“ময় তিমীদ, তিমীদলৗ মান ময় রুক্ষা কুরিব না-তে মরিব
তুরা তুমলৗ নিতী নিয়ৗ বুইয়ৗ থাক।”
— রাশিমনি।
“আমি নারী, নারীর মান সম্ভ্রম আমিই রক্ষা করব না হয় মরবো
তোমরা তোমাদের নীতি নিয়ে বসে থাকো।”
কথাগুলো লেখা আছে হাজং মাতা টঙ্ক বিদ্রোহে শহীদ রাশিমনির স্মৃতিসৌধে। সে কথা পরে বলছি। তার আগে সুসং-দূর্গাপুর সম্পর্কে একটু বলে নেই—
বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার সর্ব উত্তরে ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের কোল ঘেসে নিরব দাড়িঁয়ে আছে ছোট্ট জনপদ, সুসং দুর্গাপুর। এখানে গেলে আপনি হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের মাঝে। এর মাঝে উল্লেখযোগ্যঃ খরস্রোতা সোমেশ্বরী নদীর সচ্ছ পানি, চিনা মাটির পাহাড়, পাহাড়ের মাঝে নীল পানির হ্রদ, সেন্ট যোশেফের ধর্মপল্লী— রানীখং মিশনারী গীর্জা, চিনামাটির পাহাড়, বিজয়পুর সীমান্তফাঁড়ী, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী, টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ, কৃষক বিদ্রোহে নিহম হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ, কমলা রাণী দিঘী।
২৯.১০.২০১২
ব্যাগ আগেই গোছানো ছিল। ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরেই দৌঁড় শুরু। সারা রাতের নির্ঘুমতার মাসুল তুলতে পেছনের সিটে বসলাম একটু ঘুমিয়ে নিতে। কিন্তু একটু পরেই ভুল ভাঙ্গল, বুঝলাম আজ আর ঘুমানো সম্ভব না।
ভোরের কোমল আলো আর শীতের শুরুর দিকের হালকা কুয়াশা মিলে প্রকৃতিকে এক অপার্থিব সৌন্দর্য দিয়েছে। তখনো দিনের কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়নি, কেবল দুই একজন করে মানুষ পথে বের হতে শুরু করেছে। একে একে গ্রাম, মাঠ, রাস্তা পেরিয়ে ছুটে যাচ্ছে গাড়ি। ভেতরে চলছে অদম্য আড্ডা আর রঙ্গ-রসের মেলা। সবাই যখন ক্রমাগত সিগারেটের ধোঁয়ায় গাড়ির কাঁচ ঝাপসা করে ফেলছে, তখন একের পর এক চুইংগাম চিবিয়ে চোয়াল ব্যথা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না।
মধুপুর বনঃ
এভাবে চলতে চলতে কখন যে মধুপুর বনে ঢুকে পড়েছি টেরই পাইনি। তখনও কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আছে গোটা বন। ডালপালা আর পাতার ভেতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে সকালের সূর্য। বনের ভেতর দিয়ে কুয়াশা কেটে এগিয়ে চলেছে গাড়ি। দু’একটা বানর বিরক্তি নিয়ে চেচামিচি করছে গাছের ডালে বসে অথবা ছুটোছুটি করছে।
জানালা দিয়ে দুই পাশে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ-সজীব বৃক্ষরাজি যেন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সাঁরিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সৈনিকের মত। গাছের ডালপালা আর পাতার ফাঁক দিয়ে সকালের স্নিগ্ধ আলো এসে পড়ছে। সেই সাথে সকালের পাখিদের কিছির মিচির শব্দ। এ যেন মূহুর্তের মাঝেই ভুলিয়ে দেয় পৃথিবীর সব জটিলতা-কুটিলতা।
একটু একটু করে বেলা বারতে শুরু করেছে, সূর্য তার আলো আর উত্তাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীতে। দল বেধে ছেলে-মেয়েরা ব্যাগ কাঁধে স্কুলে যাচ্ছে। পথের দু’পাশের বাজার গুলোতে পন্য সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে দোকানিরা, ক্রমেই ঘন হচ্ছে মানুষের ভিড়। দিন তার পরিপূর্ণ রূপে ফিরে যাচ্ছে, আবারো শুরু হচ্ছে একটি কর্মব্যাস্ত দিন। কিন্তু আমরা আজ সব ব্যাস্ততার বাইরে। একের পর এক গ্রাম আর স্টেশন পেড়িয়ে ছুটে চলেছি সামনে।
ব্রহ্মপুত্র নদঃ
সকাল ন’টার আগেই ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশের আগে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নেমে এলাম সবাই। ব্রহ্মপুত্রও নদী শাসনের বাইরে নেই। নদীর দুই পাড়ে সাঁরি সাঁরি সিমেন্ট আর কংক্রিটের ব্লক দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়েছে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য। বর্ষার উন্মাদ রূপ আর নেই এখন। নদের শান্ত জলের প্রতিটি তরঙ্গে এখন যেন শুধুই প্রশান্তি আর মমতার ছোয়া। হয়ত আরো কয়েক বছর আগেই এখানে কলসি কাঁখে সারি সারি পল্লী বধুদের দেখা পাওয়া যেত। প্রথম বারের মতো ব্রহ্মপুত্রের জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখলাম। পানিতে হাত দিতেই নিজের ছায়া কেমন ঢেউয়ে ঢেউয়ে হারিয়ে গেল! পানি স্থির হতেই আবার দেখলাম স্বচ্ছ আয়নার মত প্রতিচ্ছবি। সূর্যের আলো পানিতে ঝিকিমিকি করছে। জাল আর বরশি দিয়ে মাছ ধরছে স্থানীয় মানুষ, আমার গান গাওয়া মানুষগুলো (My men sing)।
যার যার মত তখন ক্যামেরার ফ্রেমে ব্রহ্মপুত্র আর তার মানুষদের বন্দী করতে ব্যস্ত। কিন্তু এখনও অনেকটা পথ বাকি, যেতে হবে বহুদূর। তাই ভাললাগাটুকু খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। ইচ্ছের গলায় শিকল পরিয়ে চলে এলাম ব্রহ্মপুত্রের তীর থেকে, সাথে রইল কিছু ক্যামেরা বন্দী নির্বাক ছবি।
এবার ময়মনসিংহ শহরে সকালের নাস্তা সেরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ নামে পরিচিত) পার হয়ে সোজা সুসং দূর্গাপুরের পথে। রাস্তায় আর কোন বিরতী নেই।
বিরতি দেব না বললেও জারিয়া রেল ক্রসিংয়ে এসে থামতেই হলো। এবার একটু গরম চা’য়ে গলা ভিঁজিয়ে নেবার পালা। জারিয়া থেকে বিরিশিরির পথের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গেলে কয়েক দিস্তা কাগজের শ্রাদ্ধ করতে হবে। লেখা সংক্ষিপ্ত করার জন্য সেদিকে যাচ্ছি না।
নলুয়াপাড়ায় মামুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দুপুরে অসাধারন কিছু খাবার (সোমেশ্বরীর শুটকি মাছ, গরুুর মাংস ভূণা, সব্জি, ডাল) খেয়ে শরীরে আলস্য ভর করলো। কিন্তু উপায় নেই। সোমেশ্বরী আর ওপারের গাড়ো পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
সোমেশ্বরী:
সোমেশ্বরীর পাড়ে যখন পৌঁছলাম তখন ঘড়ির কাটা ১ পেরিয়ে গেছে। দুপুরের রোদ সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ নীল জলে যেন নীল আকাশের বুকে তারার মতো জ্বলছে।
সোমেশ্বরীর আদি নাম সিমসাঙ। স্থানীয়দের মতে বনের হাতিকে আটক করে পায়ে শিকল পরালে পাহাড় কষ্ট পায়। পাহাড়ের এই চোখের জল থেকেই সিমসাঙ নদীর সৃষ্টি। তাদের মতে, গারো পাহার নিজেও এক প্রবীণ হাতি। বয়সের ভাড়ে স্থবির হয়ে গেছে।
নদীর পাড়ের লাল বালু খুড়ে কয়লা তুলছে স্থানী আদিবাসী ও বাঙালীরা। স্বচ্ছ কাঁচের মতো নীল জল ভেদ করে অবাধেই দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট মাছেদের চলাফেরা। পানি এতোটাই স্বচ্ছ যে মনে হচ্ছে নদীর ওপর পানি নয়, স্বচ্ছ কাচ বিছিয়ে রাখা হয়েছে। একেই হয়তো কাকচক্ষু জল বলা হয়।
নৌকা পার হবার পর বেশ খানিকটা বালিয়ারি পথ মূল রাস্তা পর্যন্ত। সোমেশ্বরী পার হবার পর আপনি এখানে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ও রিক্সা পাবেন। তবে আমরা পায়ে হেঁটেই রওনা হলাম চিনা মাটির পাহাড়ের দিকে। পায়ে হেঁটে ৩০-৪০ মিনিটের পথ।
চিনামাটির পাহাড় ও নীল হ্রদঃ
দু’পাশে আদিবাসীদের গাছপাল ঘেড়া ছোট ছোট ঘর আর অবরিত ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম চিনা মাটির পাহাড়ে। রূপসী বাংলা কতোটা রূপবতী তা আপনার অজানাই থেকে যাবে যদি দূর্গাপুরের এই চিনা মাটির পাহাড় আর তার মাঝখানে নীল (কখনো গাঢ় সবুজ) পানির হ্রদ না দেখে থাকেন।
তবে পাহাড় কেটে যেভাবে মাটি সরানো হচ্ছে তাতে ভয় হলো খুব বেশিদিন হয়তো আর এই সৌন্দর্যের লীলাভূমি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না।
সবার ক্যামেরাগুলো তখন ক্লিক ক্লিক শব্দে ব্যাস্ত। সূর্য মধ্য আকাশ পেরিয়ে পশ্চিমে হেলে পড়েছে। এবার যাবার পালা। আরো কয়েকটি দর্শনীয় স্থান হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধঃ
চিনামাটির পাহাড় থেকে বিজয়পুর সীমান্তফাঁড়ি এবং রাণীখং মিশনারী গির্জায় যাবার পথেই হাতের বামে পড়বে হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ। কৃষক আন্দোলনের পথিকৃত, টঙ্ক আন্দোলনের নেত্রী রাশিমনি হাজং ও সহযোদ্ধা সুরেন্দ্র হাজং ৩১ জানুয়ারী, ১৯৪৬ সালে এই বহেড়াতলিতে শহীদ হয়েছিলেন। পুলিশ ধরে নিয়ে যাবার সময় এক নারীকে বাঁচাতে হাতের দা দিয়ে কোপ দিয়ে পুলিশের শিরচ্ছেদ করে ফেলেছিলেন। তখন আরেক পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন।
স্মৃতিসৌধের ওপরের দিকে তাকালেই দেখবেন বড় বড় লেখা আছে রাশিমনির সেই বলিষ্ঠ বাণী,
“ময় তিমীদ, তিমীদলৗ মান ময় রুক্ষা কুরিব না-তে মরিব
তুরা তুমলৗ নিতী নিয়ৗ বুইয়ৗ থাক।”
— রাশিমনি।
অনেক্ষণ তাকিয়ে রইলাম লেখাগুলোর দিকে। শ্রদ্ধায় মন ভরে উঠলো অদেখা এই সাহসী নারীর প্রতি। সালাম হাজং মাতা রাশিমনি। তোমার দেশের নারীরা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। তবু এখনো তাদের মান সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য যুগে যুগে তোমার জন্ম প্রয়োজন।
বিজয়পুর সীমান্তফাঁড়িঃ
সোমেশ্বরীর পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটেতে আমরা পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশের একদম শেষ সীমানা বিজয়পুর সীমান্তফাঁড়িতে। সারাদিন হাঁটাহাঁটি আর ক্ষুধায় সবাই ক্লান্ত। হাত-পা অসার হয়ে আসছে। বিজিবি ক্যাম্পের সামনে বেশ কিছু চায়ের দোকান ও স্থানীয় খাবারের দোকান। সেখান থেকে কিছু ফলমূল আর চা খেয়ে আমরা বিজিবি ক্যাম্পের ভেতর গেলাম। নিরাপত্তাজনিত কারনে খুব বেশি ভেতরে যদিও প্রবেশ করা সম্ভব হলো না। তবুও ওপাশে ভারতের পাহাড় আর এপাশের বাংলার রূপ দেখে বিমোহিত হয়ে উঠেছি বারবার।
রানীখং গীর্জাঃ
সাধু জোসেফের ধর্মপল্লীটি একদম সোমেশ্বরীর উপরে পাহড়ের টিলার ওপর অবস্থিত। ইতালী থেকে ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন সেন্ট জোশেফ। সোমেশ্বরী নদীর পাড় ঘেষে ১৯১২ খ্রিষ্টব্দে প্রতিষ্ঠত করেন রানীখং মিশনারী গীর্জা।
তখন সন্ধ্যার পাখিরা ঘরে ফিরছে। পশ্চিমের আকাশে রক্তিম লাল আভা। গীর্জায় আসতে শুরু করেছেন প্রার্থনাকারীরা। এখানকার ফাদারদের সাথে কথা বললাম। তাদের আন্তরিকতা মুগ্ধ করেছে আমাদের। সোমেশ্বরীর একদম উপরে অবস্থিত খোলা ঘরটিতে বসলাম সবাই। ঘরের নিচে বাতাস আর সোমেশ্বরীর জলের শব্দে মন কেমন যেন হাহাকার করে ওঠলো। সামনেই সেন্ট জোশেফের ভাস্কর্য। পেছনে সোমেশ্বরীর লাল বালু পশ্চিমের লাল সূর্যের আলোতে আরো রাঙা হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে নদীর তীরে রাশি রাশি কৃষ্ণচূড়া বিছিয়ে রেখেছে কেউ। আপনি এখানে না আসলে কখনোই বুঝতে পারবেন না কেমন নৈসর্গীক সৌন্দর্যের অবাধ বিচরন এখানে।
ফেরাঃ
ভালোলাগা আর ক্লান্তিতে দিন চলে গিয়েছে পৃথিবীর ওপাশে। এবার আমাদেরও ফেরার পালা। সোমেশ্বরীতে কোন নৌকা পেলাম না। খেয়াঘাট তিন কিলোমিটার ভাঁটিতে। ভাবছিলাম কি করবো। এমন সময় বিজিবি’র এক জোয়ানকে পেয়ে গেলাম। কথায় কথায় পরিচয় হলো উনার বাড়িও টাঙ্গাইলে। উনি নিজে থেকেই বিজিবি’র বোটে নদী পার করে দিলেন। তবে সাবধান করে দিলেন যেন খুব বেশি পূর্ব দিক ঘেসে না যাই। সীমানার ওপাশ থেকে প্রায়ই বিএসএফ গুলি ছুড়ে। তাছাড়া এই পথটি শর্টকাট হলেও রাতের বেলা জোঁকের আক্রমন বেশি। আর পাহাড়ের বেশি গভীরে স্থানীয় কিছু ছিনতাইকারীও উঁৎ পেতে থাকে।
গাড়ি পর্যন্ত যেতে পাক্কা তিন কিলোমিটা হাঁটতে হবে সোমেশ্বরীর তীর ঘেসে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে। নদীর পশ্চিম পাড়ে গীর্জার ঘন্টা বেঁজে উঠলো ঢং... ঢং... ঢং...।
পূর্বে ভারতের পাহাড়ের মাথা ডিঙিয়ে চাঁদ উঁকি দিয়েছে পূব আকাশে। পাহাড়ের কোল ঘেসে হেঁটে চলেছি আমরা ক’জন। মাঝে মাঝে ছোট ছোট খালের মতো পার হতে হচ্ছে। হাঠাৎ হারুনের পায়ে নরম পিচ্ছিল কিছু একটার অস্তিত্বের টের পেয়ে চমকে উঠলো। না, সাপ না। একটা জোঁক পা কামড়ে রক্ত শুষে নিচ্ছে। জোঁক ছাড়িয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম। হেঁটে চলেছে ওরা ১১ জন— পশ্চিমে সোমেশ্বরী, পূবে পাহাড়, পাহাড়ের ও’পাশে শুক্লপক্ষের দ্বাদশী চাঁদ।
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ
ফরিদ, নলুয়াপাড়া, সুসং দূর্গাপুর। যিনি আমাদের খাবারের সব আয়োজন করেছেন এবং সারাদিন আমাদের সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিটি স্পট অত্যন্ত আন্তরিকাতার সাথে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১১:১৩