somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাল সালুর মজিদের পাদাবলী-৩ (মুবাইল ফুনে বলগের লাদি)

২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসে যাইতাছিলাম গনজে কারন আখড়ার গানজা শেষ কয়দিন ধইরা। আগে তাও ভালমনদ দুই একজন তশরীফ আনত, বাকসেও দান খয়রাত কিছু করত। তো সৈয়দের বেডায় যেয়দিন গুইননা দেখল মশুরের দানার থাইকা টুপি বেশী হেইদিন থাইকা আইজ অবদি লাল সালুর আখড়ার বারটা। যাউকগা যা কইতাছিলাম। তো বাসের মইদ্যে দেখলাম পাশেরজনে মুবাইল ফুন দিয়া বলগাইতাছে। কানকি মাইরা চাইয়া দেখলাম কি আছে। পাতিলডা থুইয়া সরডা দিলাম:

আমার চাচাত নানায় মুক্তিযোদ্ধা আছিল, ভাতিজী আম্মায় অহনও কানদে দিয়া শুরু কইরা এমন লাদা লাদল যে বলগ তো বলগ যেই বেডায় পরতাছিল হের কাপুর চুপুরও মাইখা শ্যাস! বেচারা কি টেপাটেপি থুইয়া হাতড়ানি শুরু করল মানে তারাতারি কমেনতে যাইতে চাইল। তো একখান কমেনট আছিল এই রহম:

"......গল্পের মুক্তিযোদ্ধা নানার প্রিয় ভাতিজীর বিয়া হইছিল জানি কার লগে?...কি কইলেন..পা..পাবনা বাড়ী...মরনিজামীর হমন্দীর পুত.....ধুর কি কন বুঝি না..."

আমিও বুঝি নাই। যাউকগা, পাশযাত্রী ভাইজান, একটু অস্হির মতন কি একখান পুসট মনে লয় খুজতাছিলেন। এক টিপা দিয়া আবার পরথম পাতায় আইয়াই নইরা চইরা বিলেন।

আবার একখান পুসট। জাতীয় পতাকা আছে। মাশাল্লাহ। রাব্বুল আলামীন ঘাসের খাবার কিভাবে যোগান তার বরননা। আমিও নইরা চইরা বইলাম। গেডিডা যতদুর পারি ঈড়ান দ্যাশের উটের মত বাকাইয়া পরার চেসটা করলাম, লাল সালুর দিনকাল কিভাবে চলব হেই ফয়সালাডা পাওন যাইতে পারে। কিনতুক আমি কিছু পাওনের আগেই পাশযাত্রী ভাইজানে কি জানি পাইল, দুই দন্ড এদিক উদিক চাইল (চামে আমি তহন পরতাছি আর কি!) আর ফটাস কইরা মুবাইল খান বনদ কইরা কইয়া উঠল-ওহ শিট, চার্জ শেষ।

মনে মনে পরতিগ্গা করলাম এইবার আখড়ায় ফিরা যাইয়া বলগানি চালু করন লাগব। মজিদের সুদিন ফিরা আইতাচে.....হাকালাকা হাবিবী হাবিবী.....।

বাস থামনের টাইম হইছে। পাশযাত্রী ভাইজানের চার্জ যেই কমেনট দেইখা শ্যাস অইল হেইডা কয়া যাই নামনের আগে:

"......একটা ঘাসের বেচে থাকার জন্য কি কি দরকার তা তিনিই ফয়সালা করে দিয়েছেন"।

একটা জামাতী রাজাকারের বেচে থাকার জন্যও যা যা দরকার তাও তিনিই ফয়সালা করে দিয়েছেন-

সাউদী দুমবা, ফাকিসটানী চাকু, ক্যানটনমেনটের মশলা আর ইনডিয়ান রসুই ঘর। গড়ম, গড়ম পরিবেশনে সমস্যা হলে কয়েক বছর ফ্রীজে রাইখা যিয়া ঝাল, বিশ্ব বেহায়া ব্রানডের বিদিক করা মধু আর ফালু(দা) সহ এনতেমাল করলে আরও বেশী দিন বাইচা থাকন যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঢাকায় শান্তিতে বসবাসের জায়গাগুলো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৪






ঢাকায় শান্তিতে বসবাস করা যায় যেসব এলাকা: একটি বাস্তবভিত্তিক পর্যালোচনা

ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী শহর, জনসংখ্যা ও যানজটের দিক থেকে অন্যতম ব্যস্ততম নগরী হলেও এখানকার কিছু কিছু এলাকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হেজেমনি, কাউন্টার-হেজেমনি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৪


একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিঃশব্দ অথচ গভীর যুদ্ধ চলে তার ইন্টেলেকচুয়াল সেক্টরে। গোলা-বারুদের বদলে এখানে অস্ত্র হয় কলম, টকশো, নাটক, পাঠ্যবই, এবং ইউটিউব। বাংলাদেশে এই হেজেমনি বহুদিন ছিল প্রথম আলো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে দলীয় সরকার কখনই জনগণের সরকার হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৫



সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করলেও আওয়ামী লীগ সেটা স্বীকার করলো না। সেজন্য তারা বাকশাল নামে একদলীয় শাসন শুরু করে ছিল। কিন্তু সেনা বিদ্রোহে তাদের বাকশালী শাসনের অবসান ঘটে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রস্থান-পথ কঠিন হয়ে গেছে মুহাম্মদ ইউনূসের

লিখেছেন কবির য়াহমদ্্, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ২:২৪



অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের (৮ই আগস্ট ২০২৪ থেকে চলমান...) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা ছাড়ার পথ কঠিন হয়ে গেছে।

এমনিতেই তার পদ ছাড়ার প্রবল অনাগ্রহ, তার ওপর আছে ক্ষমতা গ্রহণের পরের মাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃষ্টি ঝরছে সারাদিন

লিখেছেন সামিয়া, ৩১ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪



ইচ্ছা ছিল প্রথম আষাঢ়ে ছাদে যাবো
বৃষ্টি দেখতে,
যাওয়া হয় নাই।
বৃষ্টি তো আর ক্যালেন্ডার দেখে আসে না।
সে কখনো মাসের আগেভাগেই দরজায় কড়া নাড়ে,
আবার কখনো হুট করে হাওয়ায়
হালকা জলছবি আঁকে।

বৃষ্টি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×