প্রিয়, কতটুকু আগুনে হৃদয় দগ্ধ হয়?
তারপর পর আর পোড়ে না হৃদয়।
তোমরা কি ভালবেসেছ কেউ?
কিংবা ভালোবেসে হারিয়েছ কিছু?
আমি দেখ হৃৎপিন্ডে জ্বালিয়েছি
এক জ্বলন্ত সূর্যের হৃদয়
হৃদয় পোড়ে কি পোড়ে না,
এখন এই ভাল লাগে।
ব্যাধের ঘৃনিত শরে হরিনীর হৃৎপিন্ড বিদ্ধ হলে
রক্তের প্রপাত অথবা
তার মৃত চোখে জীবনের প্রেম দেখেছ?
সেই নদী কোন জোয়ারেই কাঁপে না এখন
একদা যার সাথে
গাঁয়ের শ্যামলী মেয়ে জল নিতে এসে
করেছিল হৃদয়ের লেনদেন
কত যুগ সে-ও কাঁদে না।
এখন যেখানে দূর্বা বনকচু কচুরির ঘর
জললিপি পাখিদের খোঁজ
কিংবা ডাহুকের ডিম।
সেখানে হৃদয় ছিল, নদীর হৃদয়
সেইখানে প্রেম ছিল মানব মানবীর,
যার জল ছুঁয়ে কবে যুবক যুবতীরা কথা বলেছিল
স্বচ্ছ জলে মুখ দেখে হেসেছিল পরস্পর।
কত ধবল জ্যোৎস্নার রাতে
হরিণার নিলয় খুঁজে হরিণীর দল
এখানে এসে দাঁড়াতো প্রেমে
এর নাম কি?
কেউ যদি ভালবেসে ডাকে
স্মিত হাস্যে, চোখে বিশাল আহবানে
কিংবা মমতার স্বরে
উচ্ছ্বসিত সরল আবেগে
তার নাম কি?
আমি যারে ভালোবেসেছি
যদিও মাঝখানে হলো না মিলন
কেবল বেদনার উপাখ্যান ছাড়া,
তবুও আমার কাছে এইসব আশ্চর্য অনুভব
যেন ফোটায় রক্তিম শিমুল,
হৃৎপিন্ডে জ্বেলে রাখি সূর্যের হৃদয়
আমার এখন এই ভালো লাগে,
এখন আর আগুনে দগ্ধ হয় না হৃদয়।