আসর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে খালিদ কে ফোন দিলাম।
- খালিদ কই আছিস, জলদি চলে আয় তো, এক জায়গায় যাবো?
- মাত্র নামাজ পড়ে বের হলাম ভাই। কই যাবেন, কোন কাজে?
- হুম, কাজ আছে, শান্তিনগরে, আমার এক ফ্রেন্ড এর বাবা কোন এক কারণে আমার সাথে দেখা করার জন্য কৌতুহলী। আমার ফ্রেন্ডই মনে হয় এই কৌতুহল তৈরি করেছে আমার সম্পর্কে। যাই হোক, যাচ্ছি যখন ভাবলাম তোকেও সাথে নিয়ে যাই। তোর কোন কাজ নেই তো?
- একটা টিউশনি ছিল, আজ নাকি পড়বেনা, তাই যাওয়া লাগছে না। আচ্ছা আমি এক্ষুণি আসছি তাহলে।
ওহ খালিদের পরিচয় দেয়া হয়নি। খালিদ বুয়েট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট, আমার এলাকার ছোট ভাই। মেধাবী প্লাস, তুখোড় পড়াশোনা করা ছেলে। প্রথম জীবনে সেক্যুলার ছিল, ভার্সিটি তে আসার পর কিভাবে যেনো ধার্মিক হয়ে যায়। ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস সব ক্ষেত্রেই “সব্যসাচী” টাইপের ছেলে। আমার মত বেক্কল কে কেনো জানি অনেক শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, আমিও তাই। ছোট ভাই কম, বন্ধু বলা চলে, পাশাপাশি দ্বীনি ভাই।
ফ্রেন্ড এর বাসায় আগে কখনো আসা হয়নি, এই প্রথম। দরজায় নক করতেই ও এসে দরজা খুলে ভেতরে যেতে বললো। খালিদকে দেখে ওর তেমন কোন ভাবান্তর হলো না। আমাদের দুজন কে ডাইনিং এর সোফায় বসতে দিয়ে ওর বাবাকে ডেকে আনতে ভেতরের রুমে গেলো।
আমি আর খালিদ চারদিক তাকিয়ে একটু চোখ বুলিয়ে নিচ্ছি। ডান পাশের দেয়ালে চে গুয়েভারার একটা পোর্ট্রেট করা ছবি, সামনে বরাবর ছোট্ট একটা বুকশেলফ এর মতো, সেখানে সাজানো বই দেখা যাচ্ছে। এর মাঝে সমাজতন্ত্র, দর্শন এর কিছু বই দূর থেকে আঁচ করা যাচ্ছে। একটা বই এর নাম খুব স্পষ্ট চোখে পড়ছে- “আমি কেনো বিশ্বাসী নই”, বার্ট্রান্ড রাসেল এর। আমি জানি এইসব বই কম বেশি খালিদের পড়া আছে। ঘর এর প্রত্যেকটা আসবাবপত্র দেখে যথেষ্ট দামী মনে হচ্ছে। পাশেই এক্যুরিয়ামে, গোল্ডফিশগুলো এদিক সেদিক ছোটাছুটিতে ব্যস্ত। এদিকে আমাদেরকে নাস্তা দিয়েই আমার ফ্রেন্ড বাইরে কোন কাজ আছে বলে বের হয়ে গেলো, আমার কিছু বলার আগেই। যাওয়ার আগে বলে গেলো, বাবার সাথে কথা বল, আমি আসছি। ওই যে বাবা আসছে...
ভদ্রলোক ভেতরে ঢুকেই খালিদ এর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,
-হ্যালো ইয়াং ম্যান, আমি চৌধুরি লেলিন, আর তুমি ই তাহলে আমার ছেলের সেই ফ্রেন্ড?
খালিদ ভদ্রলোকের ভুল বুঝতে পেরে বলে উঠলো,
-আসসালামু আলাইকুম আংকেল। আপনি ভুল বুঝছেন, আপনি যার সাথে দেখা করতে চেয়েছেন, তিনি পাশের জন, আমি বলতে গেলে তার ছায়া, হা হা।
- ওহ আচ্ছা, আচ্ছা (সালামের উত্তর না দিয়েই, ভদ্রলোকের মনে হয় রসিকতা পছন্দ না) । অতঃপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন তাহলে তুমি ই তাহলে সেই !
- জি আংকেল। কেমন আছেন আপনি?
- হুম ভালোই, বসো। তো কেমন আছো তোমরা?
- আমি বললাম, জি আংকেল ভালো। কিছু মনে করবেন না, আপনার অনুমতি ছাড়াই আমার এই ভাই কম ফ্রেন্ড কে নিয়ে এসেছি।
- ওহ আচ্ছা। না ঠিক আছে। আচ্ছা আগে বলে নেই আমি কিন্তু একজন মুক্তচিন্তার মানুষ। ছাত্রজীবনে বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক দলের হয়ে রাজনীতিও করেছি। এখন বয়স হয়েছে অনেক, আগের মত সেই ঝোক নেই, তবে জানোই তো বামপন্থী মতাদর্শের সাথে নাস্তিকতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু নিজেকে আগের মত নাস্তিক হিসেবে জাহির না করলেও ভেতরে ভেতরে বীজ রয়েই গেছে। ধর্ম, সৃষ্টি, স্রষ্টা এইসব নিয়ে আলোচনা করা আমার পছন্দের টপিক, যেহেতু তোমার মুখে নাকি এইসব সম্পর্কে অনেক ইন্টারেস্টিং কথাবার্তা শোনা যায়! সেই জন্যেই তোমাকে ডাকা, তা তোমার ফ্রেন্ড এর নাম কি?
- জি ওর নাম খালিদ। ওর পরিচয় খুলে বললাম।
ভদ্রলোক এর বাহ্যিক অবয়ব দেখে মনে হচ্ছে, সুশীল, জ্ঞানী ধাঁচের একজন মানুষ। দেখা যাক, উনার কথাবার্তায় কতখানি জ্ঞানের উদ্রেক ঘটে।
হঠাৎ করে, খালিদ বলে উঠলো, আচ্ছা আংকেল কিছু মনে না করলে, একটা বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম।
-হুম বলো কি জানতে চাও?
- দেয়ালে চে গুয়েভারার ছবি টানানো কেনো?
- চে গুয়েভারা সম্পর্কে তোমার কি জানা নেই? উনার আদর্শ, আন্দোলন, ত্যাগ, সব কিছু মিলিয়ে সাম্যবাদের এক মহানায়ক। উনার মত ভালো মানুষকে অবশ্য, ব্যাকডেটেড ইসলামিস্টদের পছন্দ হবার কথা নয়!
এমন খোঁচা মারা কথা শুনেই বুঝতে পারছিলাম, এবার খালিদ ছাড়ার পাত্র নয়!
- দুঃখিত আংকেল। যদি চে গুয়েভারা কে আপনার কাছে ভালো মানুষ মনে হয়, তবে বলতে হয়, ভালো মন্দের সংজ্ঞা এবং মাপকাঠি কোনটাই আপনার জানা নেই।
- কি সব যে বলো তোমরা, ভালো মন্দের সংজ্ঞা, মাপকাঠি এইসব আবার কি জিনিস। ভালো মানে তা ই যা আমার কাছে ভালো মনে হবে, মন্দ মানেও তাই, যা আমার বিচার বুদ্ধিতে মন্দ মনে হবে।
- আচ্ছা, তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, ভালো মন্দ যাচাই এর প্রক্রিয়া আপেক্ষিক? আপনার কাছে কাউকে বা কোন কিছুকে ভালো মনে হলে, সেটা আমার কাছে কি মন্দ মনে হতে পারে? তাহলে ভালো মন্দ যাচাই এর কোন মানদন্ড নেই?
- এক্সাক্টলি। ভালো মন্দের এমনকি, সত্য মিথ্যার কোন মানদন্ড নেই। পৃথিবীতে সব ই আপেক্ষিক!
- বুঝলাম। আচ্ছা আংকেল আপনি যদি বাজারে গিয়ে দোকানীকে এক কেজি আলু দিতে বলেন, আর দোকানি যদি আধা কেজি বাটখারা দিয়ে মেপে নিয়ে আপনাকে বলে এই নিন এক কেজি আলু, আপনি কি করবেন?
- আজব তো, এক কেজি আলু কেনো আধা কেজি বাটখারা দিয়ে মাপবে?
- তার কাছে যদি ওই আধা কেজি ই এক কেজি মনে হয়?
- লোক টা হয় পাগল, না হয় ফাজলামো করছে, কসিয়ে একটা দিতে হবে গালে!
হা হা। আচ্ছা বাদ দিন, আবার ধরুন, আপনি কাপড় কিনতে গেলেন, পছন্দের কাপড় দেড় গজ দিতে বললেন। দোকানি একটা নাইলন এর ফিতা দিয়ে মেপে দেড় গজের জায়গায় আপনাকে সামান্য কাপড়ের টুকরা দিয়ে বললো এই নিন আপনার দেড় গজ! আপনার তখন কেমন লাগবে?
- কি সব আবোল তাবোল বলছো। নাইলন এর রাবার জাতীয় ফিতা দিয়ে কি মাপা যায় নাকি! মাপার জন্য স্টান্ডার্ড ফিতা আছে না, যা লম্বা ও হবেনা, ছোট ও হবেনা, একদম যথাযথ হবে!
- আংকেল ভুলে গেলেন, একটু আগেই কিন্তু আপনি বললেন, ভালো মন্দ, সত্য, মিথ্যা এইসব কোন কিছুর ই মানদন্ড বা স্ট্যান্ডার্ড নেই। তাহলে এই মাত্র দুটো প্রশ্নে যখন এক কেজি বাটখারার জায়গায় আধা কেজি দিয়ে মাপা হলো, নাইলন এর ফিতা দিয়ে গজ মাপা হলো, তখন আপনি ঠিক ই স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে আসলেন! দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য সব ক্ষেত্রে আপনার স্ট্যান্ডার্ড বা মানদন্ডের দরকার পড়ে, যেনো ওজনে, মাপে, হিসাবে ভুল না হয়, একদম যথাযথ হয়, আর আপনি কিনা বলছেন, আমাদের মানবজীবনে ভালো মন্দ যাচাই এর কোন মানদন্ড থাকবে না, সত্য মিথ্যা যাচাই এর স্ট্যান্ডার্ড থাকবে না! সব ই আপেক্ষিক! তা কি আদৌ যৌক্তিক!
এতক্ষণ যাবত আংকেল আর খালিদ এর যুক্তিতর্কে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করতে করতে মনে হলো, আংকেল বুঝি আমার সাথে নয়, খালিদ এর সাথেই দেখা করতে চেয়েছিলেন! যাই হোক, দেখি শো কতক্ষণ চলে। আমি আবার তাদের যুক্তিতর্কের নিরব দর্শকের ভুমিকা পালনে নিমগ্ন হলাম!
- লেলিন সাহেবের মুখ কিছুটা ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে! কোনমত সামলে নিয়ে বললেন, তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো, ভালো মন্দ যাচাই করার যোগ্যতা মানুষের নেই। তাহলে তা কে যাচাই করবে, কিভাবে যাচাই করবে বলো দেখি?
- আংকেল, ভালো মন্দের স্ট্যান্ডার্ড আছে, যারা স্ট্যান্ডার্ড টা জানে, বুঝে, উপলব্ধি করতে সমর্থ হয় তারা যাচাই করতে সমর্থ হবে, কে ভালো কে মন্দ, না হলে ব্যাপারটা হয়ে যাবে আপনার কথামতই আপেক্ষিক!
- কি বলতে চাচ্ছো, খুলে বলো।
- আচ্ছা একটা উদাহরণ দেয়া যাক, ধরুণ, একটা পরিবারের কর্তা বাবা- উনি করেছেন ১০ টা খুন, উনার বড় ছেলে করেছে ৫ টা খুন, আর ছোট ছেলে করেছে ১ টা খুন। লোকে তখন কি বলবে জানেন, “যাক ছোট ছেলেটা অন্তত বাপ আর ভাই এর চেয়ে ভালো, মাত্র ১ টাই না খুন করেছে” । অথচ ঐ এক খুন করা ছেলেকে যদি আপনি এমন এক পরিবেশে এনে যাচাই করেন, যেখানে সবাই ভালো, কেউ কখনো খুন করেনি তাহলে সবাই তখন কি বলবে? “এই ছেলেটার চেয়ে খারাপ কেউ হতেই পারেনা! হত্যার মত জঘন্য কাজ সে কিভাবে করলো!”
- হুম, কথায় যুক্তি আছে।
- আংকেল আরো একটা উদাহরণ- ধরুণ এক এলাকার অধিকাংশ লোক ৫ ওয়াক্ত নামাজী, রোজাদার সব দিক দিয়েই কম বেশি ভালো। কিন্তু সেখানে একটা লোক থাকে, যে দুই/তিন ওয়াক্তের বেশি নামাজ পড়ে না, তাও মাঝে মাঝে, তার উপর রোজাও থাকেনা কয়েকটা, ওই লোকটাকে ওই এলাকাতে কম ঈমানদার হিসেবে দেখা হলেও, ওই একই লোক কে যদি এমন এলাকায় যাচাই করা হয়, যেখানে তেমন কেউ ই নামাজ কালাম পড়ে না, রোজা ও রাখেনা, ইবাদত সম্পর্কে অনেকটাই বেখবর, তাহলে ওই লোকের চেয়ে অধিক কামেল, ভালো ঈমানদার কাউকে মনে হবে না, তাই নয় কি?
- হুম বুঝতে পেরেছি, তুমি কি বলতে চাচ্ছো। কিন্তু এর সারমর্ম কি?
- সহজ হিসেব আংকেল। যেই লোক টা আমেরিকান সমাজের দৃষ্টিতে ভালো, সেই লোক এখানে খারাপ হতেই পারে, আবার যেই লোক সৌদি তে খারাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তাকে এখানে ভালো হিসেবে মনে হতেই পারে, যখন আমরা নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যাচাই করবো না। আপনার কি মনে হয় না, ভালো মন্দ, সত্য মিথ্যা যাচাই এমন স্ট্যান্ডার্ড থাকা দরকার যা স্থান, কাল, পাত্র ভেদে সব সময় একই থাকবে, সেই অনুযায়ী সব জাজ করা যাবে?
- তবে শুনি কি সেই মানদন্ড? কি সেই স্ট্যান্ডার্ড?
- থাক না বলি, মনে হয়না আপনার পছন্দ হবে!
- আরে না না বলো, আমি খুব ই আগ্রহী!
- আচ্ছা শুনুন তবে, সেই মানদন্ড বা স্ট্যান্ডার্ড একমাত্র তিনি ই সেট করতে সক্ষম যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, যিনি স্থান, কাল, পাত্র ভেদে সবার জন্য দিয়েছেন এক অনুসরণীয় মডেল, যার মাধ্যমে যাচাই করা সম্ভব সব কিছু। সেই স্ট্যান্ডার্ড সেট যিনি করেছেন তিনি ই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানা ওয়া তাআলা, সেই মানদন্ড বা যাচাই এর মাপকাঠি হলো কুরআন এবং তার বাস্তবিক প্রতিফলন বা মডেল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
- কিন্তু আমি তো সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী….(নই কথাটা তার মুখ দিয়ে বের করতে গিয়েও বের করতে পারলেন না)
- এবার আংকেল তবে মিলিয়েই দেখুন, আপনার চে গুয়েভারার জীবন আদর্শের কতখানি নবীজির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, নাকি আদৌ কিছু মিলে কিনা! তবেই না বলা যাবে, উক্ত ব্যক্তি ভালো না মন্দ! তবে আপনি যদি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না হন, তবে সব কিছু আপেক্ষিক মনে হবার ই কথা! কিন্ত, আপনার কি সত্যি ই মনে হয়, আপেক্ষিকতা এই এবসলিউট সৃষ্টির মাপকাঠি হতে পারে? যদি হতো, তবে আমাদের মত এমন যৌক্তিক, বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ ই সৃষ্টি হতো না!
- আচ্ছা, আমার আজ শরীর টা যেনো কেমন করছে। একটু বিশ্রাম প্রয়োজন। কিছু যদি মনে না করো।
- জি আংকেল বুঝতে পেরেছি। আমরা তাহলে আসি, আজ তো ভাই এর সাথে কথাই বললেন না, স্রষ্টা, সৃষ্টি ধর্ম নিয়ে তবে আবার কবে কথা বলবেন? আসল বিষয় তো বাকি ই রয়ে গেলো…
- আচ্ছা আমি জানিয়ে দেবো নে।
- আচ্ছা আংকেল আমরা তাহলে উঠি, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ...
নিরব দর্শকের ভুমিকা শেষে খেয়াল করলাম, লেলিন সাহেব এর কপালে চিন্তার অসংখ্য রেখা ভাসছে, এসির বাতাসেও ঘেমে উঠেছেন। আমি আংকেল কে বললাম,
- আংকেল আমার মনে হয় খালিদ কে নিয়ে আসা উচিত হয়নি,যাই আসসালামু আলাইকুম।
আমি আর খালিদ, বের হয়ে আসতে আসতে দরজার এপাশে এসেও ভেতর থেকে লেলিন সাহেবের কথা ভেতর থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম- ছেলেকে বলছেন, “আসার সময় নবী মুহাম্মদ এর একটা সীরাত নিয়ে আসিস। দরকার আছে”
আমি আর খালিদ একে অপরের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি দিলাম, ওদিকে মাগরিব এর আজান এর ধ্বনি কানে ভেসে আসছে... আজকের আবহাওয়াটা সত্যি অদ্ভুত মায়াময়, বৈচিত্রময় মনে হচ্ছে...
আকাশের দিগন্তে সূর্যের ডুবে যাওয়ার দৃশ্য হয়তো এই ইট কাঠ, পাথরের শহরে খালি চোখে দেখা যায়না, তবে আমরা দুজন সেই দৃশ্য মনে মনে অনুভব করছি। অবিশ্বাসের সূর্য যেনো আজ ডুবে যাওয়ার মাধ্যমে কাল ভোরের নতুন সূর্যের সাথে বিশ্বাসের নতুন সূর্য উদিত হয়। এমন এক অনুভূতি নিয়েই খালিদ আর আমি নামাজ পড়তে মসজিদের দিকে হেঁটে চললাম...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৯