ইমন জুবায়ের এর সাথে বড্ড দেরীতে দেখা হলো। তিনি শুয়ে আছেন। মসজিদের বারান্দায়। কাফন থেকে সরিয়ে মুখটা যখন দেখালো, খোচা খোচা দাড়ি, আধাপাকা, আমারই মতন। মাত্র ৪৫ বছর বয়স। বড় অসময়ের যাত্রা।
সবাই নামাজে গেলো। ইমন জুবায়ের এর কফিনবন্দী দেহ মসজিদের বারান্দায়। তাহসান, একসময়ের ব্ল্যাকের মেম্বার, পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো। বললো 'উনি তো একজন ঋষি মানুষ ছিলেন - আমরা দেখেছি ছোটবেলা থেকে, বলতে গেলে ব্ল্যাক তো উনার হাতে গড়া।' তুর্য নামে ইমন ভাইয়ের এক শিষ্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। বললো, 'উনার মত এমন স্পিরিচুয়ালি স্ট্রং মানুষ আমি কম দেখেছি।'
শরৎ একবার তার দেহটা আলতো করে স্পর্শ করলো। কফিনের উপর দিয়ে। বিড়বিড় করে বললো, 'ইমন ভাই আপনাকে একটু ছুঁয়ে গেলাম'।