একদল নারী স্কিনটাইট বোরকা পরিধান করেন, পুরো দেহের আকৃতি বুঝিয়ে, চোখে আইলাইনার, ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক, মুখে ভারী মেকআপ করে চিপা পায়জামা পরিধান করে মাথায় স্কার্ফ বাধেন। পর্দাও হল, আবার যৌনাবেদনও প্রকাশ পেল। মৌজমাস্তিও করবেন আবার স্বপ্নে জান্নাত ও দেখবেন। অন্যদিকে একদল পুরুষ মাজারে গিয়ে ভরপুর গাঞ্জা খান, পিনিকে উপুত হইয়া ইয়া বড় ডেগের মধ্যে বিরানি চড়ান। তারপর বাবার নামে জিকির করে পাতিলা ঘুরান। তারপর সেই বিরানি খেয়ে আবার গাঞ্জা খান।
নেশার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।। পূর্ণিমার চাঁদ যেন কলকির গাঁজা॥ তারা যে কত রকমের জিকির করেন তার হিসাব নাই॥
যেমন - "শোন মুমিন মুসলমানো, যত পার গাঞ্জা টানো - আখেরাতে সবই পাইবা গাঞ্জা পাইবা না।"
.
" অতঃপর জিকির করেন..... "মনের আলো বড় আলো বাইরের আলো নিভাওরে।" আলো না নিভাইলে আকাম কুকাম হইবে কেমনে। আবার তারা জান্নাত ও লাভ করতে চান। দুনিয়াতেও মজা, আখিরাতেও মজা। এই দুইটা দলের মধ্যেই দারুন মিল। এরা সবাই পিনিকবাজ পাব্লিক। এ প্রজাতির পুরুষেরা কলকি দিয়া ওপেন গাঞ্জা টাইনা "ইল বাবা মতিঝিল, পাঁচশ টেকার বান্ডিল" রব তুলেন। আর মহিলারা হয়তো বাসা হতে বেরুবার আগে বাথরুমে বসে গাঞ্জা টেনে ভরপুর পিনিক নিয়ে রাস্তায় বের হন। এই দুই ধরণের মানুষই সমাজের জন্য ক্ষতিকর॥
রাজশাহীর বাঘার মেলায় এক অল্প বয়সী ছেলেকে প্রশ্ন করেছিলাম - 'গাজা কেন খাও?' উত্তরে সে বলেছিল,
মানুষ মরে গেলে পচেঁ যায় আর বেচেঁ থাকলে গাঞ্জা খায়। সকালে খায়, বিকালে খায়। পারলে সারাক্ষণ খায়।
.
এই দুনিয়ায় কে কোন ধান্ধা নিয়ে যে জান্নাতে যাওয়ার চিন্তা করছে তা বোঝা মুশকিল।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮