আমি বুঝিনা এই সমাজ আসলে কি চায়!
সমাজের কম বেশি অধিকাংশই বলে তারা স্রষ্টায় বিশ্বাসী, অথচ সৃষ্টিকর্তা যেভাবে চলতে বলেছেন, সেই অনুযায়ী চলতে গেলে তারা তা অবজ্ঞার চোখে দেখে!
একটা মানুষ সম্পূর্ণ ইসলামিক হোক এটা যেমন তারা চায়না, তেমনি একটা মানুষ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাক, সেটাও তারা চায় না!
একটা ছেলে নামাজ পড়ে ভালো কথা, তবে সুদী ব্যাংকে চাকরি করলেও তাদের কিছু আসে যায় না।
ধর্মকর্ম একেবারে ছেড়ে দিলে যেমন তারা অখুশি, আবার ধর্ম কে মনে প্রাণে উপলব্ধি করে মানতে গেলেও তারা নারাজ। পাছে আবার মৌলবাদী হয়ে যায়! হাস্যকর!
ধর্ম কি শোকেসে সাজিয়ে রাখার জন্য, যে যখন খুশি বের করে ব্যবহার করে আবার সাজিয়ে রাখবো!!
এ কোন স্রষ্টায় বিশ্বাসী তারা?
সেই স্রষ্টার নাম কি তবে সমাজ? তাহলে কি সৃষ্টিকর্তার স্থানে সমাজ ই তাদের সব কিছুর নিয়ন্ত্রক? এমন দূর্বল স্রষ্টায় বিশ্বাস করে লাভটাই বা কি যার দেয়া নিয়ম কানুন তাদের সেকেলে মনে হয়? যার দেয়া বিধান কে "সব মানা যায় নাকি" বলে এড়িয়ে যাওয়া লাগে!!
কি দরকার এমন খুতসমৃদ্ধ স্রষ্টায় বিশ্বাস এর!!
তার চেয়ে বরং সমাজকেই স্রষ্টা স্বীকার করলেই পারে!!
যদি ৩৬ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা যায় একটা ক্রিকেট ম্যাচের টিকেটের জন্য, যদি আই ফোন এর নতুন ভার্শন পাওয়ার জন্য দুই দিন রাস্তায় কাটানো যায়, যদি খেলায় প্রিয় দল হারার ব্যথায় হার্ট এটাক করে মারা যাওয়াও সম্ভব হয়, যদি এতো বছর বাবা মার ভালোবাসা কে উপেক্ষা করে প্রেম নামের মোহের বিরহে আত্মহত্যা করা সম্ভব হয়, তবে কেনো সামাজিকতার দোহাই দিয়ে সৃষ্টিকর্তার নিয়ম মানা সম্ভব না?
চায় কি এই সমাজ, কি চায় এরা!!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫১