এক রাখাল একদিন তার ভেড়ার পাল নিয়ে ফেরার সময় এক মৃত বাঘের পাশে একটি বাঘের বাচ্চা পেল এবং সেটিকে নিয়ে এল তার বাসায়। বাচ্চাটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকল সেই রাখালের কাছেই, জীবন যাপন করতে থাকল ভেড়ার পালের সাথে। কিন্তু সে তার বাঘের চরিত্র হারিয়ে ফেলল। সে নিজেকে ঐ ভেড়ার গোত্রেরই ভাবতে শুরু করল। সে ভেড়ার দলের সাথে প্রতিদিন মাঠে যায়, তাদের সাথে চলতে থাকে। কিন্তু ভেড়ার দল তাকে পাত্তা দিতনা। সুযোগ পেলেই শিং দিয়ে তাকে গুঁতো দিত। আর বাঘের বাচ্চাটি সেই গুঁতো খেয়ে পালাত আর মনে মনে দোয়া করতো “ আল্লাহ্, আমাকেও এমন শিং দাও, আর কত গুঁতো খাব।“ ঘটনাক্রমে আরেকটি বাঘ এল সে স্থানে শিকারের উদ্দেশ্যে। চুপিচুপি ভেড়ার দলের কাছে আসলো। কিন্তু এসে সে দেখল একটি ছোট বাঘের বাচ্চা ভেড়ার দলের আশেপাশে ঘুরছে আর ভেড়ার শিঙের গুঁতো খেয়ে এদিক ওদিক পালাচ্ছে। এটা দেখে শিকারি বাঘটি খুবই অবাক হল, তার খিদের কথা ভুলে গেল। সুযোগ খুঁজে সে বাচ্চা বাঘটিকে ধরে আনল জংগলের গভীরে। বাচ্চাটিতো তাকে দেখে ভয়ে প্রায় আধমরা। শিকারি বাঘটি তাকে বলল “ কিরে বেটা, তোর এই অবস্থা কেন? তুই ভেড়ার গুঁতো খেয়ে খেয়ে ভেড়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিস কেন? “ বাচ্চাটি বলে “ আমার যে শিং নেই”। বাঘটি রেগে মেগে বলে “ আরে, শিঙের কি দরকার, তুই জানিসনা তুই যে বাঘ? গর্জন করে উঠ, তোর গর্জন শুনেই ভেড়ার দল জ্ঞান হারাবে। তোর থাবার আঘাতে তারা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। গর্জে উঠ আমার মত করে” বলে বাঘটি গর্জে উঠল। তার গর্জন শুনে ভেড়ার দল দিগবেদিক ছোটা শুরু করল। বাচ্চাটির চোখ জ্বলজ্বল করে উঠল তার নিজ পরিচয় বুঝতে পেরে। শিকারি বাঘটি বলল “ বুঝেছিস তোর পরিচয়? চিনেছিস নিজেকে? “ বাচ্চাটি বলে উঠল “ হ্যা, বুঝেছি”। “ যা বঘের মত বেঁচে থাক, তুই গর্জে উঠবি আর সবাই তোকে ভয় পাবে। নিজেকে চিনিয়ে দেয়।“
ও মুসলিম, কেন আজ তোমার মডেল শাহরুখ খান, সালমাণ খান, ক্যাটরিনা? কেন তোমার মডেল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নয়? কেন তুমি নিজেকে উমর,খালিদ, আলী, ফাতিমা, আয়শা(রাঃ) ইত্যাদি দের মত গড়ে তুলতে চাও না? আজ তুমি পড়ো শেক্সপীয়রের গল্প, হুমায়ুন আহমেদ । কিন্তু পড়না কোরআন, ইসলামী ইতিহাস।
ওহে মুসলিম ভাই তুমি কোথায়? আজ দেশে কুফফার, নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী আর ইহুদীদের দালালে ছেয়ে গেছে। তারা কৌশলে অস্ত্রে মুসলিম উম্মাহের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
ওহে মুসলিম ভাই তুমি কোথায়? তোমার বোন হিজাব বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, কেটে ফেলা হচ্ছে তাদের জামার বাড়তি অংশ।
ওহে মুসলিম ভাই তুমি কোথায়? মায়ানমারে, ফিলিস্তিনে তোমার ভাইদের হত্যা করা হচ্ছে পাখির মত গুলি করে। টুইনটাওয়ার ধ্বংসের এক যুগ পুর্তিতে হাজার হাজার কুরআন পোড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, তবুও কি তোমার ইমানি চেতনা বৃদ্ধি পাবেনা?
তুমি কোথায়? সভ্যতার নামে জাতির মাঝে অসভ্যতা বিস্তার করা হচ্ছে, তুমি কি তবুও আল্লাহর রাস্তায় লড়বেনা? নাকি তুমিও কাফির পীরজাদাদের মত নফসের জিহাদে বিশ্বাসী? মুসলিম জাতিকে কোণঠাসা করার জন্য ভণ্ড দল করা হয়েছে, যাতে তোমাদের মনে সংশয় প্রবেশ করে। তারা গোপনে মিডিয়ায় ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে যাতে ভেতরের জিহাদি মনোভাব জাগ্রত না হয়।
ওহে মুসলিম ভাই তুমি কোথায়? নাকি তুমি কি জঙ্গি মৌলবাদী , চরমপন্থি ডাক শোনার ভয়ে ইসলামের কথা বলতে ভয় পাও?
তুমি কি ভুলে গেছ তোমার নিজের পরিচয়? তুমি কি ভুলতে বসেছ তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি? তুমি কি ভুলে গেছ তুমি খালিদ বিন ওয়ালিদ, তারিক, ওমর, আলী, সালাউদ্দিন আইয়ুবির বংশধর? তুমি কি ভুলে গেছ তুমি বীরের জাতী? কেন তুমি আজ অন্যের দ্বারা নির্যাতিত নিপীড়িত লাঞ্চিত হয়েও চুপচাপ মেনে নিচ্ছ? গর্জে উঠ ইসলামের শক্তিতে, গর্জে উঠ আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস রেখে। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ো না, আল্লাহর রজ্জুকে আকড়ে ধর।