এমনি কোন এক উথাল পাথাল জ্যোঁৎস্না রাতে সিদ্ধার্থ (গৌতম বুদ্ধ) ঘড় ছেড়েছিলেন, নির্বান লাভ করেছিলেন। আমি সিদ্ধার্থ’এর মতো মহাপুরুষ নই। ঘড়ের মায়া ছাড়তে পারি না। তাই এমন পূর্ণিমার রাতগুলোতে বাইরে বসে জ্যোঁৎসনা দেখি। তারপর ঘড়ে ফিরে আসি।
আজকের জ্যোঁৎস্নাটা অন্যরকম। আনন্দ-বিষাদরে মাখামাখি অবস্থা। জ্যোঁৎস্না আর মেঘ, আলো আর আঁধারের মাখামাখি। এক অপার্থিব রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে চারপাশে।
বিশাল কম্পাউন্ডের ভেতরে শ্যা্ওলা আর আগাছায় ঘেরা কিছু এলোমেলো প্রাচীর, আমার পূর্বপুরুষদের কবর। হ্যাঁ, আমার পূর্বপুরুষ, যাদের আমি দেখিনি কোনদিন, যাদের নামও জানি না আমি। আমি জানি না তারা দেখতে ঠিক কেমন ছিলেন। কিন্তু তাদের জীন প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়াচ্ছি শরীরের প্রতিটি কোষে।
আজ হঠাৎ এই না দেখা মানুষগুলোকে দেখতে ইচ্ছে করছে। খুব জানতে ইচ্ছে করছে তারাও কি এমন উথাল পাথাল জ্যোঁৎস্নার রাতগেুলোতে এভাবেই বসে অপলকে তাকিয়ে থাকতেন এই চাঁদটার দিকে, ভাবতেন কিছু!
অথবা আজ থেকে অনেক বছর পরে এইখানে কি কেউ বসবে, ভাববে, আমার উত্তর পুরুষ?
মানুষের মন খুব বেশিক্ষণ নিঁখাদ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ্য করতে পারে না। মন হাহাকার করে ওঠে, অসীম শূন্যতায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
হে আমার পূর্বপুরুগণ, অপেক্ষা করো। আমিও একদিন তোমাদের মতো অসীম শূন্যতায় হারিয়ে যাবো। দেখা হবে শূন্যতায়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ১:০৬