দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দেশের একটি হলো পাকিস্তান। গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সম্পর্কন্নোয়নের ফলে পাকিস্তান রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদারে সক্রিয় হয়েছে। এরমধ্যেই চীন ও পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে সিপিইসি সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য রাশিয়ার এই সমর্থনকে পাকিস্তানের উষ্ণ সমুদ্র বন্দরের সুবিধা পেতে কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।অন্যদিকে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী তিন দেশের বোঝাপড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
কয়েক দশকের বৈরীভাব কাটিয়ে ধীরে ধীরে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন পাকিস্তান এবং বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্নায়ু যুদ্ধের পর এই প্রথম বার খুব সতর্কভাবে পাকিস্তানকে কাছে টানতে চাইছে রাশিয়া। অন্যান্য বিষয় ছাড়াও বিশেষ করে আফগানিস্তানে তালেবানদের সাথে যুদ্ধ অবসানে ইসলামাবাদকে প্রভাবিত করতে মস্কোর এ প্রয়াস, কেন না সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি গোটা মধ্যো এশিয়ার জন্য বড় ধরনের হুমকি। বহু দিন ধরে ভারত, আফগানিস্তান এবং ইরান অভিযোগ করে আসছেন পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে তালেবানসহ বিভিন্ন চরমপন্থীরা আস্তানা গাড়লেও তাদের দমনে পাকিস্তান তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোও পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করে যাচ্ছে। তবে শুধু চীন অব্যাহতভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানকে। তার সাথে হয়তো খুব শিগগির রাশিয়াকে আরেকটি মিত্র হিসেবে পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৭