বেশ কিছুদিন ধরে ঘোরাঘুরি করে ছবি তুলেছি।ছবি তোলার মজাটায় অন্যরকম।আমি যা দেখছি তা অনেককে দেখানো কিমবা যা দেখেছি তার স্মৃতি রেখে দেয়া । বেনীপুকুরে গেলাম শুধুমাত্র সাঁওতালদের কিছু ছবি তুলবো বলে।বিশাল পুকুর।এর তিন পাশেই সাঁওতালদের বসতি।এক পাশটায় একটি আশ্রয় স্কুল,কিছু গাছ,একধারে বাঁশঝাড় আর সাঁওতাল মৃতদের কবর স্থান।
এই ছোট মেয়েটির নাম পার্শিনা মুরমু।নামটা আমার এতই পছন্দ হয়ে গেল যে নিজেকে ভোলার সুযোগ দিইনি।
এই একটা নামই মনে আছে তাই বাকি গুলোর পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি সেভাবেই।পার্শিনার মা ধান নেড়ে দিচ্ছিল।
পার্শিনার দাদী।উনার পিঠে কুঁজ।হাঁটেন একটু খুড়িয়ে খুড়িয়ে।ছবি তুলব ভেবেই বড় কষ্ট করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।উনি সারা পাড়া আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
ইনি ছবি তোলার পর বললেন,ওহহো শার্টটাই তো গায়ে দেয়া হলনা''
এইখানে আমার কুনু দোষ নাই কিন্তু।পুকুরের পাড় ধরে যখন হাঁটছিলাম আমি বললাম সব দেখে ফেললাম কিন্তু।এই মেয়েটি বলল দেখেন,ইচ্ছা হইলে ছবিও তুলেন।
আমার হাতে ক্যামেরা ।আমি কইলাম সত্যি তুলবো সে বলল হ্যাঁ তোলেন।
তারপর পাড়া ঘুরে ঘুরে তুলে ফেললাম এসব ছবি....
গল্প করতেসে .....
এই মহিলা ছোট মাছ আলু দিয়ে রান্না করছিলেন।চুলায় ভাত ফুটছে...
প্রবীন সাঁওতাল দম্পতি।রান্না শেষ হলেই খাবেন।গায়ে সরিষার তেল মাখছিলেন
এই বাড়িটি ভেঙে দোতলা উঠছে পাশেই।আমার মডেলের হাউভাউ দেখসেন?
এই মহিলা ঘরের জন্য মাটির লেও তৈরী করছেন।
আরেকটি......
মাটির পথ....
পরিশ্রমী মহিলা......
কেরিকেচার সমৃদ্ধ ছবি
ইনি শরতের মা।ঝাঁটা বানানোর জন্য পাটি বুনছেন.....
এই ছবি দেইখা মাইনাস দিলে আপনাগো খবর আছে কয়া দিলাম
পোষ্ট বড় দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে।বাকি ছবি পবের পর্বে দেয়ার আশা রাখছি।এত ক্ষন ধরে কষ্ট করে ছবি দেখলেন যখন তখন পিঠা খায়া যান...
এইটাও নেন খাইয়া দেখেন...
সবই আম্মুর নিজের হাতে বানানো আর আমার নিজের হাতের তোলা।বলবেন কিন্তু কেমন স্বাদ হয়েছে....
সবাইকে ধন্যবাদ।
অ:ট: পোষ্টি আমার দুই ছোট আপু কিনাদি এবং অসবার জন্য।যাদের অভাবনীয় ভালবাসায় আমি ধন্য।অসবা তোর মন ভাল হয়ে যাক....
কিনাদি সোনা তুই খুশি তো?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৯