সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে গেল এক হৃদয় বিদারক এক ঘটনা। সমগ্র জাতি আজ হতবাক। কি হলো, কি করে হলো, কেন হলো, কি করলো গোয়েন্দা বিভাগ ইত্যাদি বিষয় গুলি ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনেই।
আমরা অসংখ্য সুদ ও বিচণ অফিসারকে হারিয়েছি, মা, বাবা তার সন্তানকে হারিয়েছে, স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে, সন্তান তার বাবাকে হারিয়েছে কিন্তু আর কতকাল এভাবে নিজেদের মধ্যে রক্তারক্তি হবে? আর কতকাল???
আঞ্চলিক ভাষায় একটা কথা প্রচলিত আছে ‘বেড়া দেয়া হয় তে রা করার জন্য, কিন্তু বেড়া যদি নড়বড়ে হয় তাহলে তেকে রা করবে কে?” প্রতিটি সৈনিক সে যে র্যাংক বা স্তরেরই হোক না কেন তার প্রথম কমিটমেন্ট থাকে তার দেশের সার্বভৌমত্ব সে যে কোন মূল্যে রা করবে। সেই কমিটমেন্ট যাতে বজায় থাকে তার জন্য যা কিছু করণীয় তা কিন্তু আমাদেরকে করতে হবে।
প্রথম দিকে বিডিআর সদস্যগণ যা কিছু করেছে (দীর্ঘদিনের বঞ্চনা) তার জন্য সভাবত আমার একটা আকুন্ঠু সহানুভূতি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা যে প্রক্রিয়ায় গিয়েছে তাকে কোন ভাবেই সমর্থন করা যায় না। অনেকে মতই আমার মনেও জন্ম নিয়েছে হাজারও প্রশ্ন, সংশয়? যারা দেশকে রার জন্য নিবেদিত প্রাণ তারাই শেষ পর্যন্ত এই ধরণের ঘটনার জন্ম দিল? কেন গোয়েন্দারা জানতে পারলো না, বা জানার জন্য চেষ্টা করলো না। কি কি সমস্য বিডিআর সদস্যদের ছিল, তা কেন সমাধান করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নাই। এমনও তো হতে পারে যে বিডিআরদের যে ােভ তাদের ভিতর ছিল এটাকে কোন অপশক্তি (দেশের ভিতর বা বাইরের) কাজে লাগিয়েছে। সেই অপশক্তির টার্গেট ছিল এই ােভটাকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করবে?
আজ যে জঘন্যতম ঘটনা ঘটে গেল তার পুণ:রাবৃত্ত্বি যাতে অন্য বিভাগকে গ্রাস না করে তার জন্য কি এখন হতে দলমত নির্বিশেষে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়? কি কি সমস্যাগুলি সেনাবাহিনীতে আছে, স্বল্প সম্পদ দিয়ে কিভাবে এই সকল সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে, গোয়েন্দাদের আরো সুদ ও বিচণ করা যাতে তারা ঘটনা ঘটার আগেই সকল তথ্য জোগাড় করতে পারে।
আমরা এই দেশকে ভালবাসি, সং®কৃতিকে ভালবাসি, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ লালন করি মনের গহীনে, মানুষকে অকৃপনভাবে ভালবাসি। তাই আমরা আর কোন রক্ত দেখতে চাই না, কোন মায়ের বুক আর খালি হোক তা চাই না। তাই এই জঘন্যতম ঘটনার নিরপে তদন্ত হোক - এটা অন্য সবার মত আমারও একটা চাওয়া, একটা দাবি।