তাকিয়ে ছিলো একটি বালক'
দৃস্টি জুড়ে মগ্নতা আর
ক্লান্তি বিহীন, হারিয়ে পলক।
গাছ জুড়ে বেশ রঙ্গিন আপেল
একটি হঠাৎ পড়লো খসে,
পড়লো কেন নিচের দিকে
ভাবছে বালক তলায় বসে।
বলা বাহুল্য এটা কিন্তু স্রেফ আমার কল্পনা বিলাস না। বালকের যায়গায় যুবক হতে পারে তবে সত্যি সত্যি নাকি কোন এক কালে এমন ঘটনা ঘটেছিলো। বিশ্বাস করা কিংবা না করার অধিকার মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত।
এখন প্রশ্ন সেটা নয়,তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে সব প্রশ্নের জবাব নেই। মধ্যরাতে হঠাৎ করে আমার মাথায় কেন ব্যাপারটা নাড়া দিয়ে গেলো সেটাই হচ্ছে রহস্য। এর কোন জবাব নেই, যেমন জবাব নেই মহাশয় নিউটনের কেন হঠাৎ আপেল নিয়ে এমন অহেতুক ভাবনার উদ্রেক ঘটলো। আপেল ছিলো বলে রক্ষে। যদি পতনশীল বস্তটি স্বয়ং মহাশয়ের ছোট ভাই হতো যে কিনা চুপিসারে ডাব নারকেল ফেলতে গিয়ে স্বয়ং নিজেই... ... ... । অথবা ছাদের উপর ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে মহাশয়ের দুস্ট ভাগ্নে একই ঘটনার শিকার হতে পারতো।
ভাগ্নের পতনে নিউটন দাদা যদি এমন গভীর চিন্তা মগ্ন হয়ে পড়তো। তাহলে আজকে তার নামটা ইতিহাসের পাতায় অন্যভাবে লেখা হতে পারতো। (আশংকা করি সেটা নিউটনের জন্য মোটেই সম্নানজনক হতো না।)
যা ঘটেছে তা ঘটে গেছে এখন বরং শেষ কথায় আসা যাক। আপেলকে কোন বিবেচনায় নোবেল পুরস্কার দেয়া যায় কিনা! হোক না স্রেফ একটি গাছের ফল। মানব সভ্যতায় তার অবদান লম্বা করেই দেখতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৫৮