আমার চাচাত নানায় মুক্তিযোদ্ধা আছিল, ভাতিজী আম্মায় অহনও কানদে দিয়া শুরু কইরা এমন লাদা লাদল যে বলগ তো বলগ যেই বেডায় পরতাছিল হের কাপুর চুপুরও মাইখা শ্যাস! বেচারা কি টেপাটেপি থুইয়া হাতড়ানি শুরু করল মানে তারাতারি কমেনতে যাইতে চাইল। তো একখান কমেনট আছিল এই রহম:
"......গল্পের মুক্তিযোদ্ধা নানার প্রিয় ভাতিজীর বিয়া হইছিল জানি কার লগে?...কি কইলেন..পা..পাবনা বাড়ী...মরনিজামীর হমন্দীর পুত.....ধুর কি কন বুঝি না..."
আমিও বুঝি নাই। যাউকগা, পাশযাত্রী ভাইজান, একটু অস্হির মতন কি একখান পুসট মনে লয় খুজতাছিলেন। এক টিপা দিয়া আবার পরথম পাতায় আইয়াই নইরা চইরা বিলেন।
আবার একখান পুসট। জাতীয় পতাকা আছে। মাশাল্লাহ। রাব্বুল আলামীন ঘাসের খাবার কিভাবে যোগান তার বরননা। আমিও নইরা চইরা বইলাম। গেডিডা যতদুর পারি ঈড়ান দ্যাশের উটের মত বাকাইয়া পরার চেসটা করলাম, লাল সালুর দিনকাল কিভাবে চলব হেই ফয়সালাডা পাওন যাইতে পারে। কিনতুক আমি কিছু পাওনের আগেই পাশযাত্রী ভাইজানে কি জানি পাইল, দুই দন্ড এদিক উদিক চাইল (চামে আমি তহন পরতাছি আর কি!) আর ফটাস কইরা মুবাইল খান বনদ কইরা কইয়া উঠল-ওহ শিট, চার্জ শেষ।
মনে মনে পরতিগ্গা করলাম এইবার আখড়ায় ফিরা যাইয়া বলগানি চালু করন লাগব। মজিদের সুদিন ফিরা আইতাচে.....হাকালাকা হাবিবী হাবিবী.....।
বাস থামনের টাইম হইছে। পাশযাত্রী ভাইজানের চার্জ যেই কমেনট দেইখা শ্যাস অইল হেইডা কয়া যাই নামনের আগে:
"......একটা ঘাসের বেচে থাকার জন্য কি কি দরকার তা তিনিই ফয়সালা করে দিয়েছেন"।
একটা জামাতী রাজাকারের বেচে থাকার জন্যও যা যা দরকার তাও তিনিই ফয়সালা করে দিয়েছেন-
সাউদী দুমবা, ফাকিসটানী চাকু, ক্যানটনমেনটের মশলা আর ইনডিয়ান রসুই ঘর। গড়ম, গড়ম পরিবেশনে সমস্যা হলে কয়েক বছর ফ্রীজে রাইখা যিয়া ঝাল, বিশ্ব বেহায়া ব্রানডের বিদিক করা মধু আর ফালু(দা) সহ এনতেমাল করলে আরও বেশী দিন বাইচা থাকন যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৭