১.
আমার হয়ত ভুল ছিলো, রাঙামাছ
তাই চাওয়াগুলো দুলছিলো টলটলে
শীত মায়া মাখা মিথ্যে হাওয়ার জলে!
স্বীকার করছি ভুলের উপর ভীত
তৈরী ছিলো তাই ঠিক সম্বিত
ফিরে পাওয়ার আগেই ভাঙলে ঘুম
আমরা কেবল চোখ মাখা অরুণ!
আমার হয়ত ভুল ছিলো রাঙামাছ
তাই চাওয়া গুলো বাধা থাক অঞ্চলে...
২.
আজ তার চোখে তাকানো গেলনা। ফিরে এলাম। কান্নাগুলোকে রঙীন বিকেল করে ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিলে, হৃদয়বান এক পুরনো রোডে তার ঘর। সমস্ত পথ আমাকে চেনে।
তুমি নাকি বদলে ফেলেছো একান্ত ব্যাক্তিগত যেসব গাছপালা আমরা বুনেছিলাম;
আমাদের স্মৃতি। আমি শেষবার প্রেমে থেকে চাইলাম দেখে নিই।
যে নেই। গেছে তার কেবলই পায়ের ছাপ। কাঁটা কাঁটা ব্যাথাতুর সে চোখে তাকানো গেলনা!
৩.
এখন আমাকে আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছিনা। মরে যাচ্ছি ইতিহাস অলক্ষে মরে মরে তোমাদের..।
তার ও আগে অন্ধ!
লিপিচিত্রিত জলে-
হ্যা হৃদয় একটি গুনটানা নৌকা!
৪।
সূর্যমুখী মুখ কাটা মে
ধুলোর উপর যায় গড়িয়ে,
আঁচড়ে কামড়ে দাগ করে দেয়
সূর্যহাসা বুকের ভেতর,
পাগল কেন হাত বাড়িয়ে,
রূপকথাটায় নাক গলিয়ে ফুলকে ডাকে?
ডাকের মধ্যে এলোমেলো গন্ধ থাকে!
সূর্য আলো রং এর গোলা
আপাতত একুশ বাইশ,
শ্রাবন শ্রাবন মেঘের মত
উড়াচ্ছে ফুল পথের ধুলায়।
দীর্ঘ দিঘল সোনালী চুল
চমকে চমকে উঠছে রোদে,
রূপকথাটায় সবুজ ব্যাঙের উপস্থিতি,
দূর্বা ঘাসে ছড়াচ্ছে চিল
মুঠো মুঠো হলুদ দানা;
এসব কিছুই এলোমেলো,
রোদের জোছনা ফুরাচ্ছেনা!
৫.
একটুপর তোমাকে বলব মরে যাচ্ছি...
উত্তর থেকে দক্ষিণে যাও। স্বপ্ন থেকে সমুদ্রে। আমি মরে যাই কিছুতেই যেন দেখোনা!
আর একটুপর বলবো আমি মরে যাচ্ছি রঙ!
সব পাখি ঘরে ফেরে শুধু তুমি উড়ে উড়ে একান্তে নিশি ফেরা, কোথায় যে যাপন
করো রাত্রি। আমি ঘরের দুয়ারে বসে আছি।
কেবল আছি। সারা সকাল আছি। সারা দুপুর আছি।সারা সারা সন্ধ্যে অনন্ত ধরে
আছি! মরে যাচ্ছি খুব মরে যাচ্ছি রঙ। তোমাকে না দেখে মরে যাচ্ছি অবলীলায়।
একটুপর তোমাকে বলবো...
৬.
কর্ম আর ক্লান্তির মাঝে এত এতবার দেখা হয়ে যায় কখনো তার জানাও হয়না কতবার চোখ চোখের হয়েছে। কতবার প্রেম মাতাল হয়েছে সাধ রাধাচূড়া জেনে। আর সে জানেনি ফুল পাখি পাতা প্রজাপতি চোখ।
আমি চাইনি দেখা হোক!
৭।
তুমি আসলে তুমি অন্য কেউ নও
কেন শুধু এসেই বলো যাই?
এদিকে তাকাও দেখি সপ্তরেখার হাত
তাকাও দেখি অন্য কোন খানে। বাদুড় ঝোলা নীল বরফের রাতে
অথবা ঠিক বৃষ্টি হল খুব
হাসছে তখন ময়ূর পাখি ঢং
অঙ্ক কষা তারার রাতে তাকাচ্ছোনা তাই-
তুমি তুমি তুমি কোথাও তুমি নাই!
৮।
পালকনির্জন মেঘের হাওয়ায়
তার বাইসাইকেল ছুটে ছুটে আসে।
ঝড়ো শ্বাসে ফুটে ফুটে ফুল কলি
কোথায় কখন কেমন ছিলে? ভাল নেই
ভাল নেই আমি কি করে বলি!
৯।
বিব্রত হই ইচ্ছেসকল আমার কঠিন মনের কাছে হেরে গেছে। তোমার কান্না নতুন করে ভাবতে বলে কোথায় কখন ভালবাসার নতুন করে বৃষ্টি ঝরে। এমন কঠিন কঠোর তীরে কোন সমুদ্র আছড়ে পড়ে!
ইচ্ছে সকল তোমার কাছে নিপুন চিত্রে বন্দী হলে কাঠপেন্সিলে কালো দাগে সে ভাবনারা ফুটছে! তোমার তুমুল প্রেমগুলো তাই সূর্য হয়ে উঠছে।
১০.
এইসব চরিত্ররা তারপর একদিন জল ও হাওয়ায় ফিরে পায় যুদ্ধশেষের দিন। কেউ কাঁদেনি একান্ত প্রিয় কিছু মৃত মৃগ ছাড়া। ওরা কাঁদে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা অথবা ভোটাভুটির কালে। তৃষ্ণা ক্ষুধা তারপর আগুনে আকালে এইসব ঋতু যায় ফিরে আসে আর যায়। চরিত্ররা অহেতুক জীবিত;
কল্পনায়!
১১.
এ সমস্ত যার কেড়ে কেড়ে খেয়েছিল সুখ কেনা জানে তার নাম কামুক নিয়তি!
১২.
তোমাকে জিতিয়ে দেব বিনিদ্রপাত! তখন তুমি হেরেই গ্যাছো স্বীকার করে সত্যিকারের হার -
তখন তোমার হাতের ভেতর দূর সমুদ্রপার!
১৩.
কত চুমু থেকে বাঁচিয়ে রাখছি ঠোঁট/কত হরতাল কত অবরোধ/ গাড়ি ভাংচুর কত সংকট/কত ঠোঁটে তাই পূর্ণ হচ্ছে বোধ!
১৪.
এই হাতে হাত পড়ে পুড়ে গেলো কাঠের প্রহর ! আমাকে লিখে দিও সেই চিঠি টা ...
অন্ধ বিড়ালের চোখে বসে আছে সে কবে থেকে আদি ডাক বিভাগ! আমাকে বসিয়ে রেখে তুমিওতো অবনী বিমুখ!
১৫.
তোমার সর্বনাশা ইচ্ছের কাছে মাতাল রাত্রি শেষে সকালের প্রথম প্রশ্ন কবি টা কে?
১৬.
তোমার পথের দিকে তাকাতে তাকাতে আমি ক্ষয়ে যাচ্ছি হে দয়াবতী রাত। ক্ষয়ে যাচ্ছে এই বরফপ্রবণ আমি!
১৭.
১৩খারাপ ২৩ আরো বেশি খারাপ। এই মহাশূন্যে তুমি অশুভ বনিক!
১৮.
ভেবেছোকি যা ভেবেছো পাবার ও আগে
আমাদের দিন রাত এভাবে জাগে
শঙ্খ বাসনায় পাখিরা ফুলেরা
ঘুম ঘুম দুই চোখ কি করে জাগাবে!
উড়ি উড়ি ছুঁই ছুঁই যা পেয়েছি তাই, আর যা পাইনি তোমার ও কাছে
হৃদি আরও না পাওয়াতে বাধা পড়ে আছে !
১৯.
হয়ত বোঝার ভুল ছিলো তাই
চাইছি কি আর চাইছিনা যা, সবই কেবল শূণ্য ফিতায় পড়ছে বাঁধা;
ওসব হয়ত কেবল ধাঁধাই!
সবাই কি আর ধাঁধার শিকল খুলতে পারে?
বিপদ বাড়ে; আঁধার শেষে আলোর দেখা যা পেয়েছি যা পাওয়া যায়-
সবাই কি আর ভুলতে পারে!
আলোর আছে মেঘ করা সব রঙ;
ধাঁধার হাতে চাওয়া তুলে, মিথ্যে ফোটা বকুল ফুলে-
সূর্যমুখী স্বপ্ন দেখাই যাই ভুলে বরং!
২০.
হয়ত সত্যিই হারাইনি তোমাকে। হারানো শব্দটাতে ডাকাতের হাতে সর্বস্ব লুট
হয়ে যাওয়া কিছু থাকে হয়ত। কেমন গভীর অন্ধকারের ভেতর মশালের আলোকে শুধু
শব্দই বনের ভেতর ঘোরে। হারে রে রে...
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২