প্রিয় চপলা,
কেমন আছিস তুই?জানিনা ভাল আছিস কিনা।কত দিন পর তোকে চিঠি লিখছি বল তো?শেষ চিঠি কবে দিয়েছিলাম তোকে?জানি না!মনে নেই আমার।তুই শেষ আমাকে চিঠি দিয়েছিলি ২৩ জানুয়ারী,আমার জন্মদিনে।তোর সাথে বন্ধুত্ব হবার পর এটা ছিলো আমার ২য় জন্মদিন।প্রথম জন্মদিনে দুটো কবিতা লিখে দিয়েছিলি তুই।এইবার একটাও না।কেন?তুই কি জানিস এবারও আমি তোর কাছ থেকে একটা কবিতা আশা করেছিলাম?চিঠি পাওয়ার আগে না...আশা করেছিলাম পরে....!!
যাই হোক,তোর কাছে তো আমি অনেক কিছুই আশা করেছিলাম।অনেক কিছুই পাইনি।আবার যা চাই নি তাই পেয়েছি।
বন্ধুরে,
তোকে আমি কতটা ভালবাসতাম তুই কি সেটা বুঝেছিলি?তুই আমাকে কতটা ভালোবাসতি?তোর ভালবাসা আমি বুঝতে পারিনি কখোনই।এটা আমি স্বীকার করি।
পয়লা বৈশাখ এলে তোর কথা যেন আরো বেশি মনে পড়ে।তুই জানিস না সেদিন আমার মন কতটা খারাপ থাকে।তোর সেই কথা গুলো মনে পরে।মনে পড়ে যায়,সেদিন তোর ঐ কথাটা শোনার পর আমি ছুটে বেরিয়ে যাচ্ছি ক্লাস থেকে....সবাই আমাকে ধরতে চাচ্ছে....আমি তিন তলা থেকে এক দৌড়ে নিচে নেমে এলাম...।
সেদিন আমার ভেজা চোখ কি তুই দেখেছিলি?
সেদিন তুই কেন বলেছিলি আমি স্বার্থপর?স্বার্থের জন্য তোর সাথে বন্ধুত্ব করেছি?তুই কি জানিস না স্বার্থপর কথাটা আমি সহ্য করতে পারি না?নাকি জানিস বলেই বলেছিলি একথা?
কেউ বলে,আমাকে পাবার জন্যই তুই এতসব বলেছিস।কিন্তু আমি তো তোরই ছিলাম!নতুন করে আর কিই বা পাওয়ার ছিলো তোর?
সে থেকে কতদিন কথা হয়নি তোর সাথে।দুইজন ক্লাসের দুইমাথায়।তুই যখন অন্যদের সাথে কথা বলতি তাকিয়ে থাকতাম আমি।সেই দিন গুলোর কথা কি তোর মনে আছে?
সবাই বলে 'ভুলে যা সব কথা'
ভুলে তো যেতেই চাই,আবার ভালবাসতে চাই তোকে,ঘৃণাগুলোকে মুছে দিতে চাই চিরতরে!!কিন্তু যতই মুছি না কেন....কোথায় যেন একটু থেকে যায় সেই ঘৃণা।
তবুও ভালবাসি তোকে।তুই কি সেটা বুঝিস?কি করে বুঝবি তুই?আমি যে তোকে বুঝতেই দেই না!কখনোই বুঝতে দেব না।সারাজীবন তোকে আমি কষ্ট দিয়ে যাব।যদি তুই আমাকে সত্যিই ভালবাসিস তো কষ্ট পাবি।আর নয় তো আমার কষ্ট দেয়ার অভিনয় দেখে হেসে যাবি শুধুই!!কিছুই বলবি না কখনো!!
আমি এখনো ভালবাসি তোকে,ভালবাসবো সব সময়।
এখনো তোকে আগের মতই ভাবি,অনুভব করি!
কিন্তু একথা আমি তোকে বলব না কখনোই।
তাই তো তোকে এই চিঠি লেখা।
আমি তো জানি...এ চিঠি তোর হাতে পৌছুবে না কখনোই!!
ভাল থাকিস চপলা।অনেক ভাল থাকিস।তুই তোর তাকে নিয়ে ভাল থাকিস খুব।আনন্দে থাক সব সময়!!
ইতি-
তোর
মাছরাঙ্গা....!!