সমস্যা হলো মানসিকভাবে মেয়েদের কে এই সমাজ শুধু সৌন্দর্যের যোগ্যতায় পাশ করিয়ে দেয়। মেয়েরাও এই জন্মগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে চরম খুশি। মিডিয়ার কল্যাণে তারা মনে করে মেয়েদের সুন্দর দেহটাই সব। তাইতো শরীর নিয়ে যে পরিমাণ উদ্বিগ্নতা দেখা যায় তাদের মাঝে, মনের সুন্দর বিকাশ নিয়ে তার ১০০ ভাগের ১ ভাগ ও দেখা যায় না!! দ্বীনদারিতা, বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা, এবং মানবীয় অন্যান্য গুণাবলীর সমন্বয় অর্জনের চেষ্টা তাদের মাঝে দেখাই যায় না বলা চলে!
দোষ মেয়েদের একার নয়। অভিভাবকেরাই এর জন্য বেশি দায়ী, সাথে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবশ্যই মিডিয়ার কু প্রভাব। এই সব এর উর্ধ্বে গিয়ে যদি মেয়েরা একটু চিন্তা করতে শেখে, নিজেদের প্রকৃত মূল্যায়ন করতে শেখে, নিজেদের সম্মান নিজেরা করতে শেখে, সৌন্দর্য কে অহংকার, এবং সার্থ হাসিল এর মাধ্যম হিসেবে না দেখে স্রষ্টার নেয়ামত হিসেবে দেখে, যা হেফাজত করার উপলব্ধি তৈরি করিয়ে দেয় এবং মানসিকভাবে নিজেদের বিকাশের চেষ্টা করে, তবে নারী পুরুষের অবস্থানে এতো দ্বন্দ, বৈষম্য থাকবেনা, নারী অধিকার নিয়ে ভ্রান্ত আন্দোলন এর প্রয়োজন ও পড়বে না!
সমাজে বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান, সুদর্শন পুরুষ এর সংখ্যার তুলনায় একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মেয়েদের সংখ্যা খুব ই কম।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মায়েদের কথা চিন্তা করলে মাঝে মাঝে আতকে উঠি- না জানি সেলফি, ফেসবুক, বি এফ লিস্ট, সিরিয়াল, পার্লার, ক্রাশ লিস্ট এর বাইরে তারা ছেলেমেয়েদের কি শেখাবে!! বড় ভয়ানক এক পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছে এই তরুণ প্রজন্ম!!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৮