১.
ভাবলাম অনেক অনেক কিছুই যেমনটা তুমিও মেঘের সাথে-
আত্মহত্যাপ্রবন সময়ের সাথে চলে গেছো যতক্ষন না কিডন্যাপড আমি এবং অনেককিছুই।
আমি আসতে পারিনি তার মানে এই নয় আমি ছিলাম না। তোমার মন খারাপের যুগসন্ধিতে আমিতো থাকিই! কিছু বুঝছো? কিছুটা? বৃষ্টিরা কিছু বলে? ধোঁয়া ধোঁয়া!
ছবিতে কত দাগ পড়ে, আমাদের হাতে থাকে সাদা খাতা । আমাকে শিখিয়ে দাও গালে টোল পড়ার রহস্যটা! আর কটা সোজা দাগে ঘুড়িটা আমি? কতদিন দুঃস্বপ্নেও আমি পাখি হয়ে উড়েছি। আজ গাছ আর পাখিদের ভিড়ে হয়ে যাই চারকোনা ম্যাচ বাক্স;
তারপর পুড়ি শুধু বেদনা হয়ে পুড়ি!
২.
আমি ভাবি
এখানে সেখানে সবখানে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়ে
বিছিয়ে দিয়ে মায়া-
তুমি চলে গেছো।
বাইরে শ্রাবনের শেষ বৃষ্টি!
তুমি কেন হাওয়ায়?
বিস্ময়ে বিস্ময়ে
প্রশ্ন জিজ্ঞাসায়
ফুল গুলি
মিলিয়ে গেলো না-বনে!
৩.
কোথাও এতটুকু নেই কোনোখানে নেই যা খুঁজি তা। আমার হয়ত কিছুই হওয়া হলনা, আমার পাওয়া হলনা হয়ত কিছুই।আমি অবাক হয়ে ভাবি এমন পাওয়ার আশা কি করেই বা হয়।
কি বিস্ময় কি বিস্ময়! আমার দুচোখ অন্ধ হলেই ভাল....
কেন আমি যাই,কেন পথ পড়ে থাকে পথে,ক্লান্তিতে অবহেলায়! কেন আমি দেখি, কোথাও আমাদের স্মৃতিরা এতটুকু ভাঙ্গা টুকরার মত পড়ে আছে কি!
পাইনা কোথাও তুমি লীন হয়ে গেছো খুব....
৪.
বৃষ্টি খুবি মিষ্টি মেয়ে
যেই থেমেছে ঘেমে নেয়ে,
অমনি এসব দেখে,
রোদের টি শার্ট কেঁচে ধুয়ে হাওয়ায় মেললো কে?
তুমি তুমি-
তোমার হাতেই পাগলামিরা ভর করে,
বাগান ভরে ফুটবে বলে নীল ফুলেরা দর করে!
৫.
এইবার খুব ইচ্ছে চুরি করে ফেলি তোমার মুখের কথা।
যেন আমি বলছি, তুমি আমার প্রার্থনায় আছো বহুযুগ!
শীতল গুহার গভীর পঙ্কতিমালা- ঝরনা নাম হয়ে যায়। তুমি নামের কারিগর,সহস্র শব্দ ইনতেজার করে কোথায়?
এখানে এখানে....
যেখানে খুব ইচ্ছেরা ছাইকাঠে বলি হয়ে যায় রোজ!
তুমি তো কই রাখছোনা সে খোঁজ।
৬.
এইযে তুমি ট্রেনের উপর দুলছো, এক মিথ্যে আশ্রয়ে ক্ষুদ্র থেকে আরো বেশি, ডুবে যেতে যেতে টের পাও, তোমার হয়ত যাবার কথা ছিলনা।
তুমি সেই অনুভব, তুচ্ছতায় ধরে রাখো, ঈশ্বর যদি ক্ষমা করে!
গভীর থেকে আরো গভীরে একটি সত্য লেখার অপরাধ, তোমার ভালো থাকতে ইচ্ছে করে।
কারুকাজ করা বনচায়না কাপে চুমুক দিতে মন চায় বিকেল হলেই।
অথচ স্রোতের উল্টো দিকে যেতে তোমার ক্ষয় হয়ে যায় সব। বিশ্বাস করো তোমাকে দেখে ঈশ্বর মুচকি হাসে।
বিপরীত আয়নায় ভেসে ওঠে নোনা মাছ!
বিশ্বাস করো জলের ভেতর কেউ কারো ছায়া দেখেনা!
৭.
একি চঞ্চল, কিসের শব্দ? বৃষ্টি আসে বৃষ্টি যায়।
তোমার প্রেমিকা নাম মহল্লা বাতাসে, উড়ে আর কানে আসে!
একি রাত্রি...
আলো নেই, তোমার প্রেমের মত ভাল নেই আর কিছু।
তুমি কত পাপ করেছিলে!
তোমার চোখের জল ছুঁয়েছে আমাকে, আমি আর লিখতে পারিনা কি সেই অভিশাপে?
৮.
আমার না দেখা প্রিয়দর্শিনীর জন্য কোমল সকাল লিখে রাখো, আজ আর রোদ উঠবেনা।
তুমি কমলা রং এর টি শার্ট হারিয়ে ফেলেছো!
নিত্যদিন আমরা হারিয়ে ফেলছি সুধা,আমাদের দেখা গোপন কোন স্বপ্ন! তুমি জঙ্গল ভ্রমনের মত সহজ, তুমি যাচ্ছো তুমি যাচ্ছো।
তুমি জেনে যাও-
কখনো জন্ম না নেয়া সে পদ্মিনী,
আর কখনো মুখ দেখবেনা আলোর।
এইসব প্রবাসী সত্য সূর্যের কাছে বাধা পড়ে গেছে।
এই দেখো-
আমার মন খারাপ!
৯.
আমাকে প্রশ্ন কর আমিও দিতে পারি তার কিছু, উত্তরে হিম হিম হাওয়া!
পুরোনো পাতলুনে করে বেশ কিছু স্মৃতি! অযথাই বসে আছি, সারারাত নিমফুল হয়ে...
সারারাত ভাবি এক নিঃশ্বাসে যায় কত দূর যাওয়া!
১০.
জলদগম্ভীর গভীরতা,
হারিয়ে যাওয়া কাকে বলে তুমি জানো?
চুল খুলে রাখা মেয়েটা ধূসর মাছের মত পিছলে যায়, জলে নেমে যায়, তলে নেমে যায়!
ছায়াদর্শন গুহায় গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। তাকে নাম ধরে ডাকো।
কতকাল সে ডাক পাহাড়ে পাহাড়ে ফুলচোরা পথের মত, নগন্য শ্যাওলার মত সেঁটে রইলো।
হারিয়ে যাওয়া বুঝি একেই বলে। তুমি আর আসোনা। আমি আর আসিনা। আমাদের আশারা চলে গেছে বর্ষা আসার আগেই।
সমস্ত প্রতীজ্ঞা ভেঙে আমার একটি প্রেম দেখতে ইচ্ছে করে, যাতে চাঁদের মত কলঙ্ক নেই,ঈশ্বরের মত নির্লিপ্ততা নেই, অপহরনের মত ব্যামো নেই!
আরো সকল নেই নেই বেনির মত কালো চুলে জড়িয়ে আছে মেয়েটির। সেই যে গো, যাচ্ছি বলে জলেই নামলো।
আমি তুমি আমরাও এমন আর খোঁজ রাখিনা,
হারিয়ে যাওয়া কাকে বলে,
কাকে বলে!
বলো?
শনপাপড়ির মত মুখে দিতেই হারিয়ে গেলো মেয়েটা!
১১.
এত জল দেখেই আজ বৃষ্টি হল। মেঘ নুয়ে পড়ল আঁচলে। আকাশ থেকে কিছু বারুদ খসা মেঘ ব্যাথায় কাতর যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে, যেন শেষ হয়ে গেছে অংক বালিকার পৌরাণিক প্রেম!