“হে ঈশ্বর! তাকে সৃষ্টি করা উচিত হয়নি তোমার, কেননা কেউ তাকে সবচেয়ে ভালবাসে”
আপনি তো তাকে খুব ভালবাসেন। তাহলে এত সহজে, এত স্বেচ্ছায় তাকে অন্য নারীকে ভাগ দিয়ে দেন কেন? অর্থাৎ আপনার স্বামী একসঙ্গে অনেকগুলো বিয়ে করলে মেনে নেন কেন? কে দোষী পুরুষ না অন্য নারী?
মিথ্যে কথা বলবেন না, নিজের হৃদয়ের কাছে প্রশ্ন করে উত্তর দিন, নিজের প্রেমিক বা স্বামীকে অন্য কোন নারীর সাথে বা একাধিক নারীর সাথে দেখতে চান কিনা, ভাগ দিতে চান কিনা, ভাগ দিলে আপনার অন্তর পোড়ে কিনা, সেই অন্তর পোড়া জ্বালা ধর্ম এসে উপশম করে দিতে পারে কিনা?
ভাগ দিলে যদি কষ্ট না হয় তাহলে সালমা আকতার তার স্বামী অন্য যায়গায় বিয়ে করবে শুনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলো কেন? রুবিনা পারভীন তার তার প্রেমিককে অন্য মেয়ের সাথে বসতে দেখে গলায় ওড়না পেঁচালো কেন?
যদি আপনার অন্তর না পোড়ে তাহলে আপনি হয় দেবী নতুবা ডাইনী।
তাহলে ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্য নারীকে নিয়ে যখন আপনার স্বামীর সাথে একসঙ্গে ঘর করেন, সেটা কি আপনার মনের বিরুদ্ধে নয়? বাধ্য হয়ে নয়? তখন কোথায় থাকে আপনার হৃদয়ের অব্যক্ত ক্রন্দন, নিরব ক্ষরণ, নিদারুন যন্ত্রণা?
তাহলে ধর্মের সাথে আপনার মনের এখানে কি কোন সংঘর্ষ আছে??
ধর্ম - আধ্যাতিকতা, সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত জীবন বিধান।
অধর্ম - সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত জীবন বিধানের অবমাননা।
সুধর্ম - হৃদয় বা ভালবাসার নিজস্ব একটি সুনিদিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেটাই সুধর্ম।
পুরুষ জাতি এখানে কথা বলবে না কারণ এটা নিয়ে যদি আপনারা প্রতিবাদ করেন তো তাদের মুখোশ খুলে যাবে, তারা একসাথে অধিক নারীভোগ হতে বঞ্চিত হতে চাইবে না, ছি! ছি! পুরুষ, তুমি একটা কাপুরুষ। তুমি একসঙ্গে অনেকগুলো বিয়ে করো!!
“অন্য নারীকে ভাগ” এখানে অন্য নারীকে কিন্তু দোষী করছি না, দোষী করছি সেই পুরুষকে যারা ধর্মের কথা বলে অন্য নারী বা আপনাকে দুজনকেই ভোগ করতে চায়, তাই অন্য নারী বা আপনাকে, দুজনকেই আমার প্রশ্ন।