জিন্দা পার্কে ঢুকেই চোখের সামনে বোর্ডে একটি কবিতা পড়বে। নাম "কাফেলার ধ্বনি" লেখক আরিফ মঈনুদ্দীন। লেখককে আমি চিনিও না বা কোনদিন নামও শুনিনি কিন্তু তার কবিতাটি আমার নিকট অনেক ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে হতাশাগ্রস্থ এবং বিচ্ছিন্ন থাকা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য বড়ই অনুপ্রেরনা দায়ক এবং আশার বানী। কবিতাটি নিম্নরুপঃ
"দিকচক্রবাল আচ্ছন্ন প্রহরে একদিন রাতে
পাহাড়ের পাদদেশে আমি
নিকষকালো ঘুটঘুটে অন্ধকারে একাকী দাঁডিয়ে
ব্যাহত নিশ্বাসে বুনে চলি
জীবনের ঘ্রাণ
কষ্টের কাঁটায় বিদ্ধ হতে হতে
উদ্ধারের প্রত্যাশী নিমজ্জমান নাবিকের মতো
হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে যখন হতাশ মেরুদন্ডে
বয়ে চলে হিম হিম স্রোত
অকস্মাৎ দূরে- বহুদূরে ভেসে ওঠে
মনে হয় স্বর্গ থেকে এক চিলতে আলোর উদ্ভাস,
ধীরে ধীরে আরও কাছে
ক্রমশই ফুটে ওঠে আলোময় এক উটের কাফেলা,
দীর্ঘতম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শরণের কাছে
ঋজু হয়ে মেলে ধরি সরল দু'হাত
কয়েক দন্ডের জন্য থামে মরুর কাফেলা-
কাফেলার যত লোক
একজন বলে ওঠে,
আমরা বিক্ষিপ্ত ছিলাম
শান্তিময় সমৃদ্ধির বহুদূরে-
অসহায় যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে
এসে জড়ো হই- জয়ের নেশায়
মনের সব ক্ষুদ্রতা ঝেড়ে ফেলে
প্রত্যাসন্ন বিপদকে ছুঁড়ে মেরে
গড়ে তুলি বিশ্বাসের আমূল প্রেথিত ভিত
কাফেলার ঘোষিত প্রত্যয়ে
ডানে বাঁয়ে ঊর্ধ্বে অধেঃ
উত্তরে দক্ষিে পূর্বে কি পশ্চিমে-
চরাচরময় বাসমান...
স্রষ্টার অমোঘ বাণী-
একা নয়, দলবদ্ধ হও
অতঃপর
দিকে দিকে বেজে ওঠে কাফেলার ধ্বনি
জয় হবে, হবে জয়
দৃপ্তকন্ঠে এ আশার বাণী।