কলেজ লাইফ থেকেই মাথার চুলে পাক ধরেছিলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করতে করতে চুলের সাথে দাঁড়িও সাদাটে হয়ে গেছে। যদিও ইদানীং ক্লিন সেভড থাকি বলে সেটা বোঝা যায় না। তবুও ভয়ে থাকি- বিয়ে করতে গেলে মেয়ের বাবা-মা মেয়ে দিবে তো!
সেদিন হঠাৎ করেই ভয় কেটে গেল। ৪৩-৪৪ বছরের এক দুঃসম্পর্কের মামা, আগেও একাধিক বিয়ে করার সৌভাগ্য হয়েছিলো তার। বউদের নানারকম চারিত্রিক দোষের কারনে বিয়ে টিকে নি(?)
সেদিন ফোন করে নতুন বউ দেখতে যেতে বললেন। মামাকে মহা খুশি মনে হলো। বললেন, বউ দেখতে সুন্দর, ক্লাশ সেভেনে পড়ে!
আমার অহেতুক ভয় কেটে গেলো। যাক বাবা, এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম! এদেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মা গুলো মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে এখনো দেখি যথেষ্ট উদারমনা।
বয়স কোন ব্যাপার না। পাকা চুল তো দূরের কথা- মাথায় চুল না থাকলেও সমস্যা নেই! শুধু ছেলের পকেটে টাকা থাকলেই হলো! তাহলেই মেয়ে সুখী! কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাবা-মা ও খুশি!
বাংলার এই মেয়েগুলোকে আমার স্যালুট করতে ইচ্ছে করে। যারা বাবা-মা'র মুখের দিকে তাকিয়ে অবলিলায় নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, আনন্দ-হাসি আর ইচ্ছেগুলো মাটি চাপা দেয়।
আজ থেকে ১৫-২০ বছর পর যদি এই মেয়ে তার শরীর বা মনের চাহিদার জন্য নিজের সমবয়সী কোন ছেলের হাত ধরে তখন এই সমাজ তাকে খানকী মাগী, বেশ্যা, ২ নাম্বার মাল নানারকম উপাধিতে ভূষিত করবে।
আজকেও মহাবীর আলেকজান্ডারের মতো বলতে ইচ্ছে করছে, "সত্যিই সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ!"
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭