somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমগো ডিজিটাল পাসপোর্ট কাহানি – পর্ব ১

২৫ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডিজিটাল পাসপোর্ট
aka MRP(Machine Readable Passport)

------------------------------------------------
আপনেরা অনেকেই হয়তো ডিজিটাল পাসপুট করানের ধান্দা করতাসেন; সেই লিগাই এই পুষ্টানো; ভুলভাল হইলে ধরাইয়া দিয়েন।

আমার লেখাটার মেইন ঠিকানা এইখানে

গত হপ্তায় গেছিলাম পাসপোর্ট করাইতে। যাইয়া দেহি, বিরাট ইতিহাস। আনসার আর আর্মি মিল্যা সেরাম অবস্থা। মনে হইতাছিলো, কুনো সভ্য-দ্যাশে আইয়া পরছি। B-)


দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারা, “ছয় মাসের অধিক মেয়াদ থাকলে আপাততঃ পাসপোর্ট নবায়ন করা হচ্ছে না।” তবে জরুরি, অনেকদিনের লাইগা বাইরে যাইতাছিগা ইত্তাদি ভুংভাং বুঝাইলে মনে হয় এক বচ্ছরের লাইগা নবায়ন করা যায়; একহাজার ট্যাকা লাগে মনে হয়। লেকিন আপনার পাসপুট এর মেয়াদ এক বসরের উপরে থাকলে আপনার ঐখানে কোন খাওয়া নাই। বাসায় বইয়া ঘুমান। ;)

আর নয়া পাসপুট করাইতে তিন হাজার ট্যাকা লাগে। তবে জরুরি ফিস বইলা কিছু নাই; যদিও সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে জরুরীর কথা লেহা আছে।

নয়া-কেসে ছবি দুই কপি লাগবো দুই ফরমে আঠা দিয়া লাগানোর লিগা। আর নবায়ন/ রিপ্লেসমেন্ট কেসে এক কপি। আর নয়া MRP পাসপোর্ট এ যে ছবি দিবো ঐটা সেহানে নগদে তুলবো। সো আপনেরা সেরাম ডেরেস-আপ করে যাইয়েন। আর মনে কইরা টিসু নয়তো গামছা টাওয়েল নিয়া যাইয়েন মুখ মুছনের লিগা। নয়তো লাইনে খারায়া থাকতে থাকতে ঘামের ঠেলায় দেখপেন পাসপোর্ট এর ছবি হইছে সেরাম ;)

নয়ডা বাজনের আগেই লাইন শুরু হইয়া যায়। আগে আগে গেলে কাম চালু কইরা হইয়া যাইতে পারে। তয় লাস্ট টাইম মনে হয় চারটা পর্যন্ত। দালালগো দেখলাম কোন খাওয়া নাই। দেওয়ালের বাইরে খালি দুই একটারে আপ-ঝাপ করতে দেখলাম।

বিল্ডিং এর বাইরে দাড়ায়া/দৌড়াইয়া হেলপার হিসাবে আনসাররা কাম করতাছে। নরমাল কথাবার্তা গুলান এগো থিকাই জানা যায়। টাকা জমা দেয়ার রিসিটও থাকে এগো কাছে।
জটিল কেস হইলে ভিতরে হেল্প-ডেস্ক আছে, হ্যাগোরে জিগানো যায়; ওনারা পুরা ফর্ম-কাগজ-পত্র ঠিক আছে নাকি দেইখা দেয়; ফিস রিসিট আঠা দিয়া ফর্ম এর উপর লাগায়া দেয়। হেল্প-ডেস্ক এ আর্মি-সিভিলিয়ান দুইটাই আছে। সিভিলিয়ানগো অনেকের গলায় কালা ফিতা ঝুলানি।

নবায়ন-কেস হইলে একটা ফরম ফিলাপ করন লাগে। আর নয়া-কেসে দুইডা। ফরম ঐখানে ছাড়া এইখানেও পাইবেন। এইখানে সরকারী বিজ্ঞপ্তি গুলাও পাইবেন।

ফরম ডা সত্তায়ন করাইতে একটু খেয়াল কইরেন। সত্তায়ন যে করবো, হ্যারে ফোনে জিগাইতে পারে বইলা শুনলাম। আর ফরমডায় যেই নম্বর/রেফারেন্স গুলান দিবেন, যেমন ভোটার-আইডি, জন্ম-সার্টিফিকেট, টিন-নম্বর ইত্যাদি, সেই কাগজ গুলার ফটোকপি লগে দেওন লাগবো। আর অরজিনাল-গুলিও দেখান লাগতে পারে, লইয়া যাইয়েন।

হেল্প-ডেস্ক থিকা ওকে কইরা দিলে, আরেকটা লাইনে খাড়াইতে হয়। ঐখানে ফাইনালি “অফিসিয়ালি ওক্কে” বইলা একটা সিল ছাপ্পর দিয়া দেয়। হেরপর আরেক লাইনে যাইয়া খাড়াইতে হয়। লাইন ধরার পর বাঙালি-জাতির সেই হাজার বচ্ছরের খারাপ-অভ্যাস দেখা গ্যালো; লাইন না ধইরা হালকার উপর সামনে ঢুইকা পরনের অভ্যাস। ঝারি মারলে এরা আবার ভুং-ভাং দিয়া বুঝানের চেষ্টা করে।এগো লগে হালকা কাও-কাও করণ লাগতে পারে।

হ্যারপর কি হয় জানা নাই। আপনে জানতে চাইলে লাইনে খাড়ায়া দেইখা আইতে পারেন; অর্ এই ব্লগ এর সেকুএল (২য় পর্ব) এর লিগা ওয়েট করতে পারেন।

বিশেষ টিপস:
----------------
যদি ফ্যামিলির সবার বা কুনো লেডিজের পাসপুট করাইতে চান, তয় মা-বউ-পুলাপাইনরে হুদাই কষ্ট দিয়েন না।

১ম দিন দুপুর ১২-১ টার দিকে ফরম ফিলাপ কইরা, সব কাগজ-পত্র-ছবি নিয়া একলা যাইবেন। কাগজপত্রে ঝামেলা থাকলে একলা দৌড়াইয়া সব সারেন। মনে রাইখেন, বাচ্চা সাইন না করতে পারুক আর না পারুক, সাইন করুক আর নাই করুক, টিপসই অবশ্যই লাগব। সব ফরম ফাইনাললি ওক্কে করান। তখন একটা ফাইনাল সিল-ছাপ্পর দিয়া দিবো।

পরের দিন এক্কেরে সকালে ( ৮:১৫ টার ভিতরে) ব্যাকটিরে নিয়া লাইনে খারান। তখনো গেইট খুলবে না; বাইরেই দাড়ায়া থাকেন। গেইট খুললে ঢুইকা একবারে ফাইনাল কাউন্টারে যাইয়া লাইন দ্যান (দেখপেন উপরে গেইটের উপরে লাল ডিজিটাল কাউন্টার লাগাইন্যা)। সেইখান থিকা টুকেন দিবো। সেই টুকেন লইয়া ভিতরে ঢুকবার পারবেন।

ওক্কে ?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১০ রাত ৮:৩৪
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×