
সেদিন বেশ সুন্দর একটা উপহার পেলাম, বালিঘড়ি। আমি আমার কাজের ডেস্ক-এ রাজ্যের টুকটাক জিনিস সাজিয়ে রাখি, তাই, এই বালিঘড়িও রেখেছিলাম ডেস্কের উপর। তবে, মানুষের জীবন যেমন সময়ে বেঁধে দেয়া, এই বালিঘড়িরও সময় বেঁধে দেয়া আছে, ৩ মিনিট। ব্যাটার হাবভাব দেখে মনে হয়, পৃথিবীতে এটাই একমাত্র ঘড়ি, যে বেশ আয়েস করে সময় বলার কাজটা করে। এবং, খুবই বুদ্ধিমানের (অথবা বুদ্ধিমতির) মত ঠিকই মাধ্যাকর্ষণ-কে কাজে লাগিয়ে সময়টা বলে দেয়। বালিঘড়ি ঠিক কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সময় দেয়, মাঝে মাঝে আটকে যায় কিনা, সব গবেষণা শেষ হবার পর, হঠাৎই চিন্তা করলাম, আরে(!), বালিঘড়ি তো আমরা সারা জীবনই ব্যবহার করে যাচ্ছি, নিজেদেরই অজান্তে!
যখনই দেখি কোনও শুন্যতা, সাথে সাথে সেটা পুরন করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যাই।

যেকোনওভাবেই হোক বালিঘড়ির অন্যপাশটা ভরতে হবেই। না হলে যে হবে না! কারন, ওই পাশেই তো আমার জীবনের সব কিছু। হুম, তাই কিন্তু হয়, তাই না? আবার যখন দেখি অন্যপাশে শূন্যতা, আবার তৈরী হই। আবার যে অন্যপাশটা খালি মনে হছে।অন্যপাশটাও ভরতে হবে তো বাবা। নাহলে মানুষেরা কি বলবে? ইস্স্, ইজ্জতটাই বুঝি যাবে এবার।

তাই কি হয় না? স্কুলে পড়লে ভালো লাগে কলেজের ভাইয়াদের কাজ কর্ম। উফ্ফ্, কবে যে কলেজে উঠবো! কলেজে পড়লে ভাল লাগে ভার্সিটি। ভার্সিটিতে থাকতে তো ভাল চাকুরে ছাড়া কথা বলতেই রুচিতে বাঁধে। আর চাকর হওয়ার পর, কবে যে এক অপ্সরী বিয়ে করবো, সেই ধান্দা।
জীবন এভাবেই চলে যায়, সামনের না পাওয়ার শূন্যতার কথা চিন্তা করতে করতে, আর আফসোস্ করতে করতে। যেন, অভিযোগের কোন শেষ নেই।
আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে, আমার এই লেখাতেও অনেক ভেজাল আছে, সামনে একটু সময় পেলেই ঠিক করে ফেলব। তারপর, লেখাটা দিব সামুতে, আবার বালি ঘড়ি উল্টে যাবে। আবার শুরু হবে কমেন্টের খেলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৩