আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা মাইকেল মুরের সময়ে বেঁচে আছি এবং তার সৃষ্টিকে এবং সেই সৃষ্টি যে ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে তৈরী সেই সময়ের স্বাক্ষী। ডকুমেন্টারী মানে যে বোরিং কোন দৃশ্যায়ন না, ডকুমেন্টারী যে সিনেমা হলে বাঁধভাঙ্গা দর্শকের ঢল নামাতে পারে, ডকুমেন্টারী তৈরী করে সমাজের অসঙ্গতির কথা তীব্রতার সাথে বলা যেতে পারে তার প্রমাণ মাইকেল মুরের ফারেনহাইট ৯/১১, বোলিং ফর কলাম্বাইনের মতো কাজগুলো।
ফারেনহাইট ৯/১১ দর্শকদেরকে হলিউডের ব্লকবাস্টার মারদাঙ্গা ছবির চাইতেও তীব্রভাবে স্ক্রীনে টেনে রাখার শক্তি নিয়ে হাজির হয়েছিলো। এবার মাইকেল মুর হাজির হয়েছেন তার নতুন ডকুমুভি নিয়ে, সিকো যার নাম। ইতিমধ্যেই দারুন আলোড়ন তুলেছে আমেরিকায় সিনেমাটি। মুরের পলিটিক্যাল এক্টিভিজমের হয়তো সেরা সাফল্য হতে যাচ্ছে এটা।
আমেরিকার স্বাস্থ্যসেবার যাচ্ছেতাই করুন অবস্থা একেবারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে এবং হেলথ ইনসুরেন্স ঘিরে রাজনৈতিক ও টাকার নোংরামী ইত্যাদি নানান বিষয় তুলে আনা হয়েছে ডকুমেন্টারীটিতে। রিভিউয়াররা ইতিমধ্যেই সিকোকে মাইকেল মুরের এ যাবতকালের সেরা সৃষ্টি বলতে আরম্ভ করেছে। যথারীতি এই সিরিয়াস বিষয়ের ডকুমেন্টারীতেও থাকছে মুরের এগ্রেসিভ ব্যাঙ্গাত্বক স্টাইল।
ডকুটা দেখার জন্য অপেক্ষায় আছি। মাইকেল মুরের স্মার্ট হিউমারের তুলনা নেই। অনলাইনে পুরো মুভিটা পাওয়া গেলে আওয়াজ দিয়েন।
. অফিসিয়াল ট্রেইলার
. সিকো নিয়ে মুরের লাইভ সাক্ষাতকার
. অফিসিয়াল সাইট
. রোড শো ভিডিও
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৮