১২৪৮ সালে মালাধর বসু কর্তৃক লিখিত 'শ্রীকৃষ্ণ বিজয়' গ্রন্থে প্রথম বাউল শব্দটি পাওয়া যায় বলে ধারণা করা হয়। তবে কোনো কোনো ইতিহাসবিদদের মতে, "সতেরো শতকে বাংলাদেশে বাউল মতের উদ্ভব হয়। এ মতের প্রবর্তক হলেন আউল চাঁদ ও মাধব বিবি। বীরভদ্র নামে এক বৈষ্ণব মহাজন সেই সময়ে একে জনপ্রিয় করে তোলেন [1]।" প্রফেসর উপেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য তার ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান' গ্রন্থে লিখেছেন, বাউল ও বাউলা মতবাদের উৎপত্তিকাল আনুমানিক ১৬৫০ খৃস্টাব্দ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে,"বৌদ্ধদের মহাযান পন্থী থেকে বাউলদের উদ্ভব [2]।" "তবে জগমোহন গোসাঈ কে (জগন্মোহিনী বাউল) সম্প্রদায়ের প্রবর্তক বলা হয়। তাকে আদি বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক হিসেবেও গণ্য করা হয় [3]।" বাউল শব্দের উৎপত্তি নিয়ে অনেক মতবাদ আছে। কেউ মনে করেন সংস্কৃত ‘ব্যাকুল’ থেকে ‘বাউল’ শব্দের উৎপত্তি। অনেকে বলেন ‘বাতুল’ শব্দ থেকেই বাউল এসেছে। বাতুল শব্দের অর্থ উন্মাদ, পাগল ইত্যাদি। অনেকে বলেন বৌদ্ধ সহজিয়া মতে ব্যবহৃত ‘ব্রজকুল’ থেকে ‘বাজুল’ এবং তা থেকেই ‘বাউল’ শব্দের উৎপত্তি। "আরবি 'আউল' বা হিন্দি 'বাউর' থেকেও শব্দটি আসতে পারে [4]।" সংসদ বাংলা অভিধানে বাউল শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে, "ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতা ও সংস্কার হইতে মুক্তসাধক সম্প্রদায় বিশেষ, খেপা লোক, পাগল [5]।" অক্ষয় কুমার দত্ত তাঁর 'ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়' বইতে বাংলার বিভিন্ন উপধর্মের সন্ধান দেন তা হলো - বাউল, ন্যাড়া, দরবেশ, সাঁই, আউল, সাধ্বিনী পন্থী, সহজিয়া, রামসাধনীয়া, জগবন্ধু-ভজনীয়া, দাদুপন্থী, রুইদাসী, সেনপন্থী, রামসনেহী, মীরাবাঈ,কর্তাভজা, রামবল্লভী, সাহেবধনী, বলরামী, হজরতী, গোবরাই,পাগলনাথী, তিলকদাসী, দর্পণারায়নী, বড়ী, অতি বড়ী, রাধাবল্লভী, সখি ভাবুকী। সেই সময়ে এই রকম অনেকে উপধর্ম চালু ছিল॥ বাউল সম্প্রদায়ের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে ড. আনোয়ারুল করিম লিখেছেন, "প্রাচীন প্যালেস্টাইনের রাসসামরায় (বা'আল) নামের একজন প্রজনন দেবতার উপাসনা করা হতো। এবং এই ধর্মের লোকদের মধ্যে মৈথুন যৌনচার গুরত্বপুর্ণ বিষয় ছিল॥ এই বা'আল ধর্ম একসময় এ উপমদেশীয় অঞ্চলেও ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলে। পরবর্তীতে এ অঞ্চলে ইসলামের সুফীবাদী মতবাদের প্রচার-প্রসার ঘটার পর সম্ভবত ইসলাম ও পৌত্তলিকতা উভয় মতবাদের সংমিশ্রণে একটি নতুন লোক ধর্মের উদ্ভব ঘটেছিল, যার উপরিভাগে ছিল মুসলিম সূফীবাদের প্রাধান্য, অভ্যন্তরে ছিল তন্ত্র ও যোগ নির্ভর দেহজ সাধনা। তাই তার ধারণা মতে কালক্রমে এই বা'আল লোকধর্মই পরবর্তীতে বাউল লোকধর্মে পরিণত হয়েছে [6]।" বাউলদের সাধনার দুটি মুখ্য রীতি - জ্ঞানমার্গীয় যোগসাধনা আর মিথুনাত্মক যোগসাধনা। সাধন-সঙ্গিনী হিসাবে নারী সংসর্গ এবং যোগ সাধনার অঙ্গ হিসাবে নারী সম্ভোহ বাউল ধর্মে স্বীকৃত। বাউলরা দেহ সাধনার অঙ্গ হিসাবে নর-নারীর মিলন ও সঙ্গমকে ধর্মীয় ভাবে বৈধ করে। তাদের কাছে গুরুই সব। প্রয়োজনে গুরুর উপস্থিতিতে মিলন ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তাইতো বাউলরা গায়, "আমার দেহ-জমি আবাদ হইল না গুরুর বীজ বুনতে পারলাম না। ও বীজ বুনতে পারলে হত কামরাঙ্গা ফলপুষ্ট হত দানা..." অদ্ভুত বাউলদের ধর্ম বিশ্বাস।
"বাউলদের মধ্যে হিন্দু গুরুর মুসলিম সাগরেদ বা মুসলিম গুরুর হিন্দু সাগরেদ গ্রহণে কোন বাধা নেই। তারা হিন্দু ধর্ম ও শরিয়তী ইসলামের বেড়া ভেঙে নিজের মনের মত করে পথ তৈরি করে নিয়েছে। এজন্য তারা বলে,"কালী কৃষ্ণ গড খোদা/কোন নামে নাহি বাধা
...মন কালী কৃষ্ণ গড খোদা বলো রে [7]।"
তবে অনেক বাউল গান আছে যেখানে সাধন তত্ত্ব ও সাধন রীতির কথা সরাসরি বলা হয়েছে। আবার কতক গানে সাধনার রীতি পদ্ধতি রহস্যময়॥ তবে বাউলরা বিশ্বাস করে যে, 'আপন সাধন কথা, না কহিবে যথা তথা'। "বাউলদের যে গোপন সাধনাটি নিয়ে বারবার নানা জায়গায় আলোচনা দেখা যায় তা হল ‘চারিচন্দ্র ভেদ’ প্রক্রিয়া। অনেক বাউল গানে এর উল্লেখ আছে॥ বিভিন্ন গানে উল্লিখিত চারটি চন্দ্র হল – শুক্র, রজঃ, বিষ্ঠা ও মূত্র। দেহ নিঃসৃত এই চার পদাত্থকে প্রতীকের ভাষায় ‘চারি চন্দ্র’ বলে [8]।"
বাউলরা চারিচন্দ্র ভেদ করতো অর্থাৎ "মল-মূত্র, রজঃবীর্য পান করতো [9]।"
বাউলরা বিশ্বাস করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক তৈরী হয়। তাই বাউলদের মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন ঘটনা। "এছাড়া, তারা রোগ মুক্তির জন্য স্বীয় মুত্র পান করে॥ সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে [10]।" নারী-পুরুষের একত্রে অবাধ মেলামেশা এবং বসবাসকে দর্শন হিসেবে অনুসরণ করে।
বাউল সম্প্রদায়ই মনে হয় সর্বাপেক্ষা জঘন্য ও যৌনপ্রবণ। "মদ্যপান, নারী পুরুষের অবাধ যৌনক্রিয়া এদের সকল সম্প্রদায়ের সাধন পদ্ধতির মধ্যে অনিবার্য রূপে শামিল। বাউলগণ যৌন সঙ্গমকে যৌন পূজা মনে করে [11]। তবে বাউলদের কথা উঠলে বাউল সম্রাট লালনের কথা উঠবেই॥ বাংলা ১৩৪৮ সালের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লালনের জন্ম মুসলিম পরিবারে বলে উল্লেখ করা হয়। গবেষক লেখক শক্তিনাথ ঝা শান্তি নিকেতন থেকে লালনের নির্ভরযোগ্য যে গানের খাতাটি উদ্ধার করেন সেখানে লেখা ছিল, "শ্রী লালনশাহ দরবেসের তালেব শ্রী ভোলাই শা ফকির এই বহির মালিক [12]।" আবার ভিন্ন তথ্যসূত্রে তার জন্ম হিন্দু পরিবারে বলে উল্লেখ করা হয় [13]। ১৩৩৩ সালে রংপুরের মাওলানা রেয়াজউদ্দীন আহমদের লেখা বইটির দ্বিতীয় খণ্ড বের হয়। তিনি সেখানে মত দেন ,"লালন সাহার ধর্মের কোনো ঠিক ছিল না। তিনি কেবল মুসলমানের হস্তে অন্নব্যঞ্জনাদই ভোজন করিয়াছিলেন বলিয়াই হিন্দু সমাজ তাঁহাকে সমাজচ্যূত করিয়াছিলেন। তিনি মোছলমানের অন্নভোজন ব্যতীত এছলাম গ্রহণ করেন নাই বা মোছলমান বলিয়া নিজেকে স্বীকার করেন নাই বা এছলামের আকিদা, বিশ্বাস ও নামাজ রোজা প্রভৃতির কোনো আচার-ব্যবহার কিছুই তাঁহার মধ্যে বর্তমান ছিল না, যা দ্বারা তাহাকে মোছলমান বলা যাইতে পারে। তিনি যত বড় মুনি ঋষি উদাসীন হউন না কেন, মোছলমানের তিনি কেহই নহেন [14]।"
অবশ্য এইসব নিয়ে গবেষনার অন্ত নাই॥ জীবদ্দশায় লালন ফকিরের সাথে সমাজের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির আলাপ-পরিচয় ছিল॥ 'সমাজ সংস্কারক, ধর্ম সংস্কারক ছাড়াও সেই সময়কার জমিদার দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথেও তার সম্পর্ক ছিল [15]॥' রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে লালনের নাম জড়িয়ে অনেক কল্প-কাহিনী রচনা করেছেন বিভিন্ন গবেষক। রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে লালন অনেক কিছু গ্রহণ করেছেন। "বরং লালনের মৃত্যুর পর তার সমাধি তৈরি করার জন্য কোনো জমিদারই সাহায্য করেনি। পরবর্তীতে আখড়ার অনেক খাজনা বাকি পরে গেলে জমিদারগণ ১৯৪৫ সালের ১১ই ডিসেম্বর খাজনার জন্য লালনের আখড়াটি নিলামে তোলেন। লালনের শিষ্যরা ১ শত ৭ টাকা ৪ আনা দিয়ে নিলামে সম্পত্তি কিনে আখড়ার অস্তিত্ব রক্ষা করেন [16]।" তবে বাউল মানেই মনে করা হয় গাজাখোর॥ যা প্রমাণের জন্য বর্তমানে দেশের যেকোনো বাউলের আখড়ায় যাওয়াই যথেষ্ট। তবে ইতিহাস বলে, "লালন শাহের শিষ্য উজল শাহের গাঁজা সেবন করার বদ অভ্যাস থাকার কারণে লালন শাহ তাকে আখড়াবাড়ি হতে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন [17]। লালন শিষ্যদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী শিষ্য দুদ্দু শাহ গাঁজা সেবনকে অত্যন্ত গর্হিত কাজ মনে করতেন। তাইতো তিনি বলেছেন,যেও না শুকনো বৈরাগীর দলে, গাঁজা খেয়ে মালা টিপে ফেলাবে গোলে। তবে বাউল গন বিভিন্ন সময়ে হিন্দু এবং মুসলমানদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বিশ শতকের গোড়ায় যে ‘বাউল ধ্বংস আন্দোলন’ হয় তাতে অন্যতম অভিযোগ ছিল বাউলরা ধর্মের নামে অবাধ যৌনলীলা ও নানা বিধ অশ্লীল আচার আচরন করে। যৌন ব্যাপারে বাউলদের কোন পাপবোধ ছিল না। এই যৌন স্বাধীনতার কারণেই অনেক তরুণ ও যুবক সেই সময় বাউল হতে আকৃষ্ট হয়। ১৯৮৬ সালে কুষ্টিয়ার লালন একাডেমির সভাপতি থাকাকালীন একজন প্রফেসর লালন সমাধিসৌধে বিভিন্ন সময় মিলাদ, কোরান পাঠ ইত্যাদি ইসলামিক কার্যক্রম চালান। এর প্রতিবাদে লালন শাহের অনুসারী বাউলগণ ক্ষুব্ধ হয়ে ফকির আনোয়ার হোসেন মন্টু শাহের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের বরাবরে প্রফেসর সাহেবের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদলিপি দাখিল করেন। যার ভাষ্য ছিল এমন, "আমরা বাউল। আমাদের ধর্ম আলাদা। আমরা না মুসলমান না হিন্দু। আমাদের নবী সাঁইজি লালন শাহ। কিন্তু উক্ত অধ্যাপক আমাদের এই তীর্থ ভূমিতে ঢুকে কোরআন তেলোয়াত করেন,ইসলামের কথা বলেন - এসবই আমাদের তীর্থ ভূমিতে আপত্তিকর [18]।" আমরা আলাদা একটি জাতি, "আমাদের কালেমাও আলাদা – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লালন রাসুলুল্লাহ [19]।" হিন্দুবাদ ও সুফিবাদের মিশ্রণ বাউল দর্শনের মূল কথা হলো মানবতা৷
বাউলদের কাছে সংসার এবং সমাজ উভয়টাই পরিত্যাজ্য। জীবনের জৈবিক প্রয়োজনে তারা সাধন সঙ্গী সন্ধান করে; আর মানুষের দেয়া ভিক্ষার ওপর নির্ভর করে তাদের জীবিকা। পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রীর মতে— "তাহারা মুক্ত পুরুষ, তাই সমাজের কোনো বাঁধন মানেন নাই। তবে সমাজ তাহাদের ছাড়িয়ে কেন? তখন তাঁহারা বলিয়াছেন—আমরা পাগল, আমাদের ছাড়িয়া দাও, পাগলের তো কোনো দায়িত্ব নাই।" আসলেই তারা পাগলামু উন্মাদনায় মেতে থাকে॥ বাউলদের আছে হাজার হাজার গান।
বাউলদের গান বুঝতে হলে আগে তাদের পরিভাষা বুঝতে হবে, অদ্ভুত তাদের শব্দ চয়ন। "যেমন- অমাবস্যা মানে নারীর ঋতুকাল, বাঁকানদী মানে স্ত্রী যোনী, কুমীর মানে কাম, লতা মানে সন্তান, চন্দ্রসাধন মানে মল মূত্র পান [20]।"
তবে একটা প্রশ্ন থেকে যায়,বাউলদের বিকৃত জীবন আর ‘ভাবের গান’ আমাদের সমাজ সংসারে কোন কাজে লাগবে???
.
তথ্যসুত্র
.
[1] লালন শাহঃ বিবেচনা-পূর্নবিবেচনা মুনশী আব্দুল মাননান বাংলা সাহিত্য ও লালন শাহ, পৃষ্ঠা ১১ , ২০০৫।
.
[2] হারামনি; অধ্যাপক মনসুর উদ্দিন, সপ্তম খন্ড, পৃ-৮।
.
[3] শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, প্রথম ভাগ, অষ্টম অধ্যায়, অচ্যুতচরণ ; ২০০৪।
.
[4] বাংলাদেশের লোকসাহিত্য ও লোক ঐতিহ্য, ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী, পৃষ্ঠা ৩৪,২০০৫।
.
[5] সংসদ বাংলা অভিধান, পৃ ৪১৫,নভেম্বর ২০০৫,কলকাতা।
.
[6] বাংলাদেশের বাউল সমাজ, ড. আনোয়ারুল করিম, পৃষ্ঠা ১৩৩-১৪৫॥
.
[7] বাউলতত্ত্ব, ড. আহমদ শরীফ, পৃঃ ৫৩-৫৪।
.
[8] বস্তুবাদী বাউল, শক্তিনাথ ঝা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ॥
.
[9] দেশ পত্রিকা , বাউল বিষয়ে প্রচ্ছদ রচনা, ৪ঠা মাঘ ১৩৯৮॥
.
[10] বাংলাদেশের বাউল সমাজ, আনোয়ারুল করিম; পৃ ১৪-১৮ ;৩৫০- ৩৮২॥
.
[11] বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস, আববাস আলী খান,পৃ ৬৬।
.
[12] ফকির লালন সাঁই: দেশ কাল শিল্প। সংবাদ, শক্তিনাথ ঝা, কলকাতা ১৯৯৫।
.
[13] Bangladesh By Mikey Leung, Belinda Meggitt.
.
[14] বাঙলায় বাউল বিরোধী আন্দোলন : প্রেক্ষিত লালন শাহ, আবুল আহসান চৌধুরী॥
.
[15] লালন শাহের মরমী দর্শন; মো. সোলায়মান আলী সরকার,পৃ ৬, ১৯৯৩।
.
[16] হারামনি, শক্তিনাথ ঝা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৬৪-৬৫।
.
[17] দুদ্দু সা’র পদাবলি; শক্তিনাথ ঝা, ৬৬ -১০৩ পদ।
.
[18] লালন শাহ জীবন ও গান; এস এম লুৎফর রহমান; পৃ-১০৭-১০৮।
.
[19] ব্রাত্য লোকায়ত লালন, ২য় সংস্করণ, সুধীর চক্রবর্তী, ১৯৯৮ পৃঃ ৪-৯৫॥
.
[20] গভীর নির্জন পথে, সুধীর চক্রবর্তী, প্রথম সংস্করণ, পৃষ্ঠা: ১৪।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০