ছবির দৃশ্যটি অনেকের কাছে পরিচিত মনে হতে পারে। ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গলা ধরে তারই সহকর্মী ঝাপটে ধরে রেখেছে।
আরেকজন ওই কর্মীকে প্রকাশ্যে রাম দা’ দিয়ে কুপাচ্ছে।
২০১০ সালের ৪ মে এ ঘটনা ঘটে বরিশাল পলিটেকনিকে।
তখন এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়েছিল।
বরিশাল পলিটেকনিক কলেজে ছাত্রলীগের সেই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ ছাত্র গুরুতর আহত হন। থানায় মামলাও হয়। কিন্তু কোন স্বাক্ষী আসামিদের বিপক্ষে মুখ না খোলায় মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর সব আসামিকে খালাস দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট বেগম নুসরাত জাহান।
খালাস পাওয়া ছাত্রলীগের ২৩ নেতাকর্মীর মধ্যে অন্যমত বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক। এছাড়া খালাস প্রাপ্তদের মধ্যে প্রকাশিত ছবিতে রাম দা’ হাতে ধরা ছাত্রলীগ কর্মী ইমরানও রয়েছেন।
এছাড়াও রয়েছেন- সাইদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, শেখর দাস, আলামিন, মেহেদি হাসান, মোশারফ মোল্লা, আবু সায়েম সরদার, মো. ইউনুচ, মাকনুদুর রহমান, সজিব, এস এম রাজিবুল ইসলাম, আ খ ম রাজিব হোসেন, রেজাইল করিম রেজা, কামরুজ্জামান জুয়েল, অনুপ কুমার রায়, মহিউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম হিমেল, মহিউদ্দিন মুহিন, আ. হান্নান, মো. ইমরান।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত আসামিদের খালাস দেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ মে সকালে বরিশাল পলিটেকনিক কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসামিরা রামদা, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মী নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘণ্টাব্যাপি সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক ছাত্র আহত হয়।
কলেজ অধ্যক্ষ বাদি হয়ে পরদিন ৫ই মে মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ১৬ই মে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোসলেম হালদার চার্জশিট দেন। ৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সকল আসামিকে খালাস প্রদান করে।
Mehedi Hasan
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৫