০.৪. বিশ্লেষণ:
মুসলমান কবি রচিত জাতীয় আখ্যান কাব্যগুলোর মধ্যে সুপরিচিত মহাকবি কায়কোবাদ রচিত এই মহাশ্মশান কাব্যটি। বলা যায় কায়কোবাদের মহাকবি নামের খ্যাতি এই মহাশ্মশান কাব্যের জন্যই। কাব্যটি তিন খন্ডে বিভক্ত। প্রথম খন্ডে ঊনত্রিশ সর্গ,দ্বিতীয় খন্ডে চব্বিশ সর্গ, এবং তৃতীয় খন্ডে সাত সর্গ। মোট ষাট সর্গে প্রায় নয়শ' পৃষ্ঠার এই কাব্য বাংলা ১৩৩১, ইংরেজি ১৯০৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। যদিও গ্রন্থাকারে প্রকাশ হতে আরো ক'বছর দেরী হয়েছিল।সে সময়ের খন্ড কবিতার যুগকে অস্বীকার করতে গিয়েই মহাশ্মশান কাব্যের পরিধি এত বড় হয়ে উঠেছে। একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধযজ্ঞকে রূপায়িত করতে গিয়ে কবি বিশাল কাহিনী,ভয়াবহ সংঘর্ষ, গগনস্পর্শী দম্ভ,এবং মর্মভেদী বেদনাকে নানাভাবে চিত্রিত করেছেন। বিশালতার যে মহিমা রয়েছে তাকেই রূপ দিতে চেয়েছিলেন এই কাব্যে।
'মহাশ্মশান' এককথায় ঐতিহাসিক প্রণয় কাহিনী বা ঐতিহাসিক ট্রাজেডির রূপ পেয়েছে। মানুষের দেহাশ্রিত কামনা বাসনার যে ব্যাপক ও গভীর অভিব্যক্তি সমসাময়িক কালের কথাসাহিত্যে পাওয়া যায় কবির শিল্পী মন নিজের অজ্ঞাতেই তা স্বীকার করে নিয়েছে। এই কাব্যে বীরবৃন্দ পানিপথ যুদ্ধের মহা আয়োজনে ব্যাপৃত। দেশের জন্য ধর্মের জন্য, স্বজাতীর জন্য তাদের উৎকন্ঠার শেষ নেই। আসন্ন সংঘাতের ভাবনা তাদের বিচলিত করেছে কিন্তু সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনা ঘটেছে তাদের হৃদয়ে। নারী প্রতি হৃদয় ব্যপৃত তবু কবির সচেতন মন দেশপ্রেম ও স্বজাত্যবোধকে জাগ্রত করার প্রয়াস পেয়েছেন কাব্যটিতে।
দেশ ও জাতির সংকটে ইতিহাস শক্তিশালী প্রেরণাদাত্রী হতে পারে তা কবি অনুভব করেছিলেন হৃদয় দিয়ে। তাই দেশ ও জাতীর পুনর্জাগরনের লক্ষ্যে কবি ইতিহাসের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং লিখেছেন 'মহাশ্মশান'।কায়কোবাদ শুধু আত্মপ্রত্যয়ী কবি নন,আত্মসচেতন ও আত্মসন্ধানী কবিও।
'মহাশ্মশান' কাব্যের বিষয়বস্তু নির্বাচনে তিনি শুধু স্বাতন্ত্রবাদীতা,মৌলিকত্ব ও অভিনবত্বের পরিচয় দিয়েছেন তা নয় এক্ষেত্রে তার সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিক ঔদার্যের পরিচয় মেলে। উনিশ শতক পুনর্জাগরনের যুগ।এই পুনর্জাগরন বাঙালি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যেমন একই সময়ে আসেনি তেমনি মানসিকতার দিক থেকেও ঐক্যবদ্ধ ভাবে হতে পারেনি। বরং এসেছে ভিন্ন পথে। পুনর্জাগরনবাদী হিন্দু লেখকেরা ভারতবর্ষ বা বাঙলা বলতে হিন্দু ভারতবর্ষ ও মুসলমান বর্জিত বাংলাদেশ বুঝতেন,পুনর্জাগরনবাদী মুসলমানদের চেতনায়ও তেমনি এদেশের চেয়ে আরব-ইরান বেশি নিকটের হয়ে উঠেছিল।কিন্তু ইসলামের মাহাত্ম্য গান করেও এই বিভ্রান্তি থেকে কবি সযতনে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কায়কোবাদের কবি মানস সর্বদাই সংকটের গভীরে পৌঁছানোর মত প্রজ্ঞা ও সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কার্যকর ছিল।
একজন যথার্থ মুসলমান হয়েও সর্বপরি তিনি ছিলেন বাঙালি,তাঁর দৃষ্টিতে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য মানে হিন্দু মুসলমানের মিলিত ঐতিহ্য। দেশকে শৃঙ্খলামুক্ত করতে হলে হিন্দু মুসলমানের সম্মিলিত জাগরন ও প্রয়াস প্রয়োজন,একারনে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি কামনা তার কবি-মানসের এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এর মুলে রয়েছে কবির সুন্দর, উদার ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাব এবং গভীর দেশপ্রেম।
কায়কোবাদের ইতিহাস চেতনা এই বৈশিষ্ট্যে তাৎপর্যমন্ডিত। জাতীয় জীবনের বিপর্যয় থেকে জাতিকে রক্ষার তাগিদে কবি 'মহাশ্মশান' রচনা করতে গিয়ে এমন এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে বেছে নিলেন যে ইতিহাসে হিন্দু মুসলমান উভয় জাতিই বীরত্বে,দেশপ্রেমে,আত্মত্যাগে ও সাহসিকতায় অনন্য। কাব্যের মধ্যেও কবি উভয় জাতিকেই সমান গুরুত্বে ও মর্যাদায় এঁকেছেন।
পরিনতিতে জয়-পরাজয় আছে বটে,কিন্তু তা কবির কাছে প্রাধান্য পায়নি। কারন কবি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন একটি জাতির স্বত্তা, অস্তিত্ব নির্মিত হয়েছে প্রধান যে দুটি সম্প্রদায়কে নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় ই প্রায় বিধ্বস্ত ও নিঃশেষ হয়ে গেছে। কাজেই সাময়িক জয় পরাজয় সূচিত হলেও,সামগ্রিকভাবে জাতিটির ধ্বংশস্তূপ রচিত হয়েছে এই 'মহাশ্মশানে'।
যে কারনে অচিরেই দেশ পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়েছে। এ বাস্তব সত্য অনুধাবন করেছিলেন বলেই কবি ইতিহাসকে আশ্রয় করে কাব্য রচনা করেছিলেন জাতির পুনর্জাগরনের লক্ষ্যে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে জাতিকে আহবান করেন কবি, তবে এই আহবান শুধু তার স্বজাতির জন্য নয় বরং তিনি চেয়েছেন সমগ্র বাঙালি জাতির পুনর্জাগরন।এখপানেই কবির চিন্তাধারার স্বাতস্ত্র্য, গভীর উপলব্ধির প্রকাশ।যা সত্যিই তাঁর যুগ তাঁর শিক্ষার প্রেক্ষিতে অসামান্য অতুলনীয় ও বিস্ময়কর। তাঁর ইতিহাসচেতনা অনেক বেশি প্রাগ্রসর, প্রখর দূরদর্শিতায় উজ্জ্বল, যা সমকালের হিন্দু মুসলমান কেউই উপলব্ধি করতে পারেনি। এ ব্যর্থতা কবির নয় বরং যুগের ব্যর্থতা,বাঙালীর ব্যর্থতা।
কবি তাঁর সদিচ্ছা নিয়েই সমগ্র বাঙালী জাতিকে জাগ্রত করতে চেয়েছিলেন।। বোঝাতে চেয়েছিলেন নিজেদের মধ্যে বিবাদে বা সংঘর্ষে দেশ ও জাতির উন্নতি হয়না বরং বিপর্যয় ও ধ্বংসাত্মক পরিনতি নেমে আসে জীবনে, এ শিক্ষায় জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন সেদিন।
'মহাশ্মশান'কে কবি কায়কোবাদের প্রখর ইতিহাস চেতনার ফল হিসেবে আখ্যা দেয়াই যায়।ইতিহাসের প্রতি অখন্ড শ্রদ্ধা না থাকলে এত সরলভাবে ইতিহাস তা সাহিত্যে তুলে আনা সম্ভব নয়।
তাঁর কাব্যে উদার ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টি ছিল যা সমসাময়িক অন্যান্য কবি সাহিত্যিকের রচনায় দেখা যায়না।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের মন্তব্য এ প্রসঙ্গে বলা যায়। তিনি বলেছেন,
''আধুনিক বাংলা কাহিনী কাব্যের ধারায় রঙ্গলাল,হেমচন্দ্র প্রমুখ হিন্দু বীরের মাহাত্ম্য কীর্তনের জন্য মুসলমানকে প্রতিপক্ষরূপে এবং হীনবর্ণে চিত্রিত করেন।এই পরিবেশে মুসলমান কবি কায়কোবাদই প্রথম কাহিনী কাব্যকার যিনি সাম্প্রদায়িক ক্ষুদ্রবুদ্ধিকে প্রশ্রয় না দেবার প্রতিশ্রুতি ঘোষনা করেন।''৬
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে রচিত বিপুল আয়তনের এই কাব্যে হিন্দু মুসলমান উভয় জাতির একটি চরম সংকটকে গ্রন্থে অত্যন্ত নিরপেক্ষ উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে কেন্দ্রীভূত করেছেন।
সৈয়দ আলী আহসান তাই যথার্থই বলেছেন,
''কায়কোবাদ বাংলা কাব্যক্ষেত্রে হিংসা ও বিদ্বেষের যে পরিপ্রেক্ষিত নির্মানের প্রয়াসী হয়েছিলেন।-একটি অতুলনীয় সাম্যবাদের আনন্দলোক নির্মান করেছিলেন,যেখানে হিন্দু এবং মুসলমান একই দেশবাসী এবং একই প্রকৃতির মানবীয় গুনাগুনে বিভূষিত।''৭
কাজী আবদুল মান্নান এই কাব্য প্রসঙ্গে বলেন,
'' মহাশ্মশান' কাব্যের ঘটনা প্রধানত হিন্দু মুসলমানের সংঘর্ষ;কিন্তু কবি তাকে নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে অঙ্কিত করেছেন।'' ৮
প্রত্যক্ষভাবেই কবি ইতিহাসের চেতনায় ব্যপৃত ছিলেন ঠিকই তবু হিন্দু মুসলমানের ভেতরকার এই সম্পর্ক কবি উপেক্ষা করতে পারেন নি। অন্যদিকে লক্ষ্য করা যায় যে, বিশ শতাব্দীর সাহিত্যক্ষেত্রে নতুন জাগরনের বানীকে তিনি স্বীকার করেন নি, তা তাঁর কবি মানসকে বিচলিত করতে পারেনি। সুতরাং কবি প্রতিভার যথার্থ বিচার করতে গিয়ে তাঁকে রবীন্দ্রযুগে ফেললে ভুল হবে। তাঁকে বিচার করতে হলে উনিশ শতকের শেষার্ধের জাতীয় জাগরন ও ভাবধারার সঙ্গে জড়িয়ে নিতে হবে। মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতি কবির একনিষ্ঠ শ্রদ্ধা ছিল কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতি অন্যায়ভাবে দোষারোপের পক্ষপাতি ছিলেন না। 'কবি কাব্য ও সমালোচক ' প্রবন্ধে কবি নিজেই লিখেছেন,
''কবি হিন্দুই হোন আর মুসলমান ই হোন যখন যে জাতির কথা বলিবেন,তখনই সেই জাতির জাতীয়তার মধ্যে আপনাকে ডুবাইয়া দিয়া তাহাদের ই ভাবে বিভোর হইতে হইবে।''৯
অধ্যাপক আশরাফ ফারুকী লিখেছেন,
''কায়কোবাদের কাব্যে ইসলামী সংস্কৃতি ও জাতীয়তার পরিচয় কবির সম্যক জাগৃতির ফলে আসেনি। হেম-নবীন যেমন নিজেদের জাতীয় ঐতিহ্য থেকে বিষয়বস্তু অবলম্বন করেছেন,কায়কোবাদও তেমনি। কিন্তু কায়কোবাদের কৃতিত্ব হচ্ছে এই যে,তিনি পুঁথি সাহিত্যের ঐতিহ্যকে কতকটা নব সত্তায় উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন। তাই পরবর্তী সচেতন ইসলামী সংস্কারবাদীদের পূর্বসূরী হিসেবে তার কাব্য প্রকৃতির মূল্য অনস্বীকৃত।''১০
কায়কোবাদ খাঁটি বিশ্বাসী ব্যাক্তি। ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ছিল কবি জীবনের মূল আদর্শ।কিন্তু ইসলামের সত্যরূপ তাঁর কাছে অনাবিষ্কৃতই থেকে গেছে। তাঁর ধর্ম বিশ্বাসের অকৃত্রিম আদর্শের নিকষে তিনি বিংশ শতাব্দীর সাহিত্যকে যাচাই করে দেখেছেন আর দূর্ভাগ্যক্রমে তাতে তেমন উজ্জ্বল কোন রেখাপাত করতে পারেন নি।
কাজেই কবি তাকে গর্হিত,অধার্মিক,এবং অশ্লীল ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করে দূরে ঠেলে দিয়েছেন। তার সুদীর্ঘ জীবন দশায় কোন নিন্দুবাদই তার বিশ্বাস,ধর্ম ও আদর্শের বর্মকে ভেদ করতে সমর্থ হয়নি।হিন্দু শুচিবায়ুগ্রস্থ বৃদ্ধ যেমন ভাবে সব ধরনের অবাঞ্চিত দ্রব্যের স্পর্শ বাঁচিয়ে চলে- কায়কোবাদ তেমন করেই বিংশ শতাব্দীর আধুনিকতাকে এড়িয়ে গেছেন।
'মহাশ্মশান প্রসঙ্গে কবির নিজের মন্তব্য প্রমান করে যে কবির আত্ম দাম্ভিকতা ছিল তার নিজস্ব ক্ষমতার প্রতি। তিনি বলেন,
''আমার এই মহাশ্মশান কাব্য কোন গ্রন্থের অনুকরন না কাহারও চর্বিত চর্বন নহে। ইহা আমার নিজস্ব নতুন জিনিস।পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের সাজসরঞ্জামই ইহার মাল মসলা।''
অতএব বলা যায়,'মহাশ্মশান'তার রচনা আঙ্গিক আর বিষয় নির্বাচনে স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের দাবীদার। এই কাব্যের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ইতিহাস।তাই ঐতিহাসিক চেতনার কথাও স্বীকার করতে হয় অনায়াসে।
উপসংহার:
পরিশেষে বলা যায়, মুসলিম সমাজে কায়কোবাদের যে মর্যাদা স্বীকৃত হয়েছিল তা শিল্প দক্ষতার জন্য নয়,বরং তা ছিল আবেগ আপ্লুত। 'মহাশ্মশান' একটি মহাকাব্য,সুবৃহৎ কলেবর,ঘটনা মুসলিম গৌরবের ইতিহাস আশ্রিত,স্বজাত্যবোধের যুগোপযোগী চেতনা সমৃদ্ধ- এসবই মর্যাদার কারন।
এই আবেগ নিয়েই কবি গোলাম মোস্তফা মন্তব্য করেছেন,''মহাশ্মশান কাব্যখানি হাতে নিলেই সর্বপ্রথম যে বিস্ময় ও কৌতুহল মনে জাগে তা হচ্ছে এইঃএত বড় একটা মহাকাব্য লিখবার মত বিরাট মন যে কবির ছিল সে তো সাধারন নয়।''
সেই অসাধারন কবির হাতেই ইতিহাস আশ্রয় করে মহাশ্মশানের সৃষ্টি। এই কাব্য সৃষ্টি হিসেবে যতটা সাহিত্যকে উজ্জ্বল করেছে তার চেয়ে বেশি মুসলমান জাতীকে গৌরবান্বিত করেছে নিজস্ব ঐতিহ্য আর ইতিহাস আশ্রয়ে রচিত সাহিত্যকর্ম হিসেবে।
মহাকবি কায়কোবাদ রূপসন্ধানী কবি ছিলেন। জাতীয়তা বোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়ীক মনোভাব নিয়ে ঐতিহাসিক তথা মৌলিক মহাকাব্য হিসেবে 'মহাশ্মশান' রচনা করাতেই মহাকবি কায়কোবাদের কৃতিত্ব। বর্তমান যুগের অনেক সাহিত্য সমালোচক ও এক বাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন 'মহাশ্মশান' কে মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক হিসেবে। এবং নির্দ্বিধায় 'মহাশ্মশান' কাব্যকে মহাকাব্যের মর্যাদা দিয়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে, জাতীয়তাবোধের কবি হিসেবেই কায়কোবাদ বাঙালি মুসলমানদের কাছে শ্রদ্ধার আসনে বসে আছেন।এবং কবির অসামান্য সৃষ্টি কর্মগুলোর মধ্যে 'মহাশ্মশান' মহাকাব্যই তাঁকে ইতিহাসে চিরস্মরনীয় করে রেখেছে তা বলাই বাহুল্য।
মহাকবি কায়কোবাদ এবং তাঁর রচিত এই 'মহাশ্মশান' কাব্য তাই ইতিহাস চেতনা মন্ডিত হয়ে বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে অনন্যতা। সাহিত্যক্ষেত্রে 'মহাশ্মশান' কাব্য বাংলার হাতে তুলে দেয়া মুসলমান সাহিত্যিকের এক অনন্য অবদান।
পরিশেষে বলা যায়, ইতিহাসকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠা এই 'মহাশ্মশান' কবি কায়কোবাদের অসামান্য সৃষ্টি।
সহায়ক গ্রন্থসূত্র:
১.মাহবুব আলম,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস,খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানী,ঢাকা-১১০০,পৃ:৫৫০
২.মাহবুব আলম,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানী,ঢাকা-১১০০,পৃ:৫৫১
৩.মাহবুব আলম,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস,খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানী,ঢাকা-১১০০,পৃ:৫৫৪
৪.মাহবুব আলম,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস,খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানী,ঢাকা-১১০০,পৃ:৫৫৪
৫.কাজী আবদুল মান্নান,আধুনিক বাংলা সাহিত্যে মুসলিম সাধনা,(আলোচনা ও নির্বাচিত কবিতা: সম্পাদনা-প্রনব চৌধুরী,পৃ:৮৬৮)
৬.ফাতেমা কাওসার,কায়কোবাদ: কবি ও কবিতা (আলোচনা
ও নির্বাচিত কবিতা: সম্পাদনা-প্রনব চৌধুরী,পৃ:৮৮৯)
৭.ফাতেমা কাওসার,কায়কোবাদ: কবি ও কবিতা (আলোচনা
ও নির্বাচিত কবিতা: সম্পাদনা-প্রনব চৌধুরী,পৃ:৮৮৯)
৮.ফাতেমা কাওসার,কায়কোবাদ: কবি ও কবিতা (আলোচনা
ও নির্বাচিত কবিতা: সম্পাদনা-প্রনব চৌধুরী,পৃ:৮৮৯)
৯.আমিনুল ইসলাম,বাংলা সাহিত্যে মুসলিম কবি ও কাব্য, আলোচনা ও নির্বাচিত কবিতা,সম্পাদনা-প্রনব চৌধুরী,পৃ:৯০২
১০.অধ্যাপক আশরাফ ফারুকী,কায়কোবাদ ও ইসলামী সংস্কৃতি(প্রবন্ধ) আজাদ সাহিত্য মজলিশ,রবিবার ২৪ জুলাই ১৯৫৫ ইং,আমিনুল ইসলাম, বাংলা সাহিত্যে মুসলিম কবি ও কাব্য,আলোচনা ও নির্বাচিত কবিতা,সম্পাদনা-প্রনব চৌধুরী,পৃ:৯০২
১১.আবুল ফজল,কাব্য সংকলন: কায়কোবাদ,আলোচনা ও নির্বাচিত কবিতা,সম্পাদনা-প্রণব চৌধুরী,পৃ:৮০২