ঘটনার বিবরণে উঠে আসে “হিস হিস ফিস ফিস“, “শিৎকার চিৎকার“। এসব নিউজ সময়ের খোরাক হয়ে যায়। প্রথম পাতা জুড়ে থাকে- কার বাবার সোনার কতো জোর, কার সোনার জোরে কে ধর্ষক। এদিকে লোকাল পত্রিকার কোন এক কোণার পাতায় প্রতিদিন ছাপা হতে থাকে শিশু ধর্ষণের খবর। কখনো মসজিদের ইমাম, কখনো প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টারের বিকৃত লালসার শিকার হচ্ছে ৩-৯ বছরের শিশু। দেখার কেউ নেই, পড়ার কেউ নেই। প্রতিবাদ আরো পরের ব্যাপার।
পেপার-পত্রিকা বুঝে গেছে কোন খবরে কাটতি ভাল। অনলাইন এ্যাকটিভিস্টরা বুঝে গেছেন কিসে লাইক-কমেন্ট বেশি। আর জনগণ রসালো গল্প পেলেই খুশি। শিশু ধর্ষণের বিচার চেয়ে ১০০০ টাকা জরিমানা পেয়ে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় কোন রস নেই। মরেই তো গেছে। আহা, বেচারা! ঘটনার বর্ণনাও দিয়ে গেলো না! তাহলে তো কিছুটা রসালো কেচ্ছা পাওয়া যেত!
অধিকাংশ শিশু ধর্ষণের মিমাংসা হচ্ছে ইউপি মেম্বার-চেয়রম্যানদের হাতে। কখনো আবার মেম্বার-চেয়রম্যান নিজেরাই ধর্ষক। দাম তো ঠিক করাই আছে! সেই ১০০০টাকা। কাজেই চালাও ধর্ষণ। মসজিদে, মাদ্রাসায়, স্কুলে-বিশ্ববিদ্যালয়ে, আবাসিক হোটেলে। চলছে, চলুক...
টাকা আর সোনার নিচে চাপা পড়ে যাবে সব আর্তচিৎকার। আসাদ চৌধুরীর লাইনগুলো খুব মনে পড়ে ইদানীং,
“আগুন ছিল মুক্তিসেনার
স্বপ্ন-ঢলের বন্যায়-
প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ে
কাঁপছিল সব অন্যায়।
এখন এসব স্বপ্নকথা
দূরের শোনা গল্প,
তখন সত্যি মানুষ ছিলাম
এখন আছি অল্প।”
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৫