somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই বইটির প্রকাশ কি একটি সমন্বিত চক্রান্তের অংশ? - আবদুল গাফফার চৌধুরী

০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলায় একটা কথা আছে, দশ চক্রে ভগবান ভূত। আমাদের অব. এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের বেলায় কথাটা সঠিক মনে হয়। ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ শীর্ষক যে বইটি তার নামে বের করা হয়েছে, এটিও দশ চক্রের কাজ বলে আমার অন্য এক লেখায় উল্লেখ করেছি। আমার এই অনুমানের কারণ, এ কে খন্দকার ব্যক্তিগতভাবে একজন ভাল মানুষ। তাঁর মাথায় এই শেষ বয়সে এই ভূত চাপল কেন? এবং নিজে ভূত হতে গেলেন কেন?

একটু খোঁজখবর নিতেই জানলাম, তিনি সত্যিই দশ চক্রের কবলে পড়েছেন। এই চক্রটি লন্ডন থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই চক্রে বিএনপি, জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধীরা তো বটেই, মুক্তিযুদ্ধের সাবেক সমর্থক একটি গোষ্ঠীও রয়েছে। আমাকে প্রথম এ সম্পর্কে সতর্ক করেন লন্ডনে বসবাসকারী এক পাকিস্তানী সাংবাদিক বন্ধু। তিনি আমাকে বলেন, প্রচুর অর্থ-তহবিল নিয়ে মুজিব-বিরোধী একটি প্রোপাগান্ডা শুরু হতে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ এবং পাকিস্তানও এই অর্থের যোগানদার।
আমি তাঁর কথা প্রথমে বিশ্বাস করিনি। কারণ, বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত নেই। ক্ষমতায় আসীন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। চক্রান্ত ও প্রচার অভিযান চালাতে হলে তো এঁদেরই টার্গেট হওয়ার কথা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে টানাটানি করে লাভ হবে কি? পাকিস্তানের সাংবাদিক বন্ধু বললেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুপক্ষ এতদিনে বুঝে ফেলেছে যে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শক্তির ভিত্তি শেখ মুজিব। তাঁকে হত্যা করেও ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়নি। এখন তাঁর চরিত্র হত্যা দ্বারা ইতিহাস এবং বাংলার মানুষের মন থেকে তাঁকে মুছে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। তা যদি করা যায়, তাহলে আওয়ামী লীগের শক্তির ভিত্তি ধ্বংস হবে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেও বিতর্কিত করা যাবে।

এর পরেও আমি কথাটা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করছি না দেখে তিনি বললেন, শীঘ্রই দেখতে পাবে এই লন্ডন থেকেই মুজিব-বিরোধ প্রোপাগান্ডার অভিযান শুরু হয়েছে। শেখ মুুজিবুর রহমানকে হেয় করা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের কিছু জামায়াতিমনা বাঙালী ও পাকিস্তানী স্কলারকে ভাড়া করা হয়েছে। তাঁরা তারেক রহমানকে সহায়তা যোগাবেন। তারেক রহমানের বিদ্যাবুদ্ধি না থাকলেও এদের সাহায্যে তিনি নতুন ইতিহাসবিদ সাজবেন। নতুন নতুন ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কার করে শেখ মুজিবকে বিতর্কিত করে তোলার চেষ্টা করা হবে।

আমি পাকিস্তানের সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছি, তাঁদের এই চেষ্টা সফল হবে না। বাংলাদেশে যতই দিন যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু ততই নতুনভাবে জীবিত হয়ে উঠছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তিনি এখন বিশ্বময় স্বীকৃত। সাংবাদিক বন্ধু বললেন, এ কথা মুজিব-বিরোধী প্রচারক গোষ্ঠীও জানে। তাই তাদের প্রচারণা ধোপে টিকবে না, এ কথা বুঝতে পেরে তারা শেখ মুজিবের এককালের অনুসারী এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের মধ্য থেকেও কিছু লোককে নানাভাবে প্রলোভিত করে এই প্রচারণায় যুক্ত করার ব্যবস্থা করেছেন। যাঁরা শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন, শুধু তাঁরা কোন কথা বললে সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করানো যাবে, এই ধারণা থেকেই প্রচারণাটি শুরু করা হচ্ছে।

বেশ কিছুকাল আগে এক পাকিস্তানী সাংবাদিক বন্ধুর কাছ থেকে এই টিপস টি পাওয়ার পরেও আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়নি যে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কোন অসত্য প্রচারণা হঠাৎ গজিয়ে উঠতে পারে; বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোন ব্যক্তি বা তাঁর অনুগামী ছিলেন এমন কেউ এই প্রচারণায় যোগ দিতে পারেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই আমি প্রথম সচকিত হই, আমার এক অনুজপ্রতিম বন্ধু, বাংলা একাডেমি কর্তৃক গবেষক হিসেবে স্বীকৃত ফারুক আহমদের (লন্ডনে বসবাসকারী) হাতে একটি বই দেখে। ইংরেজী উপন্যাস, নাম ব্ল্যাক কোট। লেখকের নাম আমার কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত। একটি পশ্চিমা প্রকাশনা সংস্থা বইটি বের করেছে।

ফারুক আমাকে বললেন, এই বইটিতে বঙ্গবন্ধুকে অত্যন্ত নোংরাভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এটির প্রতিবাদ করা দরকার। আমি তাঁকে বলেছি, নোংরা জিনিস ঘাঁটতে নেই। কোথাকার কোন্ যদু মধু বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে লিখছে, তাতে বঙ্গবন্ধুর কোন ক্ষতি হবে না। আমাদের উচিত এগুলো উপেক্ষা করা। আকাশের দিকে থুথু ছিটালে তা নিজের গায়েই পড়ে। আকাশকে স্পর্শ করে না। এর কিছুদিন পরেই জানতে পারি, এই বইয়ের প্রকাশনার অর্থায়নের পেছনে জামায়াত এবং তাদের বিদেশী পেট্রনরা রয়েছেন।

তারপর দু’দিন না যেতেই লন্ডনের সভায় ইতিহাসবিদ সেজে জিয়াপুত্র তারেক রহমানের আবির্ভাব। টার্গেট বঙ্গবন্ধু। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার এই অকাল কুষ্মা- পুত্রটি যে মিথ্যাচারের রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারে তা আমার জানা ছিল না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের বৈধ প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন না, ছিলেন তাঁর পিতা জিয়াউর রহমান, ২১ আগস্টের (২০০৪) শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলার জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী ইত্যাদি লোক হাসানো অসংখ্য ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কার করে তিনি কিছুদিনের জন্য বাজার গরম করে তোলেন।
জামায়াত ও তারেকের এই প্রচার অভিযানের পাশাপাশি যখন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মহানায়ক তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন রিপি ‘পিতা ও নেতা’ নাম দিয়ে একটি বই প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করে তোলার চেষ্টা করেন, তখন আমি আরও সচকিত হই। পাকিস্তানী সাংবাদিক বন্ধুর সতর্ক বাণীটি আমার স্মরণ হয়। কথায় বলে ঘরের শত্রু বিভীষণ। এই বিভীষণ যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিবিরেও তৈরি করা হয়েছে তা আমি বুঝতে পারি।

তাজউদ্দীন ভাই ও জোহরা ভাবীর প্রতি শ্রদ্ধাবশত আমি কখনও তাঁর এই কন্যাটিকে নিয়ে কিছু লিখতে চাইনি। এমন কি তাঁর বইটি পড়ার পরেও চাইনি। কারণ, এই ধরনের ট্র্যাশ-বই দেশের শিক্ষিত মানুষের কাছে কোন গুরুত্ব পাবে না এই ধারণা আমি করেছি এবং আমার ধারণা সত্য হয়েছে।
রিপি নিজে বিভ্রান্ত এবং বিতর্কিত। নিজের জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে তিনি স্বাধীনতার শত্রুপক্ষের দ্বারা স্ট্যালিনকন্যা সেভেটলানার মতো যে ব্যবহৃত হয়েছেন তা সম্ভবত বুঝতে পারেননি। সোভিয়েত ইউনিয়নকে ধ্বংস করার জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা প্রয়াত স্ট্যালিনের নামে অনেক সত্য-মিথ্যা প্রচার চালিয়েও যখন স্ট্যালিনের ভাবমূর্তিকে সম্পূর্ণ বিনষ্ট করতে পারেনি তখন তাঁর কন্যা সেভেটলানকে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মার্কিন মুল্লুকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেভেটলানা তাঁর পিতা স্ট্যালিন যে কত বড় মনস্টার ছিলেন তা প্রচার করতে থাকেন। তাজউদ্দীনকন্যা রিপি জাতির পিতার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করতে গিয়ে যে তাঁর নিজের পিতার ভাবমূর্তিতেও কালিমা লেপন করেছেন তা হয়ত বুঝতে পারেননি। কারণ, তিনি এ কে খন্দকারের মতো দশ চক্রে ভূত হয়েছেন। এই দশচক্রীদের একজনের কাছে তিনি আবার তাঁর বইতে বইটি লেখার ব্যাপারে সাহায্য লাভের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেছেন। আমি সেই নামটি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর অন্ধ ক্রোধের কারণ সম্পর্কে এখানে আর লেখালেখি করতে চাই না। তা কালি-কলমের অপচয়।
আজ কোথায় সেভেটলানা, আর কোথায় তাঁর বই? সিআইএ’র এত পেট্রোনাইজেশন সত্ত্বেও স্ট্যালিনকন্যা সেভেটলানা আজ সম্পূর্ণ বিস্মৃত এবং তাঁর বইটি আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত। বাংলাদেশে রিপির বইটি তো বাজারে বেরুতে না বেরুতেই বিস্মৃতপ্রায়। বঙ্গবন্ধু-বিরোধী প্রচারণায় দশ চক্র যখন দেখলেন, তাদের নিক্ষিপ্ত এই তীরটিও কোন কাজে লাগেনি তখন মঞ্চে প্রায় নিখোঁজ এক ব্যক্তিকে হাজির করা হয়। তার নাম সিরাজুল আলম খান। ছাত্রনেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিকল্পনায় সাহায্যদানের জন্য গঠিত নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন। কিন্তু লেখাপড়া না করে প-িত সাজার ভ-ামি তার রাজনৈতিক জীবন ব্যর্থ করে দেয়।
অতি উচ্চাকাক্সক্ষা তাকে বঙ্গবন্ধু সরকারের পতনের ষড়যন্ত্রেও সহযোগী করেছে বলে অনেকের ধারণা। দাড়ি-গোঁফ রেখে কিছুদিন তিনি কার্ল মার্কস সাজার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাজারে তার নাম হয় কাপালিক। তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের সমর্থক। কিন্তু এক সময় তার প্রায় স্থায়ী ঠিকানা হয়ে দাঁড়ায় নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন। কিছু চটি বই লিখে তিনি তাত্ত্বিক সাজার চেষ্টা করেছিলেন, তাও ব্যর্থ হয়।
বঙ্গবন্ধু-বিরোধী তারেকের প্রচারণার পাশাপাশি দেখা গেল হঠাৎ সিরাজুল আলমেরও আবির্ভাব। তিনি তারেকের মতোই হঠাৎ ঐতিহাসিক সেজে ছোট ইস্তাহার বিলি করে সকলকে জানালেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি তারাই তৈরি করে দিয়েছিলেন। এমনকি বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণটি দিচ্ছিলেন তখন কোন কোন কথা তিনি যাতে ভুলে না যান, সেজন্য তাঁর পাঞ্জাবির কোণা ধরে চাপ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এভাবে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকেও বিতর্কিত করার অপচেষ্টা হয়।
সিরাজুল আলম খান এ রকম দাবি করে বিকৃত মানসিকতা ও বুদ্ধিও সম্ভবত আমেরিকা থেকে পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনসের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গ ভাষণ সম্পর্কেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। কি আমেরিকার গৃহযুদ্ধের শেষে লিঙ্কনস একটি ট্রেনে চেপে গেটিসবার্গে আসছিলেন । তখন তিনি একটি পুরনো পোস্টকার্ডের মধ্যে এই ভাষণের খসড়াটি লেখেন। তারপর গেটিসবার্গে উপস্থিত হয়ে ভাষণটি দেন।
প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনস আততায়ীর হাতে নিষ্ঠুরভাবে মৃত্যুবরণের পর তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাবি করে বসেন, গেটিসবার্গের ভাষণের মুসাবিদাটি ট্রেনে বসে তিনিই লিখে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। পরে প্রমাণিত হয়, ওই বন্ধু লিঙ্কনসের ভাষণের খসড়া লেখা দূরের কথা, ওইদিন লিঙ্কনসের সঙ্গে ট্রেনেই ছিলেন না।
সিরাজুল আলম খানদের বঙ্গবন্ধুর পাঞ্জাবির কোণা ধরে টানাটানির গল্প শুনে মনে প্রশ্ন জাগে, এগুলো কি মানসিক বিকৃতির ফল, না কোন বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ? আমার ধারণা, এক বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ। চক্রান্তগুলো কি পরস্পর বিচ্ছিন্ন, না সমন্বিত? এই প্রশ্নের জবাব ঘটনাপ্রবাহ থেকেই বোঝা যাবে।

বঙ্গবন্ধু এখন বিশ্বময় ‘ফাউন্ডার ফাদার অব বাংলাদেশ’ নামে স্বীকৃত। বিবিসি রেডিওর জনমত সমীক্ষায় তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী হিসেবে নন্দিত। তাঁর ওপর একটি ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ‘The speeches that inspired history’ বইতে বিশ্বের সেরা ভাষণগুলোর একটি ভাষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশেও বঙ্গবন্ধু আজ স্বগৌরবে ও স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। ঠিক এই সময়ে তাঁকে হেয় ও বিতর্কিত করা না গেলে তাঁকে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আর নস্যাত করা যাবে না। শত্রুপক্ষের এই ভয়ভীতি থেকেই অকস্মাৎ বঙ্গবন্ধু-বিরোধী প্রচারণার শুরু বলে অবশ্যই ধারণা করা চলে।
প্রায় একই সময়ে এই প্রচারণাটি শুরু করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ব্ল্যাক কোট নাম দিয়ে বই প্রকাশ (নেপথ্যে জামায়াত), তারেকের বঙ্গবন্ধু-বিরোধী প্রচার অভিযান ও ইতিহাস বিকৃতি, তাজউদ্দীনকন্যার বই প্রকাশ এবং সর্বশেষে অব. এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের এই বই। মনে হবে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা যে নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে অনেক মাথার সমন্বিত প্রয়াস তা একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়। খন্দকারের বইটির প্রকাশক-‘প্রথমারই’ বা আসল চেহারা ও উদ্দেশ্য কি?
লন্ডন ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, ২০১৪ ॥

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×