কলেজে পড়ার সময়ে, আমারই একজন সহপাঠক বন্ধুকে বেশ ভালো লাগতো। ভালো লাগা থেকেই ভালোবাসা। কোন সময়ই সে আমায় তার অনুভূতির ব্যাপারে কিছু না বললেও আমরা দুজনেই একজন আরেকজনকে ভালোবাসতাম। তারপর, সময়ের সাথে বেশ দূরত্ব বাড়ে একজনের কাছ থেকে আরেকজনের। এখন আমি বিবাহিতা। এক সন্তানের মা। বেশ সুখেই আছি। কিন্তু মাসখানেক আগে খবর পেলাম ও বিদেশ থেকে এখন ঢাকাতে এসেছে বিয়ের জন্য। দেখা করলাম। পুরোনো সেই ভালো লাগাগুলো আবারও সামনে এসে দাড়ালো। আবেগ তখন অনেক বেশি অবাধ্য। বর্তমানে আমাদের পারস্পরিক দেখাশোনাগুলো প্রতিসময়ই সীমার বাইরে চলে যায়। মাঝে মাঝে মনে হয়, স্বামীর প্রতি অন্যায় করছি। দেখা করবো না ভেবেও, প্রতিবারই প্রায় একই ঘটনায় দেখা শেষ হয়।
আগামী সপ্তাহে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে। জানি ও আমার না, তারপরেও কেন যেন ওর পাশে কাউকেই মেনে নিতে পারছি না। এদিকে, বর্তমান সাংসারিক কর্তব্যকেও অস্বীকার করার জো নেই। বুঝতে পারছি না, কি করবো?
ঢাকা থেকে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ:
দেখুন, ভুলে গেলে চলবে না, আপনার অবস্থান এখন একজন প্রেমিকার পাশাপাশি একজন স্ত্রী ও সর্বোপরি একজন মায়ের। অন্ধ ভালো লাগা ব্যাপার তো থাকবেই, তবে বাস্তবতাকে অস্বীকার করাটাও হয়ত বুদ্ধমানের কাজ হবে না। আগে ভেবে নিন, আপনি কি চান। তারপরে, ভেবেচিন্তে কোন সিদ্ধান্তে আসুন। আইনের ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে ভাবুন।
দুঃখু স্পেশাল পরামর্শ:
পয়লা আপনে আপনার দোস্তরে তার স্টুডেন্ট লাইফে হেভি খসাইছেন। পরে, পল্টি মাইর্যা আরেকজনের ঘাড়ে। বাচ্চা পয়দা কইর্যা ফালাইছেন। ইমপ্রেশনের খাতিরে লম্ফ ঝম্প করার আর সুযোগ নাই দেইখ্যা পুরাই বাঁটে। মাঝখান থাইক্যা কুটিকালের (পয়সাওলা হইয়্যা) রোমিও আইস্যা হাজির। কোন বেটায় কি পুরানকালের ছ্যাঁকা সহজে আর ভুলে? সুদে আসলে আদায়ও কইর্যা নিল। সে এখন পুরা পাংখা। মাঝখান দিয়া স্বামী বলদটা খাইলো ধরা। আপনের এখন সুইসাইড খাওয়া উচিত, যদি দুনিয়ার ভার কিছুটা হইলেও কমে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬