তাসলিমা নাসরিন বাংলাদেশে আসতে না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অশালীন আক্রমণ করেছেন। যে বুদ্ধিজীবীরা খুলনা নর্দান ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষকের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুটুক্তির জবাব দেন, মান হানির মামলা করে, তারা কেনো তাসলিমার অশালীন আক্রমণে নীরব থাকেন ? কবি কেনো এখানে নীরব?
আমার ধারণা তসলিমাকে প্রতিপক্ষ বানালে তাদের ভণ্ডামি ধরা পড়ে যাবে। হাম্বালীগের দালালি করে যেসব সাংবাদিক তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যেতে পারে। তাদের নীতি কথা আস্তা কুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে পারে। তসলিমা নাসরিনকে ভয় ডর দেখিয়ে যে শক্তি তাকে দেশ ছাড়া করেছে, তারা আজ লোহার খাঁচায় বন্দি। তারপরও কেনো তসলিমা দেশে আসেন না। জামায়াত ছাড়া তসলিমার আর শত্রু কারা? কেনো বাংলাদেশের মেকি সেকুলার আওয়ামীলীগ তসলিমাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। গো আযমরা যদি পাকিস্তানি হয়ে বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির নাগরিকের মর্যাদা পায়। এসি মার্কা জেলে থাকে, সেক্ষেত্রে তসলিমারা কেনো নিজ দেশে আসতে পারবে না। যে বিহারিরা বিহারি ক্যাম্পে রাত দিন আইএসআই নিয়ে শুয়ে থাকে তারাও এদেশে থাকার সুযোগ পায়। ইহুদী জামাই নিয়ে ড. কামাল হোসেনরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে । তারপরও দেখি তারা এই সরকারে প্রটেকশনে থাকছে। তসলিমার ক্ষেত্রে কেনো টিআইবি নীরব। ড. কামালরা নীরব। সুলতানা কামাল চক্রবর্তীরা নীরব। মুনতাসির মামুনরা নীরব। তাসিলমাকে দেশে ফিরেয়ে আনতে খালেদা জিয়ারও কোনো হুমকি নাই। নাই এরশাদের হুমকি। তাহলে কার ভয়ে তাসলিমা দেশে ফিরে আসতে পারছে না।
এবার খালেদা জিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সাক্ষাতকার প্রসঙ্গে আসি। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর ইশারায় যে এই সাক্ষাতকার তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। খালেদা জিয়া এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সেই সাক্ষাতকারে কি আলোচনা হয়েছে তা খালেদার বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র শমসের মোবিন মিডিয়াতে বলেছেন। এ নিয়ে যখন খালেদার সমালোচনা হচ্ছে চারিদিকে, সেটাকে ঠেকানোর জন্য খালেদা জিয়া অনেকটা সাফাই গাওয়ার সুরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন। খালেদা নাকি সুষমার সঙ্গে তিস্তা, সীমান্ত হত্যা ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘ আলাপ করেছেন। এরকম ডাহা মিথ্যা কথা বলে খালেদা নিজেকে বাচাতে চাচ্ছেন। তথাকথিত ভারত বিরোধী রাজনীতির ফ্রন্ট খুলে রাখছেন। যদি এসব আলোচনা সেদিন সুষমার সাথে হতো তবে মোবিনের মুখ দিয়ে তার ছিটেফোঁটাও বেরিয়ে আসতো। খালেদা জিয়া যে নালিশ জানাতে গেছেন দেশের কথা বাদ দিয়ে সেদিন মোবিনের মুখে এসবই শোনা গেছিলো। এখন খালেদা ভারতীয় পত্রিকায় মিথ্যা সাক্ষাতকার দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন। খালেদার এসব ভণ্ডামি মার্কা কথা কেউ বিশ্বাস করে না। ম্যাডাম আপনার দল আস্তা কুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আর কোনো দিন আপনার দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আপনার আপোষহীন রাজনীতি আপনাকে যেভাবে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে তা দেখে আমাদের হাসি পাচ্ছে। এসি রুমে বসে আর যাই হোক আন্দোলন হয় না। আপনার দলের নেতাদের এক ঠ্যাং থাকে ভারতীয় হাউকমিশনে আরেক ঠ্যাং থাকে আপনার দলীয় কার্যালয়ে। এদেরকে দল থেকে বাদ দিয়ে নতুন নেতা নির্বাচন করে দল ঠিক করে আন্দোলন করুন। দেখবেন ফল পাবেন। নতুবা রাজনৈতিক পরাজয় ঘটবে বারে বারে।