Layla
এই গানটা যারা 70's Rock মিউজিকের ভক্ত তারা সবাই শুনেছেন ধরে নেয়া যায়। বন্ধুপত্নী প্যাটি বয়েডের প্রেমে পইড়া এরিক ক্ল্যাপটনের তখন বেরাছেড়া অবস্থা। তখনই আবার এক বন্ধু তারে "লাইলী-মজনু" র প্রেম কাহিনী গিফট করলেন। ফলশ্রুতিতে এই লিজেন্ডারি লাভ সং এর সৃষ্টি।
গানের শুরুটা হইসে একটা অসাধারণ ডাইনামিক রিফ দিয়ে।সত্তরের দশকের এভারগ্রীন সিগনেচার স্ট্র্যাটোকাস্টার সাউন্ড। তারপর যে হারমোনিকটা বাজে সেটা একেবারে কলজেয় ধাক্কা মারে! তারপর ক্ল্যাপটনের হৃদয়ের আর্তনাদ :
Layla, you've got me on my knees.
Layla, I'm begging, darling please.
Layla, darling won't you ease my worried mind.
ভাবতে মজাই লাগে প্রেমে পড়লে অ্যাতো হাই ক্যালিবারের মানুষেরও কি মদন মদন অবস্থা হয়

প্যাটি বয়েডের কথা চিন্তা করতে করতে :
Like a fool, I fell in love with you,
Turned my whole world upside down. আহা কি পেইন

গানের ভার্স সেকশন শেষ হইসে এরিক ক্ল্যাপটন আর ডুয়েন আলম্যানের ডুয়েল লীড গিটার দিয়া । ক্ল্যাপটনের ছুরির মতো ধারালো স্ট্র্যাটোকাস্টার সাউন্ড , তার সাথে আলম্যানের স্লাইড গিটারের আওয়াজ শুনলে মনে হয় কেউ হৃদয়টা চিইপা সব আত্মা বাইর কইরা নিতাসে। তারপর একটা পিয়ানো আর গিটার-সমৃদ্ধ দীর্ঘ ইনস্ট্রুমেন্টাল সেকশন। অদ্ভুত বিষন্ন সুন্দর একটা বাজনা। গানটা শুনলে একটা কমপ্লিট ফীল আসতে বাধ্য। গানটা আমার অলটাইম ফেভারিট( এখনো হেডফোনে বাজছে)
পরিশেষে গানটার লাইভ পারফরমেন্স নিয়ে কিছু বলতে চাই। এই ৬৫ বছর বয়সেও এরিক ক্ল্যাপটন যে এনার্জি আর ফীল নিয়ে গানটা পারফর্ম করেন তা সত্যিই অসাধারণ। বিশেষ করে গানের শেষে সলো পার্টটা এখন তিনি একাই বাজান( আলম্যান মারা গেছেন সেই ১৯৭১ সালে, তবে তার অনুপস্থিতি খুব একটা টের পাওয়া যায় না ক্ল্যাপটনের পারদর্শিতার কারণে)।সত্যিকারের প্রেমিক হৃদয় না থাকলে এটা করা যেতো বলে মনে হয় না। একটা অসাধারন ব্লুজ-রক সং হিসেবে এটা শোনা সকল মিউজিক লাভারেরই দায়িত্ব
অডিও লিংক:লায়লা
ভিডিও লিংক:layla
দ্বিতীয় গান:
Sweet Child O' Mine
Guns N Roses নিয়ে বেশী কিছু বলতে চাই না। শুধু বলবো তারা একটা রেভোলিউশন। স্ল্যাশ মামা আমার অতি ফেভারিট গিটারিস্ট( ফীলের বন্যা বইয়ে দেয়)। অ্যাক্সল রোজের গলাটাও সেরাম!!
এই গানটার শুরুর রিফটা শুনলে মনে হয় একটা গিটার গাঁকগাঁক করে চেঁচাচ্ছে!!

"Now and then when I see her face
she takes me away to that special place
that if I stare too long
I'd probably break down and cry"
যে ব্যান্ডের ডাকনাম "Most Dangerous Band in the world" তারা এই অনুভূতি পায় কই?? আমি তো শুইনা পুরা তব্দা হয়া গেসিলাম। ব্যাটারা দেখি আমাদের উপমহাদেশীয়দের মতোই সেন্টিমেন্টাল!!!

তবে কি সব কিছুই ইন্টার-কানেক্টেড???
যাই হোক অ্যাক্সল রোজ তার সুইট চাইল্ডের প্রতি প্রশস্তি গেয়ে যায়। আর আমি খালি শুনেই যাই। তারপর স্ল্যাশ মামা হাজির হয় একটা অসম্ভব কমপ্লেক্স( যে হারে ওয়াহ ওয়াহ মারসে!!) কিন্তু শ্রুতিমধুর গিটার সলো নিয়া। তারপর কি হয় সেটা আপনারা শুনে নিয়েন
সবাই ভালো থাকেন। কমেন্ট আহ্বান করা যাচ্ছে....।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১০ সকাল ৮:৪৮