১.
তোমার মুখটাকে ঐ রাস্তার মোড়ে ফেলে এলে ছন্দা! এভাবে মুখ রেখে কেউ ঘোরে? মুখে মুখে তর্ক করে? যেদিন থেকে তোমার বৃষ্টি ভাল লাগে সেদিন থেকেই আকাশ মাটি জল বড্ড কোলাহলে পুরুষ হয়ে গেল। তবুতো ধুলো বালি কাদা কত কিছু লেগে থাকে ছন্দা! তোমার মুখ গড়াগড়ি খায়, তুমি হেঁটে চলে গেলে সারা বিশ্বে দেখা যায় ইচ্ছেমন্দা, কখনো কখনো বৃষ্টিও হয়...
২.
আমিতো জানতাম, আমাকে জানিয়েছিলো বুকখোলা ধারালো এক গ্রাম, পথ পেয়ে গেছে যদি বিষন্ন দুটি পা, তারা হেঁটেছিলো ছলছল ভীরু নদীটির পার ঘেষে, নদীটা গ্রামের হাতে ভার দিয়েছিলো তার, আর যতসব মাছেরা, মাঝে মাঝে তারা জল মরে গেলে, কড়ির অতিথি, সর্ষে ক্ষেতের ভেতর যেদিন, যেসব অসময় আমি আমাকে দিয়ে হাঁটছিলাম, আমাকে জানিয়েছিলো এক গ্রাম, তুমি পাতা কাঁপানো দুঃখী একটি পাখি!
৩.
শেষ চিহ্নে তাঁকে আর খুঁজলাম না। যদি দেখি হারিয়ে গেছে!
প্রেম শেষে পাতে পড়ে থাকে কিছু উচ্ছিষ্ট হাড়। চোখ বন্ধ করো। দূর্বার আনন্দ করো। তোমাকে যেন দেখতে না হয় বারবার, প্রেম শেষ হয়ে যায়।
তোমার আক্ষেপ হয়। তুমি চিরে যেতে থাকো কাঠ করাতের হাতে। তোমাকে স্বপ্ন দেখায় কোনো সত্যিকারের শিশু, তোমাকে স্বপ্ন কাঁদায় অন্ধকারের রাতে।
তুমি ডুকরে কাঁদো, তোমার চোখে চোখ রেখে হাসে রেলিঙে বসা দাঁড়কাক। তুমিতো জানতে যে শিশুটিকে গলাচাপা দিলে তার ইতিহাস চাপা পড়ে গেছে। মাছরাঙাটির ঠোঁটে আছে কিছু, থাক!