চাঁদা দাবি ও জমি দখলের অভিযোগে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
পুরাতন সাতক্ষীরার সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এই মামলা করেন। বিচারক মহিবুল হাসান মামলাটি গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান, পুরাতন সাতক্ষীরার মো. হারুন, আইয়ুব আলী, নওশের আলী, মো. সাগর ও মো. ইব্রাহিম এবং ইটাগাছার আবদুর রশিদ ও আলমগীর হোসেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, সিরাজুল ইসলামের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তিন বিঘা জমি নিয়ে প্রতিবেশী নওশের আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সিরাজুল ইসলাম সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থেকে ওই জমিতে না যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন। সর্বশেষ ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে আসামিরা বাদী সিরাজুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে বলেন, এ জমি ভোগদখল করতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। তারই জের ধরে ২৭ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সায়ীদের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই জমি দখল করতে যান। এ সময় আগে যে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন, তা চান। এ সময় মামলার বাদী প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়। এ সময় বাড়িতে অন্য পুরুষ সদস্য না থাকায় বাধা দিতে গেলে সায়ীদ ও তাঁর লোকজন বাদীর মা রাবেয়া বেগম (৭০), বোন পুটি (৩৫), ভাবি মোমেনা বেগম (৪৫) ও স্ত্রী ফরিদাকে (৩০) মারধর করেন। পরে আসামিরা আবার সকাল ১০টার দিকে এসে বলেন, ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় তাঁদের ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেবেন। পরে তাঁর ঘরে আগুন দেওয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৪