# আমাদের শহরটাকে কেউ দেয়াল দিয়ে দু ভাগ করে রাখেনি, কেউ জানায়নি বিচ্ছিন্ন হবার আবেদন, নেই কোনো অযাচিত উত্তেজনার আবহ তবু শহরটি যে আসলে দু ভাগে বিভক্ত তা আমরা প্রথমে টিভির ব্রেকিং নিউজের কল্যাণে এবং পরে নিজস্ব উপলব্ধি দিয়ে বুঝতে পারি। কেবল বুঝতেই পারি, বুঝে শহর উদ্ধার করে ফেলি না কেননা আমরা এক প্রান্তের বিচ্ছিন্ন ক’জন তরুণ নাগরিক যাদের কাজ করার অনেক সুযোগ থাকলেও ইচ্ছে কিংবা মনোবল নেই। আসলে থাকার সুযোগ নেই। একটু খরচ বেশি হয়ে গেলে গাঁজার আসর কিংবা ফেনসিডিল যাকে খুব সহজ বাংলায় ডাইল বলে সেখানে টাকা-পয়সা নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। আর প্রত্যেক আসরেই কোথা থেকে উটকো কিছু ঝামেলা এসে হাজির হয়, এসে বলে বস আজকের জন্য প্লিজ। আমরা হেসে মাথা ঝাঁকিয়ে বলি আরে ব্যাটা বইসা যা, কী আছে জীবনে?ধুম্রজালের দুনিয়ায় যে আসতে চায়, তাদের আসতে দিতে হয় এই সত্যটা আমরা জানি কিন্তু তাতে আমাদের পকেটের কোনো উন্নতি হয় না। তো সেখানে আমাদের শহর উদ্ধার করার প্রশ্ন-ই আসে না। কিন্তু আমাদের আবিষ্কার অল্প ক’দিনেই সেলিব্রেটি বানিয়ে দেয়। বন্ধুদের ভেতরে আমি কিছুটা স্মার্ট, তবে এটা আমার কথা না। আমাদের প্রান্তের একমাত্র বেশ্যাপল্লীর একমাত্র সুন্দরী মেয়ে যাকে আমি টিয়া বলে ডাকি সে বলেছে। সুতরাং আমরা যখন ঘোষনা দেই যে শহরটা আসলে দু ভাগে বিভক্ত তখন সাংবাদিকরা এসে আমাদের খোঁজে এবং আমাকেই ডাকে। ঈর্ষাক্রান্ত সতীর্থদের দেখি কিন্তু কিছু করার নেই, টিয়া শুধু আমাকেই স্মার্ট বলেছে, ওদের বলেনি। এজন্য ওদের টিয়ার উপর রাগ হয় নাকি আমার উপরে সেটা হিসেবে আনি না, কেননা আমার বন্ধুরা নিস্ফল রাগ করতে অভ্যস্ত।
সাংবাদিকদের শকুনের চোখ, কথাটা ভুল নয়। আমরাই যে বিষয়টা আবিষ্কার করেছি বা আমাদের মাধ্যমেই বিষয়টা ছড়িয়েছে সেটা যে তারা বের করে ফেলবে এবং আমাকেই তাদের পছন্দ হবে শকুনের চোখ না হলে তা কী সম্ভব হতো?সাংবাদিকরা প্রথম যেদিন এলো সেদিন আমি যারপনাই বিরক্ত হয়েছিলাম।
আপনাদের এই মতবাদের পেছনে কারণ কী?
বাদরমুখো সাংবাদিকটার মুখ বরাবর মেরে দেবার ইচ্ছে সংবরণ করতে এক বন্ধুর ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। আমার যে হয় নি তা নয় কিন্তু ঐ মুহূর্তে আধমাতাল বন্ধুর আক্রমনাত্মক মনোবৃাত্তি আমাকে কিছুটা রক্ষণশীল করে দেয় এবং আমি বলি, যেই কারণ থাকুক আপনারা ফুটেন।
তারা ফুটে না। তারা কানের পাশে দাঁড়িয়ে ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে আর আমরা জীবন সম্পর্কে উদাসীন ক’জন বেশ্যাপল্লীতে যাবার প্রস্তুতি নিতে থাকি। আমাকে যেতেই হতো, টিয়া আমার জন্য অপেক্ষা করেছিল। আজ শুধু আমিই তার কাস্টোমার। তো এমন মুহূর্তে এই যন্ত্রনা কার ভালো লাগে?
আমি সাংবাদিকদের শান্ত করার জন্য আমার মতামত দিয়ে টিয়ার ঘরের দিকে পা বাড়াই।
পরদিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। বুকের উপরে দেখি টিয়াকে। নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। শালী, মাগী উঠ। ঠিকি তো আজ রাইতে আরেক ব্যাটার উপরে যাইয়া শুইয়া থাকবি।
সে উঠে আমার দিকে ব্যথিত চোখে তাকায়। তার চোখ দুটোকে হঠাৎ ভীষণ সুন্দর মনে হয়। মনে মনে বলি, দাঁড়া কয়টা দিন যাক তোরে এইখান থেকে নিয়া যামু।
আমার মনের কথাটা অনূদিত হয়, অত্যন্ত কর্কশভাবে। থাক তুই, অসহ্য লাগতেসে তোরে।
টিয়া কিছু বলে না, আমার ব্যবহারের সাথে পরিচিত সে। এবার একটা কড়া দৃষ্টি মেলে সে বলে ভাগ। কিন্তু কেন জানি মনে হয় টিয়াও অপেক্ষায় আছি আমি তাকে একদিন নিয়ে যাব।
সকালের রোদ মুখে এসে লাগে। চাচামিয়ার দোকানে গিয়ে হাতমুখ ধুতে না ধুতেই আমার সঙ্গীরা এসে হাজির। এরা এখন কে কী বলবে আমি জানি। একজন বলবে, ধুর কালকের জিনিষ ভালা ছিল না। আরেকজন বলবে, পুরাই তো কাপাই দিসে। বস্তুত আমরা এই ক’জন উদাসীন যুবকের নারী ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে আগ্রহ ছিল না।
তবে তারা এসব কিছু বলে না। চোখমুখ উত্তেজনায় চকচক করতে দেখি। এই উত্তেজনার দু’টো মানে হতে পারে। হয়ত তাদের রাত ভালো কেটেছে যেটা কখনোই কাটে না কিংবা এলাকার কারো সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। প্রথমটি হওয়ার সম্ভাবনা খুব-ই কম। কেননা টিয়া ছিল আমার সাথে সুতরাং ওদের রাত ভালো কাটার কোনো কারণ নেই। তাই আমি দ্বিতীয় সম্ভাবনাটিকে বাস্তবতা ধরে প্রশ্ন করি, কার সাথে ঝামেলা হইসে?
আরে ব্যাটা, কারো সাথে না। তুই তো হিট হইয়া গেলি রে।
আমি ঠিক বুঝতে পারি না কথাটা তারা আনন্দের সঙ্গে বলে নাকি ঈর্ষার সঙ্গে তবে আমি অবাক হয় নি, প্রথমে; এলাকায় তো আমি শুরু থেকেই হিট। নতুন করে আবার হিট হবো কী করে?
তবে ওদের কথা শুনে অবাক না হয়ে আর পারি না।
তোরে কাল রাতে টিভিতে দেখাইসে।
মানে কী? ক্যান?
আরে ঐ যে আমরা যে কইলাম না শহর দু ভাগ। ঐটা নিয়া।
আমি তৎক্ষনাৎ বুঝে ফেলি ওরা কী বলতে চাইছে। গতকাল সাংবাদিক আমার যে ইন্টারভিউ নিয়ে গিয়েছিল সেটা টিভিতে প্রচার হয়েছে এবং অল্পক্ষণের ভেতরেই আমার চারপাশে ছোটখাট একটা ভিড় জমে যায়।
চাচামিয়ার মেয়ে দোকানের পেছন ঘর থেকে উঁকি দিয়ে বলে, হ মিরাজ ভাই আপনারে খুব সুন্দর দেখাইল। অন্যসময় হলে চাচামিয়া কী বলত জানি না, তবে এখন মৃদু স্বরে বললেন, বাড়ির ভেতরে যা।
আমি স্বরণ করতে চেষ্টা করি, এই ধরনের অবস্থায় পড়লে কোনো টিভি স্টার ঠিক কী বলত, কিভাবে কথা বলত। কিছু ভেবে না পেলেও সিগারেট ধরায় এবং বলি, এটা আমার একার কৃতিত্ব না।
বন্ধুদের চোখেমুখে হাসি খেলে যায়। যেন বলছে, ব্যাটা বাইর করলাম সবাই মিলে আর এখন ভাব ধরস?
আমি আসলেই ভাব ধরছিলাম। খুব একটা পটু না, হয়ত বোঝা যাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারিনা রাতে আমি কী বলেছিলাম।
তখন বিলাপ শোনা যায়। পাশের বাড়ির এক ছেলে এসে বলে, কাল আমাদের ঘরে আসছিল। বাপের সব নিয়া গেছে।
প্রথমে আমাদের ভেতরে হতাশা তৈরী হয় এবং ধীরে ধীরে ক্ষোভ তৈরী হতে থাকে। শালার, কাউরে ছাড়তেসে না দেখি। একবার পাইলে...অনেকে অনেক কিছু বলতে থাকে। আমার কানে কিছু ঢোকে না। কে জানে, ক’দিন পর আমার এক-ই অবস্থা হয় কি’না। কে জানে বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি কিনা, কে জানে টিয়ার সাথে কিছু হয় কি’না। জীবনে এই প্রথমবার ভয় লাগে এবং শরীর কাঁপতে শুরু করে। সবার সামনে থেকে সরে আসি। আমার দুর্বলতা আমি কাউকে দেখাতে দিতে রাজি নই।
ঠিক কতদিন আগে শুরু হয়েছিল? মাসখানেক হবে। একেক সকালে একেকজন নিঃস্ব হয়ে বের হয়ে আসে নিঃস্ব দৃষ্টি নিয়ে। এরপর সারাদিন ঘরে বসে থাকে। কেউ কেউ খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়, কেউ কেউ ঘর থেকে বের হয় না।
আমি বাড়ি গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়ি। কেননা দিনশেষে আমরা যারা শহরের এই প্রান্তের বাসিন্দা তাদের এটা ছাড়া করণীয় কিছু থাকে না।
#
রহমত চাচাকে দিয়েই শুরু। সিগারেট বেঁচে। লোক ভালো তবে ব্যবহার খারাপ। তার কাছে বাকিতে সিগারেট খাওয়া যায় না। একবার বের করে দিতে চেয়েছিলাম এলাকা থেকে। আমাদের এলাকায় থেকে কিসের এত দেমাগ? কিন্তু পারি নাই। চাচাকে গিয়ে বলব যেদিন, সেদিন দেখি তার মন ভীষণ খারাপ।
চাচা বাকিতে সিগারেট দ্যান, আরেকটা চা লাগান।
আমাদের অবাক করে দিয়ে চাচা সিগারেট এগিয়ে দেন। তার এই অযাচিত উপহারে কিংবা ব্যবহারে আমরা খুশি হতে পারি না। প্রথমে মনে হয় আমাদের দুরভসন্ধি বুঝে গিয়ে চাচার এমন পরিবর্তন। তবে আমাদের ভুল অচিরেই ভেঙ্গে যায়।
মেয়েটার বিয়ে ভাইঙ্গা গেল গা, নিজ থেকে বলতে শুরু করেন। এবার আমরা একটু নড়েচড়ে বসি। বাকির সিগারেটে টান দেওয়ার থেকে চাচার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকাটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। মেয়ের নাকি চরিত্র খারাপ। আরে আমার মাইয়া কী করসে? তোমরা তো চিনো ওরে।
নিঃসন্দেহে আমরা চাচার মেয়েকে চিনি। অনেক সুন্দরী, অনেকের হৃদয় ভঙ্গের কারণ। তাকে না চিনে উপায় নেই। শেষ মেয়েটা এক লম্পটের প্রেমে পড়ল। যদিও মানুষকে লম্পট বলি কিন্তু নিজেরা কম কিছু নয়। তখন মেয়েটির নামে অনেক কথা ছড়ায়। বলতে দ্বিধা নেই, আমরাই এর পেছনে দায়ী। বুঝতে পারি, বিয়ে ভাঙ্গার পেছনে আমাদের নির্দোষ ষড়যন্ত্র দোষের আকার নিয়ে চাচার মন, মেয়েটির মন ভেঙ্গে দিয়েছে। নিজেকে একটু একটু অপরাধী মনে হতে থাকে। বন্ধুদের মনের অবস্থা ঠিক কেমন সেটা সেই মুহূর্তে বলতে না পারলেও পরে তাদেরকে আফসোস করতে দেখি।
কিভাবে যেন মুখ ফসকে বলে ফেলি, আরে চাচা যে আপনার মেয়ের চরিত্র খারাপ কইসে হ্যারে নিয়া আসেন এলাকায়, কুত্তা দিয়ে চোদামু। ঠিক এই ধরনের একটা ভাষা মুরুব্বীদের সামনে ব্যবহার করা শোভনীয় না হলেও চাচার মুখে হাসি ফুটে উঠে। তিনি আমার দিকে আরেকটা সিগারেট এগিয়ে দেন।
সেই চাচা একদিন হুট করে নাই হয়ে গেলেন। আসলে নাই হয়ে গেলেন বলা ঠিক না, বলা যায় মরে গেলেন তবে তার দেহ বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে থাকে।
অনেক বিশ্লেষণের পর আমরা জানতে পারি, এক রাতে ঘুম ভেঙ্গে চাচা শূণ্য দৃষ্টিতে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে বের হয়ে এলেও প্রতিদিনকার মতো মেয়েকে বলে বের হন না, তোর একটা ভালো বিয়া দিমু। এজন্য বাঁইচা আছি।
বাবার অশ্রুকাতর কথা শুনে মেয়ে জলস্নান করত। আর এখন কোনো কথা শুনতে না পেরে তাদের ঘরে প্লাবন বয়ে যায়। বস্তুত রহমান চাচার বেঁচে থাকার একমাত্র স্বপ্ন মেয়ের ভালো বিয়ে দেওয়াটা ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়াতে এমন হয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারনা কিছুদিন পরেই ভেঙ্গে যায়।
আমাদের এলাকার একমাত্র সুশীল ছেলে মারুফ। মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল, কিন্তু পড়তে পারে নি। অতদূরে সেই চিটাগাং এ পাঠবার মতো টাকা তার বাবার ছিল না। কিন্তু সে স্বপ্ন দেখত একদিন কিছু একটা করে দেখাবে। এখন সে আর স্বপ্ন দেখে না বরং চুপচাপ ঘরের কোণে বসে থাকে। দিনদিন ব্যাপারটা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ছোঁয়াচে হতে পারে এই ভয়ে আমরাও তাদেরকে এড়িয়ে চলতে শুরু করি।
টিভিতে খবর প্রচারিত হয়। আমরা একদিকে হৈ-হুল্লোড় করি আরেকদিকে ভয়ে বিষণ্ণ হয়ে ঘুমোতে যাই, কেউ কেউ রাতে ঘুমোয় না। কে জানে এরপর কার পালা।
আমি আমার স্বপ্নগুলোকে উল্টে-পাল্টে দেখি। দেখি সব চাওয়া এখন টিয়াতে এসে সীমাবদ্ধ হয়েছে। বুঝতে পারি, এই স্বপ্ন হারিয়ে গেলে আমার বেঁচে থাকার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই রাতে বাড়িতে ঘুমোনো বন্ধ করে দেই, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াই,কখনো কখনো টিয়ার কাছে যাই।
অনেক ছোট থাকতে একবার গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। উঠে দেখি পাশে কেউ নেই। বের হয়ে দেখি অন্ধকার আকাশ, অন্ধকার পথ। কেন জানিনা খুব ভালো লেগে গেল। সেই থেকে একটা অন্ধকার আকাশ আর পথ আমি বয়ে নিয়ে চলছি। কোনো স্বপ্নচোর দানবকে আমি তা চুরি করে নিয়ে যেতে দিতে পারি না। কিন্তু ক’দিন ঠেকিয়ে রাখব?
#
একদিন আড্ডা দিতে দিতে আমরা বের করে ফেলি এই গুপ্ত রহস্যের আসল সত্য। ঘটনা বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পারি, কোনো এক স্বপ্ন হন্তারক শহরের এই প্রান্তের মানুষদের স্বপ্ন নিয়ে চলে যাচ্ছে কিন্তু শহরের অপর প্রান্তে যেখানে বিত্ত বৈভবের অভাব নেই সেখানে সে নিশ্চুপ। তার এই বৈষম্য আমাদের ব্যথিত করে এবং তাকে আমরা গাধা ঠাওরাই এবং বুঝতে পারি, শহরটি আসলে দুইভাগে বিভক্ত।
মানুষের সাধারণ স্বপ্নগুলো নিয়ে তার কী কাজ?আমরা হার মানিনি। দাঁড় করাই একটি সূত্র। যার কারণে আমি টিভিতে ইন্টারভিউ দেই, তৈরী হয় কত আলোচনা। কেউ কেউ আমাকেই পাগল বলে, কেউ কেউ ভ্রান্তি বলে আবার কেউ গলায় সুর মিলিয়ে বলে, ঠিক তাই ঠিক। কিন্তু আমি জানি, যে যাই বলুক না কেন শহরের অপর প্রান্তের মানুষদের স্বপ্ন হন্তারক আক্রমন করবে না। কেননা তাদের সব আছে কিন্তু স্বপ্ন বলতে কিছু নেই। মেয়ের বিয়ে দুঃশ্চিন্তা তাদের করতে হয় না, চাকরি নিয়ে করতে হয় না, টাকা নিয়ে করতে হয় না। তারা বেঁচে থাকতে পারে যন্ত্র হয়ে। স্বপ্ন হন্তারক মানুষ খোঁজে, যন্ত্র না।
আমরা পাহারা বসাতে পারি, তৈরি করতে পারি দুর্ভেদ্য দুর্গ। হতে পারি শহর গবেষক তবে বেঁচে থাকতে পারব কী? বেঁচে থাকার সূত্রগুলো বড্ড এলোমেলো। টিয়াকে পাব কী? কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি টের পাই না।
জানি শুধু, ওরা বেঁচে থাকে যন্ত্র হয়ে আর আমরা মরে যাই মানুষ হয়ে।