ড.রেজা খান বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে চলা একটি নক্ষত্র। বহুগুণে গুণান্বিত এই নিভৃতচারী মানুষটি নিয়ে লেখা অতি দুরূহ তারপরও কিছু ব্যর্থ চেষ্টা করব আজকের লেখাতে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সারা পৃথিবীতে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক দুবাই চিড়িয়াখানায় কাজ করেছেন ২৭ বছর ধরে। এখন ওয়াইল্ডলাইফ এক্সপার্ট হিসেবে দুবাই সাফারিতে কর্মরত। বাংলাদেশ এবং দুবাই এর বন্যপ্রাণী ও পরিবেশের উপর ২৪ টি বই এবং ৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে বিদেশে অসংখ্য সম্মানে এবং পদকে ভূষিত হয়েছেন।
মরুর বুকে বইয়ের ফেরিওয়ালা খ্যাত "আরবার্ন রিডার্স" আয়োজন করে ড.রেজা খান এবং তাঁর সহধর্মিনীর রচিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে "আরবার্ন রিডার্স" এর পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় আজীবন সম্মামনা স্মারক। স্যারের এবারের বইটি বাংলা ভাষায় রচিত বাংলাদেশের পাখিদের সচিত্র বর্ণনা। স্যার নিজেও অনেক পাখির বাংলা নাম দিয়েছেন।
স্যারের বিনয়ী এবং কোমল স্বভাব সবাইকে মুগ্ধ করে এবং সেইসাথে কথা বলার অসাধারণ ক্ষমতা। স্যারের শৈশব স্মৃতি সবার সাথে ভাগাভাগি করার লোভ সামলাতে পারছি না। পুকুরে ঝাপাঝাপি, পানিতে ডুব-সাতার , গলা পানিতে ডুবে - ডুবে শাপলা ফুল তোলা। জাম্বুরার বল নিয়ে খেলা, খালে বিলে ভেলা ভাসানো , ঝিনুক দেয়ালে ঘসে আম কাটার ছুরি বানানো আর ঘুড়ি ওড়ানো ছিল তার কাছে অনেক প্রিয়। গ্রামবাংলার মাটিতে বেড়ে ওঠা বলে হৃদয়টাও যেন কাদামাটির মতোই কোমল ।
কর্মব্যস্ত, সদাচঞ্চল বনে-জঙ্গলেই কাটে তাঁর বেশিরভাগ সময়। পাখি দেখা, বনজ উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করতে করতেই সময় যায়। তিনি আরব আমিরাতের উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়ে কয়েকটি গ্রন্থ লিখেছেন ইনডিজেনাস ট্রিজ অব ইউএই, ওয়াইল্ড ক্যাটস অব ইউএই ইত্যাদি।
বয়সে প্রবীন কিন্তু চিন্তায়, কর্মে, সৃজনে চিরতরুণ সর্বজন শ্রদ্ধেয় নওশের আঙ্কেল এর উপস্থাপনায় আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর কনস্যাল জেনারেল এস বদিউজ্জামান, গন্যমান্য অতিথি বৃন্দ, সফল নারী উদ্যোক্তা ও সাহিত্য অনুরাগী গুলশান আরা সহ The Urban Readers এর সদস্যবৃন্দ।