
পর্নো সিডি কপি করে এশিয়ান শ্রমিকদের কাছে বিক্রির দায়ে শারজাহ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের ৩ যুবককে। অভিযোগ আছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে শারজার শিল্প এলাকা ও আবাসিক এলাকাগুলোতে এভাবে পর্নো সিডি বিক্রি করছিল। এ খবর দিয়ে অনলাইন খালিজ টাইমস জানায়, গ্রেপ্তার করা বাংলাদেশী যুবকদের পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি। তাদেরক গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) কর্মকর্তাদের বলেছেন, তাদের কাছে এমন মেশিন আছে যা দিয়ে তারা প্রতি ঘণ্টায় ১০০০ সিডি কপি করতে পারেন। তারপর তার প্রতিটি সিডি বিক্রি করেন ১০ দিরহামে। গ্রেপ্তার করার পর তাদেরকে তুলে দেয়া হয়েছে পাবলিক প্রসিকিউশনে। এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, নকল পণ্য ও সিডি উদ্ধার অভিযানে এ বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় বাংলাদেশী ওই ৩ যুবকের কাছে বেশ কিছু পর্নো সিডি পাওয়া যায়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, এ রকম অপরাধ কমিয়ে আনতে তারা আরও অভিযান পরিচালনা করবেন। তারা মানুষের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষা করতে চান। এ সময় তিনি তাদের এ অভিযানে জনগণের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। এরকম কোন পণ্য কাউকে বিক্রি করতে দেখলে তা সিআইডি’কে জানানোর অনুরোধ করেন। খালিজ টাইমস আরও জানায়, পুলিশ এর আগের দিন অভিযানে এক ইলেক্ট্রনিক দোকানের মালিককেও গ্রেপ্তার করেছে। কারণ, তিনি ইলেক্ট্রনিক কার্ড বিক্রি করেন। এই কার্ড দিয়ে পর্নো ওয়েবসাইট খোলা যায়। এই দোকানিকে গ্রেপ্তার করা হয় বুধবার আল ঘুওয়াইর এলাকা থেকে। এ সময় তার দোকান থেকে উদ্ধার করা হয় ২২টি ইলেক্ট্রনিক কার্ড। তিনি পুলিশকে বলেছেন, তিনি যুবকদের কাছে এসব কার্ড বিক্রি করতেন। তিনি ওই কার্ডগুলো কিনেছেন প্রতিটি ৯০ দিরহামে। আর বিক্রি করেন ৩৩০ দিরহামে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ শারজাহ সহ বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেÑ তারা যেন তাদের সন্তানদের এই আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে তাদের নিকে নজরদারি করেন। তাদের কাছে এ ধরনের ইলেক্ট্রনিক কার্ড আছে কিনা তা পরখ করেন। কারণ, এই কার্ড দিয়ে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটগুলোতে যেকেউ ঢুকে পড়তে পারে।
সুত্রঃ খালিজ টাইমস