একজন নারীর সাথে প্রথম পরিচয় মা হিসেবে।
মায়ের কোলে করে এই পৃথিবীতে আসি সবাই। মাকে ভর করে বেঁচে থাকা বেড়ে উঠা। আর আজন্ম লালিত বোধে মাতৃত্বের যে অনুভব তা সর্বদাই শ্রদ্ধা, প্রেম আর ভক্তির।
অতপর নারী রুপ আসে খালা, ফুপু, মাসি পিসী, নানী দাদী অনেক নামে অনেক প্রকারে। প্রভাবক আরেক নারী রুপ আসে বোন হিসেবে। বড় বা ছোট। অপত্য স্নেহ আর আদরের সম্পর্ক।
তারপর বড় হয়ে প্রথম নারী অনুভব জাগায় প্রেমিকা। যা স্বভাবতই এক অভূতপূর্ব ভিন্ন মাত্রায় জানান দেয় তার ভিন্ন প্রকৃিতেক। অতঃপর ঘরনী রুপে স্ত্রী রুপে নারীর আরেক অনিন্দ্য সুন্দর সূখী রুপ আসে আমাদের সামনে।
এর মাঝে এই চলমান সুন্দর ধারায় ছেদ পড়ে! কেন?
যেই আমি মায়ের কোলে থেকে মাতৃত্বের মাধূর্যে বড় হলাম.. আমি মা'র প্রতি কি করে বিরুপ হতে পারি?
যে বোনের স্নেহ, আদর আমাকে প্রেরণা যোগাত তার প্রতি আমি কেমন করে নিষ্ঠূর হয়ে পড়ি?
যে স্ত্রী আমাকে সূখ, আনন্দ আর সোহাগে ভরিয়ে দিত-ভাসতাম দুটি প্রাণ হংস মিথূন হয়ে- কি করে তার প্রতি অত্যাচেরর খগড় তুলে ধরি?
না আমি কোন জটিল সন্দর্ভ লিখব না। শুধূই সাবলীল মনের ভাবনাকে বলার চেষ্টা।
আমরা সমাজ নির্মান করি না নির্মিত সমাজের চাপে নিজেকে বদল দিই তা গবেষনার বিষয় হলেও বাহত্য সোসাইটি মেইনেটের নামে এর চাপে আমরা বেশ অসহায় বোধ করি প্রায়শঃই।
আর এই সমাজ আমাদের আবহমান কালের বোধ গুলোনকে আর যেন ধারন করতে পারছেনা। বানিজ্য। আমাদের এবং বৈম্বিক অতি মুনাফাখুরী বৃত্তি তার আপনা স্বার্থে ধিরে ধীরে খুবলে খূবলে অচৈতন্য করে দিচ্ছে বোধ আর অনুভব গুলোকে। এক মোহগ্রস্থতায় আচ্ছন্ন হয়ে সবাই এক ভার্চুয়াল গ্লোবালাইজেশনের পিছনে যেন উন্মাদপ্রায় ছূটছি।
ছুড়ে ফেলছি আজন্ম লালীত বিশ্বাস, শ্রদ্ধা বিনয় আর সুকুমার বোধ গুলোকে। পাছে পিছীয়ে পড়ি সেই কর্পোরেট দৌড়ে!
আর স্বাভাবিকভাবেই কর্পোরেটিজম নারীর বিষয়ে তার নিজস্ব এথিকস নিয়ে নেমেছে। বাহারি মোড়কে তাকেও বাজারজাত করছে। আর বাজারীকরণের সূত্রে তাও পণ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে চিরায়ত বোধগুলো হোচট খাচ্ছে বারবার।
নারীর ক্ষমতায়ন তেমনি একটা চমৎকার আমদানী। যার উপর ভর করে আবার বহু এনজিও তথা কিছূ ব্রক্তির কর্পোরটে বিকাশই নিশ্চিত হচ্ছে শূধূ। আম্বিয়া বা করিমন এখনও যে তিমিরে সেই তিমিরেই। এতো পুরানো গল্প ৫০০ টাকা প্রদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন খরচ ৫০,০০০ টাকার বিশাল বাজেট। আর সেই সুবিধাগ্রহনকারী এবং অনুসন্ধানকারীর সংখ্যাই চলতি সমাজে বেশী দৃশ্যমান বললে বোধকরি ভুল হবেনা।
আমাদের দারিদ্র যেমন কারও কারও ফান্ড রেইজংয়ের পূজি তেমনি নারী ও তার আনুষঙ্গিক বহু উপাচার একই কারণে বানিজ্যিকায়িত হযে গেছে বহু আগেই। সেখানে প্রকৃত নারী মুক্তি হারিয়ে গেছে বানিজ্যে আড়ালে।
আমাদের নারী মুক্তি আমাদের হাতেই। আমাদের চেতনার মুক্তিতে। আমাদের বিশ্বাসের বদলে। আমাদের চিরায়ত নারী সম্ভ্রমকে ধারন ও চর্চার মাঝেই।
আমাদের বোধগুলোনকে যেই মোহগ্রস্থতা বদলে দিয়েছে তা থেকে ফিরতে হবে। যে সেবা, মানবতার মৌলিক র্চচা আমাদের মাঝে ছিল তাকে পুনজাগরিত করতে হবে। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা আর নিজের আত্ম জাগৃতির মাঝেই এই মুক্তি লুকানো।
নইলে কর্পোরেট দুষ্ট চক্রে অবিরত ঘুরপাক খেতে হবে আমাদের..
বাড়বে এনজিওর সংখ্যা, বাড়বে নছিমন করিমনদের দারিদ্রতা, বাড়বে নারীত্বের অবমাননা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৫