪


জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত হওয়ার ভুয়া দাবি করে সহায়তার টাকা নিতে গিয়ে ফাঁস হয়েছেন মামি-ভাগনে ফারহানা ইসলাম ও মহিউদ্দিন সরকার। তাঁদের জমা দেওয়া এক্স-রে রিপোর্ট যাচাই করে দেখা যায়, দুটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামনে বিপুল, বিশাল চ্যালেঞ্জঃ মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম বিএনপি?

লিখেছেন শেহজাদ আমান, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



১. ভুল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, দূরদর্শিতার অভাব

বিএনপি বাংলাদেরশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। লোকবল ও জনপ্রিয়তায় তাঁর ধারেকাছেও নেই অন্যকোনো রাজনৈতিক দল। মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক ধারায় আছে বলেই বাংলাদেশের মধপন্থী ও উদারপন্থী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ বিশ্বাস

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৮




সূরাঃ ৫৭ হাদীদ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩।তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন এবং তিনি সব কিছু জানেন।

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিঠি।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩০



চিঠি: এক হারিয়ে যাওয়া অনুভূতির নাম

চিঠি—শুধু একটুকরো কাগজ নয়, এটি আবেগের স্পর্শ, অপেক্ষার মধুরতা, ভালোবাসার নিঃশব্দ উচ্চারণ। এক সময় মানুষের ভাব বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল এই চিঠি। স্বামী লিখতেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমা করবেন আরেফিন সিদ্দিক স্যার..

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭


আরেফিন সিদ্দিক স্যারের লাশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না। ক্যাম্পাসের সাথেই সংযুক্ত হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রাখা। শহীদ মিনারেও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেবে না, ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে হবে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

×