Click This Link
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের উপরোক্ত আর্টিকেলটি যার পড়েন নি, তাঁরা পড়তে পারেন।
আমাদের দেশটির প্রধান সমস্যাটি যে রাজনৈতিক এতে এখন আমার আর কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের দেশে ভোটের যে সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে, এখান থেকেও আমরা আর বেরিয়ে আসতে চাই না। তাই আজ প্রয়োজন ভোটারকে সচেতন করা।
এটা খুবই প্রশংসার যোগ্য যে নারায়নগঞ্জের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণ সন্ত্রাসের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এটি দৃষ্টান্তমূলক।
নির্বাচনের আগে প্রতিটি আসনের জন্য নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। যাদের কাজ হবেঃ
1. তুলনামূলক সৎ অথচ দক্ষ প্রার্থীকে সমর্থন করা ও তার পক্ষে প্রচারণা চালানো,
2. সকল প্রার্থীদের মধ্যে প্রকাশ্য বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা,
3. প্রার্থীদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো, বাস্তবায়নের রূপরেখাসহ (যতদূর সম্ভব), প্রকাশ করা,
4. সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রার্থীদের অবস্থান নিশ্চিত করা,
5. মাদক প্রতিরোধে ও শিক্ষা বিস্তারে প্রার্থীদের পরিকল্পনা প্রকাশ করা,
6. জনসংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাসে তাঁদের প্রস্তাবসমূহ,
7. শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা প্রকাশ,
8. প্রার্থীর আয়ের উৎস ও প্রদানকৃত আয়করের পরিমান প্রকাশ,
9. অন্যান্য জাতিয়/আঞ্চলিক ইস্যুতে তাঁদের অবস্থান ইত্যাদি।
উপরোক্ত বিষয়গুলি জাতিয়/স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশ করতে হবে, যাতে জনগণ কাকে ভোট দিলে দেশের প্রকৃত উপকার হবে তা চিন্তা করতে পারে। প্রতিটি আসন থেকে সৎ প্রার্থী সংসদে গেলে, তবেই একটা পরিবর্তন আসবে, তার আগে নয়।