সেন্ট মার্টিন আর বঙ্গোপসাগর দিয়ে দিলে নাকি উনি ক্ষমাতায় টিকে থাকতেন।
তো হয় আপনি দিয়ে দিতেন, (ভারতকে আপনি কি দিয়েছেন, যা ভারত আজীবন মনে রাখবে- সেটা তো আপনিই জানেন।) না হয় ক্ষমতা থেকে চলে যেতেন। ক্ষমতায় কেনো আপনাকেই টিকে থাকতেই হবে? ১৫ টা বছর ছলে বলে কৌশলে থেকেও ক্ষমতার লোভ মেটে না! আপনি জনগরে কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে চলে যেতেন। বলতেন এসব জনগনের সম্পদ, আমি এসব আম্রিকাকে দিতে পারবো না, আমি ছেড়ে দিলাম। তখন তো জনগনই আপনাকে মাথায় করে রাখতো। জোর করে কেনো এই ক্ষমতা ধরে রাখতে এতো গুলো তরুনের বুক ঝাজরা করলেন? এসব বুলি মানুষ এখন আর খায় না।
এই বিগত নির্বাচণের আগেও তিনি এমন কথা বলেছেন, আম্রিকাকে সেইন্ট মার্টিন দিব না বলে আম্রিকা তাকে ক্ষমতায় রাখবে না, তিনিই ঘোষনা দিলেন ১৬ ঘন্টা জার্নি করে আম্রিকা যাবার দরকার নেই। পরে সেই তিনিই আবার নির্বাচনে (অবশ্য সাজানো নির্বাচন) জয়ী হলেন, সেইন্ট মার্টিন ছাড়াই নাকি বিসর্জন দিয়ে সেটা তো বোঝা গেলো না। উনি নিজেই এক সময় বলেছেন ভারতকে যা দিয়েছি, তা তারা আজীবন মনে রাখবে। কি সে জিনিস , জাতি আজো জানে না।
লক্ষ লক্ষ ভারতীয় আজ বাংলাদেশে চাকরী করছে, যেখানে আমদের দেশের বেকার যুবকরা চাকরী পাচ্ছে না। বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যবহার করছে ভারত। আমাদের দেশের পেটের ভিতর দিয়ে তাদের ট্রেন যাতায়াতের বন্দোবস্তো প্রায় চুড়ান্তই ছিলো। সর্বোপরি আমাদের দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব গনতন্ত্র সব কিছুই ভারতের অশুভ ছায়ার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছিলো। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলোন না হলে এই গোলামীর জিঞ্জির আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বহন করতে হতো।
প্রতিটা সেক্টর দূর্নীতি আর দুঃশাষনে ভরে রেখে গেছেন তিনি। বড়াই করে বলেছেন তার পিওন ৪শত কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না - আহা ! কি উন্নয়ন! কি গর্ব! আমাদের জনগনের সর্বশেষ আস্থার স্থল সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত তিনি বিতর্কিত করে গেছেন। একটিও সুষ্ঠ নির্বাচন তিনি অনুষ্ঠিত করতে পারেন নাই। সাবেক সচিব থেকে শুরু করে ডিসি, এসপি, ওসি হ্যান অফিসার নাই যাকে তিনি নির্বাচন কুক্ষিগত করার কাজে লাগান নাই। যেই পথের কাঁটা হয়েছে, সেই গুম হয়ে গেছে। ভয়ে মানুষ মুখ খলুতে সাহস করেনি এতোদিন।
আজীজ, বেনজির , মতিউর , তাশকিন এর মত হাজার হাজার দূর্নীতিবাজকে তিনি আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন শুধু নিজের ক্ষমতা প্রলম্বিত করার জন্য। বিরোধী দলীয় মত পথকে তিনি আয়না ঘরে বন্দী করে রেখেছেন বছরের পর বছর। জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আর্টিসান হত্যা কান্ড ঘটিয়েছেন, থাবা বাবা সহ অন্যান্য ব্লগার হত্যার মাধ্যমে শত শত নিরীহ তরুণকে তিনি গুম করেছেন। ইলিয়াস আলী, সাগর রুনী, ৫৭ জন আর্মি অফিসার, শাপলা চত্বরে আলেম উলামা সহ শত শত মানুষের মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী তার স্বৈরাচারি মনোভাব।
এতো কিছুর পরেও উনি বলেন সেইন্ট মার্টিন আর বঙ্গোপসাগর দিলে উনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতেন। যদি আরো কিছু বিসর্জন দিতে হয়, এই দেশের মানুষ তাও দেবে, তবু আপনার মতো শাষককে আর কোনদিন চাইবে না। আল্লাহর ওয়াস্তে আর আমাদেরকে দেশের সাধারণ মানুষকে আর জ্বালাবেন না। এখনো ঐ দেশে বসে ভাবছেন কিভাবে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসা যায়।
এতো এতো নিরস্ত্র মাসুম বাচ্চাদের রক্তও যখন কাওকে ক্ষমতার মোহ থেকে নিবিৃত্ত করতে পারে না, সে কি মানুষের পর্যায়ে পড়ে!