somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন গান শুনি

১০ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গিয়াছিলাম পাঠাগারে , বিদ্যাভ্যাস করিতে। কিছুক্ষণ অধ্যয়ন করিবার পর দেহ মনে সমূহ ক্লান্তি উপস্থিত হইল। ভাবিলাম কিঞ্চিত সংগীত শ্রবণ করি।
সংগীতবাদক যন্ত্রটি বাহির করিয়া উহার অংশ বিশেষ কানে উপবিষ্ট করিলাম। গানের তালিকা'র প্রথম অংশ নিচে তুলিয়া দিতেছি:

স্বপ্নঘুড়ি(নয়ন মেহেদী)
Shape of My Heart(পিছনের গলির ছেলেপেলেরা)
Shape of My Heart(স্টিং)
Show me the Meaning of being Lonely(পিছনের গলির ছেলেপেলেরা)
;)

একের পর এক এক রোমান্টিক গান শুনিয়া আমার হৃদয় দ্রবীভূত হইয়া গেল। ভিতরে অত্যন্ত নীল অনুভব করিতে লাগিলাম(Feeling Bad Blues)। মনে হইতে লাগিলো হায়, কেনই সর্বদা সমাজের নর্ম মানিয়া চলিতে হইবে? কেন অন্তত: একবারের জন্য হইলেও নিজের একটা আবেগের উপরে আরেকটা আবেগকে স্থান দিবো না?? হায় আমার করুণ দশা। ক্ষণিক বিনোদনের জন্য গান বাজাইতেছিলাম সত্য, তার খেসারত এমনভাবে দিতে হইলো??

যাহা হউক, তাহার পরও আবার গান শোনায় মনোনিবেশ করিলাম। গানগুলো বর্ণ ক্রমানুসারে নিজের গতিতে অগ্রসর হইতে লাগিলো ।এবারের তালিকা অনেকটা এরকমঃ

Smells Like Teen Spirit( নির্বাণ ! )
Smoke On The Water(গাঢ় বেগুনী)
Symphony No 9 (Ode to Joy) ( বীথোভেন)


শুরুতেই জনাব কার্ট কোবেইন তাহার ব্জ্রসম অতি শক্তিশালী তড়িৎচালিত বাদ্যযন্ত্র খানা লইয়া আমার স্নায়ুজগৎকে একটা কঠিন ঝাঁকুনি দিলেন। তাহার আপাত অসংলগ্ন কথা সমৃদ্ধ গানে আমার কিয়দক্ষণ পূর্বের রোমান্টিকতা বাপ বাপ করিয়া পালাইয়া গেল। তাহার পর যখন "স্মোক অন দ্যা ওয়াটার" বাজা শুরু হইলো তখন আশ্চর্য হইয়া খেয়াল করিলাম যে পূর্বের মন খারাপ ভাবটা আর নাই, বরং সংগীতের তালে তালে পা নাচাইতেছি! শেষে যখন মান্যবর বীথোভেন সাহেব তাহার সিম্ফনী লইয়া হাজির হইলেন ততক্ষণে আমার মানসিক অবস্থা বেশ পাল্টাইয়া গিয়াছে। সুর ভাঁজিতে ভাঁজিতে পাঠাগার হইতে বের হইয়া আসিলাম।


এভাবে সংগীত প্রতিনিয়ত আমার মন নিয়া খেলা করিয়া যাইতেছে। এই পাহাড়ের চূড়ায় তুলিয়া দেয়, পরমুহূর্তেই সমুদ্রের অতলে লইয়া যায়। উহার কোন সীমা পরিসীমা খুজিয়া পাইতেছি না। আজকে কেবল S অক্ষরবিশিষ্ট তালিকার কয়েকখানা গানের কথা উল্লেখ করিলাম, কিন্তু বাংলায় বর্ণ আছে ৪৯টি , ইংরাজীতে ২৬ টি! উহাদের প্রত্যেকের দ্বারা শুরু হয় এরকম গানের তালিকা আছে। এবং উহাদের প্রত্যেকেই মনের উপর উপরিউক্ত প্রভাব ফেলিয়া থাকে!

তাহা ছাড়া সংগীত শুধুমাত্র বর্ণমালায় সীমাবদ্ধ নহে! বর্ণমালার বাহিরে আছে বিশাল এক যন্ত্রসংগীতের জগত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ভারতীয় মার্গ সংগীতের কথা, কিংবা ইউরোপীয় ক্লাসিক্যাল মিউজিকের কথা কিংবা তাহাও না চাহিলে ঈয়ানি'র কথা, উহাদের কাজ শুনিলে মনের কোন না কোন গহীন কোণে ব্যকুলতার সৃষ্টি হয়!

আসলে সংগীত কেন ভালবাসি তাহা ব্যাখ্যা করা সম্ভবপর নহে। উহাকে কেবল ভালোই বাসা যায় । যাহাদের ভালো লাগে না তাহাদের জোর জবরদস্তি করার কিছু নাই। তবে যাহাদের ভাল লাগে তাহারা সম্ভবত আমার সহিত একমত হইবেন।

সকলের জন্য সুরসমৃদ্ধ শুভকামনা!

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৩
২৩টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×